কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু পথের যাত্রী এক গৃহবধু। বর্তমানে সে সাতক্ষীরা ফারজানা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীর রয়েছে। সিজারের সাড়ে তিন মাস পরে পেটের ভিতরে পাওয়া গেছে গজ। শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আনিছুর রহমানের দায়িত্বহীনতার কারণে এ ধরনের সমস্যা ঘটেছে বলে ভুক্ত ভোগীর স্বজনরা দাবি করেছেন। ওই গৃহবধুর শুশুড় বাড়ি শ্যামনগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামে। খলিলুর রহমানের স্ত্রী হোসনে আরা (২১) খুলনা মেডিকেলের সহকারী অধ্যাপক ডা. মনোয়ার হোসেন অপারেশনের মাধ্যমে পেটের ভেতর থেকে গজ বের করার পর কিছুটা সুস্থ্য রয়েছেন গৃহবধু হোসনে আরা।
ভুক্ত ভোগির মা তাছলিমা বেগম জানান, গত ২১ রমজানে আমার মেয়ের ডেলিভারী করি। ডা. আমার মেয়ের অপারেশন করেন। কিন্তু অপারেশনের পর থেকে আর মেয়ে পেটে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করতো। এ বিষয়ে ডা. আনিছুর রহমানের কাছে গেলে কোন সমস্যা নেই বলে জানান। এ দিকে মেয়ের অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকলে সাতক্ষীরায় এসে ডা. শৎকর কুমারের পরামর্শ গ্রহন করি। তিনি বলেন ইনফেকশন হয়েছে। অপারেশন করা লাগবে। এ খবর ডা. আনিছুর রহমান জানতে পেরে আমাদের ফোন করে বলেন, আমার কাছে আসেন আমি ঠিক করে দেব। এর পর তিনি পুনরায় অপারেশন করেন। কিন্তু মেয়ের আবস্থা কেনে উন্নতি না হলে খুলনা মেডিকেলর সহকারী অধ্যাপক ডা. মনোয়ারা হোসেনের কাছে নিয়ে যাই। তিনি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বলেন অপরেশন করতে হবে। সে মোতাবেক গত ১৪অক্টেম্বর সাতক্ষীরার ফারজানা ক্লিনিকে আমার মেয়ের অপরেশন করেন ডা. মনোয়ারা হোসেন। অপারেশনের পর তিনি জানান,পেটের ভিতরে গজ ছিলো সে কারণে আপনার এভাবে থাকলে হয়ত তাকে আর বাঁচানো যেতনা। অপারেশনের মাধ্যমে গজ বের করা হয়েছ্ েসুস্থ হতে একটু সময় লাগবে। বিষয়টি শোনার পর আমরা হতাশ হয়েছিলাম।
আমার মেয়ে যাতে সুস্থ থাকে আর তার নব-জাতকের কোন সমস্যা না হয় এই কারনে ডা. আনিছুরের একি? আর কিছু দিন থাকলে হয়ত আমার মেয়ের লাশ আমাকে দাফন করতে হতো। তিনি ওই চিকিৎসক আনিছুর রহমানের দায়িত্বহীনতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে ডা. আনিছুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তার পেটের ভিতর থেকে গজ পাওয়া যায়নি। যেটা হয়েছে তার পেটের নাড়ী মোটা হওয়ার কারণে সমস্যা হয়েছিল। ওই চিকিৎসকের সাথে আমার কথা হয়েছে। তবে রোগীর কথামত নিউজনা করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসার (টি এইচ ও) ডা. হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটার কথা না। তারপরও অনেক ক্ষেত্রে হতে পারে। আর যদি হয়ে থাকে আমরা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেব।