সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা রেঞ্চের শ্যামনগর উপজেলার আওতাধীন পশ্চিম সুন্দরবন জুড়ে জেলেদের নিকট থেকে বনদস্যুসহ বনের ভিতরে থাকা বিভিন্ন বাহিনী অব্যহতভাবে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মাছ আর কাকড়া ধরা জেলেদের নিকট থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজি অব্যহত থাকায় জেলেরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।
শ্যামনগর উপজেলার কালিনেছ গ্রামের কেনা গাজীর ছেলে শাহিনুর রহমান সম্প্রতি সুন্দরবন উপকূলীয় বনের কিনারায় অবস্থান চাঁদাবাজি, লুটপাটসহ অপহরনের মাধ্যমে মুক্তিপন আদায় করে চলেছে। বনের ভিতরে ও লোকালয়ে তার নেতৃত্বে একটি বাহিনী কাজ করছে। সে প্রায় কৈখালি, রমজানরগর ও মুন্সিগঞ্জসহ উপকূলীয় জেলে বাওয়ালীদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার পাশাপাশি জেলেদের ব্যাপক নির্যাতন করছে বলে একাধিক জেলে বাওয়ালীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শাহিনুর এলাকার জেলে বাওয়ালীদের কাছে পরিচিত। শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের কাশেম গাজী, রহমত গাজী ও হাতেম গাজী এ প্রতিবেদক কে জানান অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মি করে জেলেদের কাছ থেকে বনদস্যুরা চাঁদা আদায় করছে। তারা আরো বলেন বনদস্যু বন বিভাগ ও নওপুলিশ ফাড়ির নামে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। তবে এ চাঁদার বিষয়টি নওপুলিশ ও বন বিভাগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন।
এদিকে নিয়মিত অপহরনের ঘটনায় মুক্তিপনের মোটা অঙ্কের টাকাও আদায় অব্যহত রেখেছে বনদস্যুরা। শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন আমার ইউনিয়ন হওয়ায় ৮০ ভাগ মানুষ সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল। গত মাসে ২১ জন জেলেকে মুক্তিপনের দাবিতে বনদস্যু অপহরণ করে। জেলেদের অনেকেই সর্বস্য বিক্রয় করে মুক্তিপনের টাকা পরিশোধ করেছে।
সাতক্ষীরা রেঞ্চের সহকারী বনরক্ষক মো. সৈয়েব আলী খান বলেন, শুধু বনদস্যু নয় সরকারী দপ্তরের অনেকেই চাঁদা তুলছে জেলেদের নিকট থেকে। তবে বনবিভাগে পুলিশ নিয়মিত টহল অব্যহত রাখা হয়েছে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক বলেন, পুলিশি তৎপরতা থাকায় বনে চাঁদাবাজি অনেকঅংশে কমে গেছে। সাতক্ষীরা ৪ আসনের এমপি জগলুল হায়দার বলেন, বনদস্যু দমনে আমি ইতিমধ্যে সুন্দরবন উপকূলীয় জেলে বাওয়ালীদের নিয়ে মতবিনিময় ও সমাবেশ করেছি। এছাড়া বনের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে বনদস্যু দমনে তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছে।