বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে `স্বাধীনতা পুরস্কার` গ্রহণ করলেন কুড়িগ্রামের কীর্তিমান সন্তান এস এম আব্রাহাম লিংকন   * নতুন রূপ পাচ্ছে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ!   * যক্ষা নির্মূলে সচেতনতা বাড়াতে হবে : বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের আলোচনা সভায় পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন।   * তিন মাস সময় দিলাম, উন্নয়ন কাজে অনিয়ম বরদাশত হবে না   * পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যানের হাজার কোটি টাকার সম্পদ   * কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লকার থেকে পর্যটকের মালামাল চুরির হিড়িক   * দৃষ্টি চট্টগ্রামের আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ বিষয়ক অলিম্পিয়াড;   * ঠাকুরগাঁওয়ে গরুর গবর রাখার জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত-১   * ঈদে ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যবসার আশা চট্টগ্রামে   * গাজীপুর-এয়ারপোর্ট রুটে উন্মুক্ত হলো ৭টি ফ্লাইওভার  

   প্রবন্ধ
বুলবুল চৌধুরী বেঁচে আছেন তার সংস্কৃতি ও মানবতাবাদী কর্মকান্ডে
  Date : 01-11-2016

 

রুবিনা শওকত উল্লাহ

 

বুলবুল চৌধুরী অনবদ্য সৃষ্টির এক নাম, কলাদর্শনের প্রবক্তা। যার জীবনের উদ্দেশ্য ছিল সংস্কৃতির জ্ঞানের মাধ্যমে নিজের জাতীয় সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করা, সমাজ থেকে সুংস্কার দূর করা। মানবতাবাদী কর্মের মাধ্যমে সমাজের উন্নয়ন করা। তাকে একজন নৃত্য সৈনিক বলা যায়। বুলবুল চৌধুরীর গুনাবলী লেখে শেষ করা যাবে না। কারণ তিনি সাংস্কৃতিক ব্যক্তি হিসেবে সর্বদিকে বিচরণ করেছেন। এক কথায় তাকে সব্যসাচী বলা হয়।

শিল্পী বুলবুল চৌধুরীর পুরো নাম রশিদ আহম্মদ চৌধুরী। প্রেসিডেন্সি কলেজের একটি অনুষ্ঠানেই রশিদ আহমদ চৌধুরী প্রথম বুলবুল চৌধুরী নামে আত্মপ্রকাশ করে। তার জন্ম ১ জানুয়ারী ১৯১৯ সালে বগুড়ায়। পিতৃনিবাস চট্টগ্রাম সাতকানিয়ায় চুনতি গ্রামে। ১৯৫৪ সালে ক্যানসারে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মারা যান।

বুলবুল চৌধুরীর পিতা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা সেজন্য পিতার কর্মস্থল পরিবর্তনের কারণে তাকে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পড়তে হয়েছে। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ১৯৩৪ সালে মানিকগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। তারপর কলকাতার স্কটিশ চার্ট কলেজ থেকে বিএ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন।

তিনি প্রথমত উদয়শংকরের নৃত্যে প্রভাবিত ছিলেন এবং দেবদেবীর পৌরানিক চিত্র-ভাস্কর্য থেকে বিভিন্ন ভঙ্গি চয়ন করে, তা নৃত্যে প্রযুক্ত করেন এই অভিনব প্রক্রিয়াতেই প্রতিভাধর বুলবুল চৌধুরী স্বকীয় নৃত্যধারার প্রবর্তন করেন। এই আদর্শে ১৯৩৮ সালে কলকাতায় তিনি ওফা (ঙৎরবহঃবহঃধষ ঋরহব অৎঃং অংংড়পরধঃরড়হ (ঙ.ঋ.অ) প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠনটির অনুষ্ঠানের টিকেট বিক্রয়ের সমুদয় অর্থ মানব কল্যাণে দান করেন তিনি। কংগ্রেস ত্রাণ তহবিল (কলকাতা), নাগরিক কল্যান, তহবিল (ঢাকা), কবি কাজী নজরুল ইসলাম চিকিৎসা তহবিল, (লন্ডন) ইত্যাদি তহবিলে এই অর্থ দান করা হয়।

১৯৩৮ সালের বাংলার ভয়াবহ বন্যায় বুলবুল খুব পীড়িত বোধ করে। ঐ বছর সেপ্টেম্বর মাসের ১৯ ও ২০ তারিখে বুলবুল ওফার ব্যানারে কলকাতা ফাস্ট এমপায়ার হাউসে দু’দিন ব্যাপী নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করে প্রথম দিন শুভেচ্ছা বাণী পাঠান নেতাজি সুভাষ চন্দ ্রবসু ও দ্বিতীয় দিন শুভেচ্ছা বাণী পাঠান বাংলার প্রধানমন্ত্রী একে ফজলুল হক।

ব্যালেটিতে মার্কাস দলের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে বুলবুলের দলের কয়জন ছেলেমেয়ে নৃত্যে অংশ নিয়েছিল। বুলবুলের প্রতিভায় আকৃষ্ট হয়ে মিঃ মার্কাস (আমেরিকার বিখ্যাত ব্যালে কোম্পানির) মালিক তাকে তার দলে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান ও আমেরিকা যাবার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু প্রচ- আত্মসম্মান বোধ সম্পন্ন শিল্পী বুলবুল জানত যে, মার্কাসের সঙ্গে যোগ দিলে তার নিজের পরিকল্পনা অনুসারে নৃত্য রচনা করা তার পক্ষে সম্ভব হবে না। দেশের নিপীড়িত, শোষিত ও দুর্গত মানুষের প্রতি তার দায়িত্ববোধ সম্বন্ধে সে সব সময়েই সচেতন ছিল।

১৯৪৫ সালের বাম ধারার সংগঠন ‘ভারতীয় গণনাট্য সংঘ (ও.চ.ঞ.অ)’ এর ব্যালে স্কোয়াডের প্রধান হিসেবে যোগদান করে বৃটিশ বিরোধী নৃত্যনাট্য মঞ্চস্থ করেন। এই নৃত্য নাট্যগুলি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ার লক্ষ্য ছিল। ঐ সময় ভারতবর্ষে এক দিকে চলছে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন আর একদিকে বইছে সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিজমের হাওয়া একজন শিক্ষিত সচেতন মানবতাবাদী শিল্পী হিসেবে বুলবুল সব সময় সমাজের বৃহৎ স্বার্থের কথাই ভেবেছেন। তিনি সরাসরি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হননি তবে তার অঙ্গ সংগঠন “ভারতীয় গণনাট্য সংঘ (ও.চ.ঞ.অ) এর প্রধান নৃত্য প্রশিক্ষক ছিলেন। নিপীড়িত মানুষের অধিকার সম্পর্কিত সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিবেদিত ‘ভারতীয় গণনাট্য সংঘ (ও.চ.ঞ.অ)’ প্রতিষ্ঠানটি তদানীন্তন বৃটিশ সরকারের অন্যায় ও দুঃশানের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল। এই জন্য বৃটিশ সরকার তার উপর বিশেষ নজর রেখেছিলেন।

আমাদের বাংলাদেশের তৎকালীন সমাজে শিক্ষা সংস্কৃতির চর্চার অভাবে বাঙালি সমাজ কিছুটা পিছনে ছিল। আমাদের সমাজের এই কুসংস্কারচ্ছন্ন অচলায়তন ভাঙার প্রথম কৃতিত্ব কাজী নজরুল ইসলামের। হিন্দু, মুসলমান নির্বিশেষে সকলের মধ্যে জাতীয়তা স্বাধীনার আদর্শ তিনি সার্থকভাবে উদ্দীপ্ত করে তুলেছিলেন। প্রথম মহাযুদ্ধের পর নজুল ইসলামের কবিতা ও গান তরুণ সমাজকে অবসাদ ঝেড়ে উঠে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করে।

কিন্তু নৃত্য শিল্পকে উৎসাহিত করার মত মনোভাব তখন পর্যন্ত আমাদের এ সমাজে দেখা যায়নি। তখনকার সময়ে শিল্প চর্চা করলে তাকে উৎসাহ দেওয়ার তো দূরের কথা, অনুমোদন করার মত মানসিকতা পর্যন্ত তাদের মধ্যে ছিল না। যেখানে হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান গাইলে গুনাগার বলে বিবেচনা করা হতো, মুক্তচিন্তার প্রকাশকে বাধা দেওয়া হতো, সে সময় নৃত্যকে খারাপ দৃষ্টিতে দেখা হতো। কিন্তু বুলবুল এই নৃত্য শিল্পকে ভালবেসে নৃত্যচর্চায় আত্মনিয়োগ বিস্ময়কর ছাড়া আর কি বলতে পারি। তাকে প্রথম থেকেই সামাজিক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তার প্রতিটি ক্ষেত্রে পরম কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে জীবনের শেষ পর্যন্ত কোনো না কোনোভাবে। এই বৈরী মনোভাব থেকে তিনি রেহাই পায়নি। অথচ আজ আমাদের দেশে নৃত্যশিল্পের ব্যাপক চর্চা দেখা যায়। এখন অনেকে পরিবারের ছেলেমেয়েদের নৃত্যের জন্য কোন রকম বাধার সম্মুখীন হতে হয় না, বাবা-মা সন্তানদের এই মাধ্যমে পারদর্শী হতে সাহায্য করেন। কিন্তু বুলবুল যখন এই শিল্পের চর্চা শুরু করে, তখন তিনি এ সমাজে ছিল একা ও নিঃসঙ্গ, তার সমাজ তাকে সাহায্য তো করেইনি বরং নানা ভাবে বাধা দিয়েছে। বুলবুল তার নৃত্য কলা প্রদর্শন করতে গিয়ে জীবনে বহুবার বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এমনকি পাকিস্তানি রাজনীতিতে স্বৈরতন্ত্রই প্রধান, শক্তিতে পরিণত হওয়ার ফলে প্রগতিবাদী ও উদার নৈতিক শক্তি, নিদারুন নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছে এই নির্যাতন এতটা প্রবল ও ব্যাপক ছিল যে, এই শেষোক্ত নিজের উদীয়মান প্রভাবকে ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়।

মুলতান ও লাহোরে এমন সময় গেছে নৃত্যের জন্য বুলবুলকে ‘কাফের’ ফতোয়া দেওয়া হয় এবং অন্যান্য শহরে ও অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু বুলবুল এই সব খবরে কখনোই ভেঙে পড়েনি। তখন পশ্চিম পাকিস্তানের সচেতন বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে একটি পাকিস্তান সংস্কৃতি গড়ে, তোলার আকাক্সক্ষা যে ছিল এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে পরে দেখা গেছে পাকিস্তানী সংস্কৃতি বা জাতি কোনোটিই গঠিত হতে পারেনি।

১৯৫০ সালে তখনও ১২ ফেব্রুয়ারির কালজয়ী ইতিহাস, সৃষ্টি হয়নি, ১৯৭১ সাল আসতে তখনও পূর্ণ দুই দশক বাকি, বুলবুল যে বাণী উচ্চারণ করেছিল, পরে তা অক্ষরে অক্ষরে যথার্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে।

পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসছিল যে; বুলবুলের নৃত্যচর্চার বিরুদ্ধে অনেকেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। ১৯৫৩ সালের ২৯ মার্চ বুলবুল চৌধুরী সদলবলে করাচি থেকে ভিক্টোরিয়া নামের জাহাজে লন্ডন রওনা হয়ে ১৪ এপ্রিল লন্ডন পৌছায়। গ্রেট বৃটেনের রাজধানীতে বুলবুল তার সহশিল্পীদের নিয়ে বৃটিশ সা¤্রাজ্যবাদের মুখোশ উন্মোচন করেন।

আমার জানামতে পৃথিবীতে নৃত্যকে এত ভালবেসেছেন বুলবুল এর মত কম লোকেই। তিনি নৃত্য শিল্পকে প্রসারিত করার জন্য নিজেকে ঢেলে দিয়েছিলেন। নৃত্য কলা প্রদর্শন করতে গিয়ে হত্যা চক্রান্তের হাত থেকে বহুবার পালাতে বাধ্য হয়ে প্রাণে রক্ষা পেতেন।

শিল্পী বুলবুলের ৭৮টি নৃত্যনাট্য রচনা পরিচালনা ও মঞ্চস্থ করেন। তার অনেক সৃষ্টি, রচনা আজও অপ্রকাশিত রয়ে গেছে। বুলবুলের লেখা অনেক বই আছে এর মধ্যে তার অসাধারণ উপন্যাস ‘প্রাচী’। গান ও কবিতার বই লেখা থেকে বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে হাতে লেখা পত্রিকা প্রকাশ করার মাধ্যমে সাহিত্য চর্চা করেন। তিনি সে সময় বেশ কয়েকটি ছোট গল্প রচনা করেন। তার উল্লেখযোগ্য গল্প : ভ্রান্তি মা, শিকারী। তিনি অজয়কুমার ছদ্মনামে কবিতা লিখতেন। তাঁর রচিত কাব্য : শেফালিকা। এই কাব্যটি তিনি রবিন্দ্রনাথকে উৎসর্গ করেন, তার গানের বই বুলবুলি, তার আরও অনেক লেখা রয়েছে। চিত্রকলাতেও তিনি প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। অকাল প্রয়াত সাহিত্যিক বুলবুলের অনেক লেখা এখনও অপ্রকাশিত রয়েছে। তিনি একাধারে নাটক পরিচালনা ও প্রধান নায়ক চরিত্রে অভিনয়ে তার প্রতিভার পরিচয় দিয়ে গেছে।

সংস্কৃতির প্রসারের মাধ্যমে সমাজকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন থেকে জাগানোর জন্য সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও চর্চা অপরিহার্য সেই চিন্তায় তিনি কলকাতার ওফার মতো পূর্ববঙ্গের ঢাকা ও বিভিন্ন মফলস্বল শহরে ললিতকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেন। তিনি তার ঘনিষ্ট বন্ধু মাহমুদ নুরুল হুদার সঙ্গে দীর্ঘদিন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন যে ১৯৫৩ সালের মধ্যেই ঢাকায় একাডেমী উদ্বোধন করবেন। কিন্তু বুলবুলের সে আশা হঠাৎ করে থমকে গিয়েছিল। বুলবুলের মরণব্যাধি ক্যানসার ধরা পড়ে এবং তিনি বিশ্রামে থাকেন। অসুখের যন্ত্রণা নিয়ে বন্ধু মাহমুদ নুরুল হুদার সঙ্গে ললিতকলা একাডেমী বিষয়ক আলোচনা করেন। বুলবুল তার পরিকল্পিত প্রতিষ্ঠানের রূপরেখা, সাংগঠনিক কাঠামো, গঠনতন্ত্র, শিক্ষানীতি ও সিলেবাস নুরুল হুদার হাতে অর্পণ করেন এবং ঢাকায় একাডেমী প্রতিষ্ঠার অনুরোধ করেন। নুরুল হুদা এই সময় বুলবুলের নামে একাডেমী করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এই প্রতিশ্রুতিতে বুলবুলের জীবনের যেন শ্রেষ্ঠ পাওয়ার পরম তৃপ্তিতে তার দু’চোখ অশ্রুতে ভরে যায়। কারণ তিনি জানতেন তার স্বপ্ন নিজে পুরোন করতে পারবে না তা বুঝে গিয়েছিলেন।

১৯৫৪ সালের ১৭ মে কলকাতার চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাকে কলকাতা গবরা কবর স্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। তার এ মৃত্যু সংবাদ শোনার পর ঢাকার বুলবুলের শোক সভায় শোকার্ত ভক্ত অনুসারীরা মাহমুদ নুরুল হুদার নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের ‘বুলবুল মেমোরিয়াল কমিটি’ গঠন করেন। অতপর ১৭/০৫/১৯৫৫ তারিখে বুলবুলের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীর সমাবেশে ৭ নং ওয়াইজঘাটে বুলবুলের নামে একাডেমী প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়া হয়। নুরুল হুদা বুলবুলের স্বপ্নকে সত্যি করেছেন বন্ধুর স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়েছে। আজ এই বুলবুল ললিত কলা প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের দেশের অনেকে সংস্কৃতির চর্চা করতে পারছে। অথচ এই বুলবুল সম্পর্কে আমাদের সমাজে অনেকে পরিচিত নন। মাত্র ৩৫ বছরের সীমিত জীবনে প্রাণ উজাড় করে তিনি যেভাবে সর্বদিকে বিশেষ করে নৃত্য কলাকে সমৃদ্ধ করেছেন এমন দৃষ্টান্ত আর নেই। তার অবদান এই বাংলার সংস্কৃতি প্রেমিরা কোন দিন ভুলতে পারবে না। বুলবুল চৌধুরী বেচে আছেন তার সংস্কৃতি কর্মকান্ডের মধ্যে। যত দিন এই দেশের সংস্কৃতি বেচে আছে, সংস্কৃতি প্রেমিরা বুলবুল চৌধুরীর কাছে চির ঋনী হয়ে থাকবে।



  
  সর্বশেষ
পঞ্চগড়ে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গণহত্যা দিবস পালিত হচ্ছে।
গাজীপুরে গণহত্যা দিবসে আলোচনা সভা
কক্সবাজারের টেকনাফে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণে ছাড়া পেলেন অপহৃত নূর;
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলন্ত ট্রেনে সন্তান জন্ম দিলেন নারী

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308