বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ৭ নং ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ;   * কুড়িগ্রামে অফিস সহকারীকে জুনিয়র শিক্ষক দেখিয়ে ওই পদে নিয়োগ বাণিজ্য   * কক্সবাজারে নলকূপ-মোটরে উঠছে না পানি, সংকট চরমে জন জীবনে দূর্ভোগ;   * কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ   * যৌথ বাহিনীর অভিযান: বান্দরবানের ৩ উপজেলা নির্বাচনের ভোট স্থগিত;   * গাজীপুরে বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিকার নামাজ আদায়   * চট্রগ্রামে সকাল থেকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ চরমে   * গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ভাইকে শোকজ!   * এবার সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে সম্পূর্ণ কক্সবাজার কক্সবাজার;   * লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মামলার আবেদন;  

   রাজনীতি
মানবাধিকার খবরের উদ্যোগে ভারত থেকে দেশে ফেরার অপেক্ষায় প্রতিবন্ধী সজিব ও সালমা
  Date : 01-11-2016

 

মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন:

 

মানবাধিকার খবরের নিরলস প্রচেষ্টায় সকল আইনি প্রক্রিয়ার পর অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার প্রহর শেষে নিজ দেশে ফিরতে যাচ্ছে  গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জের সালমা বেগম(৩৮) ও বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার ছোটকাচনা গ্রামের মৃত মাসুদ ঢালীর ছেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সজিব ঢালী (১৫)। সজিব তার মায়ের উপর অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে আসার এক পর্যায়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছালে সেখানকার পুলিশ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এই কিশোরকে দঃ চব্বিশ পরগনা জেলার লক্ষীকান্ত পুরের বিজয়াঙ্গি বাজারাস্থ ‘হরিপুর আমরা সবাই উন্নয়ন সমিতি’(হাসুস) কে হস্তান্তর করে।  

ঘটনার বিবরনে ও তথ্যানুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, গত বছর যশোরের শার্শা থানার আমলাই গ্রামের দিনমজুর খলিলুর রহমানের ছেলে স্কুল ছাত্র সাইদুল ইসলাম(১৪) নিখোঁজ হওয়ার এক অভিযোগের ভিত্তিতে মানবাধিকার খবরের সম্পাদক ভারতে গিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার লক্ষীকান্তপুরে হাসুস সেফহোমে তার সন্ধান পান। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর সকল আইনী প্রক্রিয়া শেষে সাইদুলকে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি মা-বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঐ সময় জানা যায়, আর এক বাংলাদেশী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সজিব ঢালী এই সেফহোমে আছে। তাৎক্ষণিকভাবে মানবাধিকার খবরের সম্পাদক তার সাথে দেখা করেন। দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পর জানা যায় তার বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লারহাট থানায়। সে থাকতো মায়ের সথে খুলনার দিঘলীয়ায়। মা ও নানীর সাথে অভিমান করে চলে আসে ভারতে। সজিব দেশে মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য সম্পাদকের কাছে কান্নাকাটি  ও আকুতি করে। তখন সম্পাদক সজিবকে আশ্বস্ত করেন- যে কোন উপায়ে তাকে দেশে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেবেন। সজীবের কাছে দেওয়া ওয়াদা অনুযায়ী সম্পাদক পরবর্তীতে সজীবের মায়ের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে সজিবকে উদ্ধারের জন্য তার মাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে করতে বলেন। সে মোতাবেক সজিবের মা ঢাকার মতিঝিলস্থ অফিসে এসে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ও ছবি সম্পাদককে প্রদান করেন। সজিব এতদিন সঠিক কাগজপত্রের অভাবে দেশে ফিরতে পারছিল না। সজিবের চিন্তায় শয্যাশায়ী মা শাহীদা আক্তার সুমী গত ৬ নভেম্বর কান্নাজড়িত কণ্ঠে মানবাধিকার খবরকে বলেন, ‘আমার ছেলেকে যে কোন উপায়ে দেশে এনে আমার বুকের ধন অমার কাছে ফিরিয়ে দিন, ওকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না।’ সজীবের মা একজন নৃত্যশিল্পী। সজীবের নিখোঁজ সংক্রান্ত ব্যাপারে গত ১৯ জুন ২০১৬ বাগেরহাটের মোল্লারহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী(জিডি) করা হয়। যার নাম্বার ৭৭৬। এ ব্যাপারে মানবাধিকার সম্পাদক ভারতের স্থানীয় সাংসদ ও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান প্রতিমা ম-ল, পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নপরাজিৎ মুখার্জি, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার জকি আহাদ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জে জে সরকার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলা শিশু রক্ষা সমিতির কর্মকর্তা অনিন্দ ঘোষসহ বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করেন। প্রত্যেকেই জানান, তারা চেষ্টা করেছেন শিশুটিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে। কলকাতাস্থ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সিলর জি এম জামাল হোসেন মানবাধিকার খবরকে জানান, সজিবের নাগরিকত্ব ও অন্যান্য কাগজপত্র এসে পৌছলে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করবেন।

এর আগে মানবাধিকার খবর পত্রিকার ভারত প্রতিনিধি মনোয়ার ইমাম লোকসভা সাংসদ প্রতিভা ম-লের অনুরোধে বিপ্লব নামের উদ্ধারকৃত কিশোরের অনুসন্ধান দিয়েছিলেন।

এ দিকে তিন সন্তানকে নিয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে থাকতেন ৩৯ বছরের সালমা বেগম। বেশ কয়েক বছর আগে এক পরিচিত নারীর সঙ্গে মানসিক রোগের চিকিৎসা করাতে ভারতে এসে হারিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিছুই মনে ছিল না তার। পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলা পুলিশ তাকে গত বছর এপ্রিল মাসে আরামবাগ থেকে খুঁজে পায়। নিয়ম অনুযায়ী আদালতে তোলা হলে তাদের নির্দেশে সালমা বেগমকে একটি আবাসে রাখা হয়েছিল। ডাক্তারি পরীক্ষায় প্রমাণিত হয় যে তিনি মানসিক রোগে ভুগছেন, হারিয়েছেন স্মৃতি। শুরু হয় মানসিক রোগের চিকিৎসা।

মাস ছয়েক চিকিৎসার পরেই তিনি কিছুটা স্মৃতি ফিরে পান। মনে পড়ে যায় যে বাংলাদেশের গাইবান্ধায় তার বাড়ির কথা, গ্রামের কথা হোমের কর্তৃপক্ষকে জানান তিনি। সালমা বেগম আরো জানান, যে তিনি যার সঙ্গে চিকিৎসা করাতে ভারতে এসেছিলেন, সেই গোলাপী বেগম তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের কাউন্সিলর জামাল হুসেইন বলেন, ‘ওই হোমের থেকে খবর পেয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপরেই আমরা ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিতকরণের জন্য বাংলাদেশে খবর পাঠাই’। সালমা বেগমের আত্মীয়রা উপদূতাবাসের কাছে ছবি ও অন্যান্য পরিচয়পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। জামাল হুসেইন বলেন, ‘পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরে আমি নিজেই হুগলীর ওই হোমে গিয়ে সালমা বেগমের কাছ থেকে দেশে ফেরত পাঠানোর একটি আবেদনে টিপ সই করিয়ে এনেছি। খুব তাড়াতাড়ি যাতে তিনি দেশে ফিরতে পারেন, আমরা সেই চেষ্টা করছি।’ উদ্ধার করার পরের ১৯ মাস হোমেই কাটিয়েছেন সালমা। এবার সময় এসেছে সাময়িক আবাস ছেড়ে নিজের দেশে, নিজের সংসারে ফিরে যাওয়ার। সেই আশাতেই দিন গুনতে শুরু করেছেন সালমা বেগম। দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রোটারিয়ান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন চলতি মাসের শেষের দিকে যে কোন সময় ভারতে গিয়ে কিশোর সজিব ঢালী ও সালমাকে ফিরিয়ে আনার জোর প্রচেষ্টা চালাবেন।

উল্লেখ্য যে, মানবাধিকার খবর এর আগে ভারতের উত্তরাখ- প্রদেশের রুদ্রপুর থেকে পাচার হয়ে যাওয়া বাংলাদেশী কলেজছাত্রী সাবানা আক্তার চায়না, হায়দ্রাবাদ থেকে গৃহবধু মুন্নি, পশ্চিমবঙ্গের লক্ষীকান্তপুর থেকে কিশোর বিপ্লব, দিল্লীর তিহার জেল থেকে বিউটি আক্তারসহ সাফল্যের সাথে অসংখ্য নারী ও শিশুকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনে। যা বাংলাদেশের জনপ্রিয় পত্রিকা প্রথম আলোসহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন মিডিয়াতে গুরুত্ব সহকারে প্রচার হয়।

উদ্ধার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছেন প্রথম আলোর কলকাতা প্রতিনিধি অমর সাহা, মানবাধিকার খবর পত্রিকার কলকাতা প্রতিনিধি দিশা বিশ্বাস, বারাসাত প্রতিনিধি প্রদীপ রায় চৌধুরী, মানবাধিকার খবরের আইন উপদষ্টা রাজীব মুখার্জিসহ অন্যান্য।

 



  
  সর্বশেষ
৭ নং ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ;
কুড়িগ্রামে অফিস সহকারীকে জুনিয়র শিক্ষক দেখিয়ে ওই পদে নিয়োগ বাণিজ্য
কক্সবাজারে নলকূপ-মোটরে উঠছে না পানি, সংকট চরমে জন জীবনে দূর্ভোগ;
কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308