এস.কে. সরকার, ঘাটাইল থেকে :
মানবাধিকার সার্বজনীন ঘোষনাপত্রের ২১ ধারায় যে কোন ব্যক্তি সুস্থ স্বাধীনভাবে যে কোন নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হবার অধিকার এবং জনগণ তার পছন্দ মাফিক গোপন ব্যালটের মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তিকে তার প্রতিনিধি নির্বাচিত করার অধিকারের কথা রয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কাউকে নির্বাচিত হতে বা করতে বাঁধা দেয়া যাবে না। যে সকল দেশ জাতি সংঘ ঘোষিত মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছেন সে সকল দেশের সরকার ও প্রশাসন এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে বাধ্য। অর্থ্যাৎ রাষ্ট্রের প্রত্যেক ব্যক্তিরাই রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য জনপ্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার অধিকার রয়েছে এবং একই ভাবে যিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না তারও নিজ পছন্দ মাফিক প্রতিদ্বন্দ্বী যে কোন প্রার্থীকে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার অধিকার রয়েছে। মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষনাপত্র অনুযায়ী এ অধিকার যেমন আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত, ঠিক তেমনি বাংলাদেশ সংবিধানেও জনগণের ভোটের অধিকারের কথা বর্ণিত রয়েছে।
জনগণের নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং ভোট দেয়ার বিষয়টি সকল প্রকার বাধা মুক্ত ও নিশ্চিত করার জন্য অন্যান্য দেশের মত আমাদের দেশেও কিছু প্রয়োজনীয় নির্বাচনী আইন রয়েছে, যে আইনের ক্ষমতা বলে প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও নির্বাচন কমিশন জনগণের যে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহন ও ভোটদানের অধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করে থাকে।
আামাদের দেশের মত তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নির্বাচনে আইন ভঙ্গ ও নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করে নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ ও পুরোপুরি পক্ষপাতহীন নির্বাচন কমিশনের যে কোন নির্বাচন পরিচালনার পূর্বশর্ত। সে কারনেই নির্বাচনটি সুষ্ঠ সুন্দর নিরপেক্ষ ও সঠিক হয়েছে কিনা তার সাক্ষীর জন্যেও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ অপরিহার্য হয়ে দাড়িয়েছে।
নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকান্ড এবং প্রতিদ্বন্দ্বী ও সমর্থকদের নির্বাচনের আগে নির্দিষ্ট সময় থেকে শুরু করে নির্বাচন কালিন সময়ে এবং নির্বাচনের পরের সময়কাল সকল কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
সেই চিন্তাধারাকে সামনে রেখে পৌরসভার নির্বাচন ০৭/০৮/২০১৬ ইং তারিখ রোজ রবিবার টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল পৌরসভার কেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব প্রাপ্ত হয় মানবাধিকার কর্মী ও মানবাধিকার খবর সাংবাদিক এস.কে সরকার। উপজেলা প্রতিনিধি বিধি মোতাবেক পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে কর্তৃক সঠিক তথ্য সংগ্রহে ঘাটাইল পৌরসভার নয়টি কেন্দ্র পর্যবেক্ষন করা হয়।
পৌরসভার নাম ঃ ঘাটাইল পৌরসভা জেলার নাম টাঙ্গাইল, মোট ভোটার সংখ্যা-১৯৮৫৩ জন, পুরুষ ভোটর ৯৬৭৬ জন মহিলা ভোটার ১০, ১১৭ জন ভোটকেন্দ্র ৯টি, ভোট কক্ষের সংখ্যা-৫১টি, প্রাথী সংখ্যা চেয়ারম্যান-৩জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর-০৭জন, সাধারণ কাউন্সিলর-২৬জন, মোট-৩৬জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অংশগ্রহন করেছেন।
পৌরসভা ঘাটাইল এর নির্বাচনী কেন্দ্র পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব প্রাপ্তির পর তিনি সাইকেল যোগে ঘাটাইল পৌরসভার ৯টি কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেন। প্রতি কেন্দ্রে একাধিকবার অবস্থান করা হয়। সকল চেয়ারম্যান এবং কিছু সংখ্যক পুরুষ কাউন্সিল ও মহিলা প্রার্থীদের সাথে পর্যবেক্ষণ কালে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় হয়। সাক্ষাৎকালে প্রার্থীগণের কোন অভিযোগ আসেনি। বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে এস, এম আকবর খান (পি.পি), মোঃ শহিদুল ইসলাম লেবু ও ফারুক হোসেন ধলা সহ আরো অনেকের সাথে ভোটদানরত অবস্থায় কেন্দ্রে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় হয়। নির্বাচন সুষ্ঠ সুন্দর অবাদ নিরপেক্ষ শান্তি প্রিয় বলে মন্তব্য করেন। পর্যবেক্ষন কালে লক্ষ্য করা যায় রিটানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্র পরিদর্শন করছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিত খুবই সন্তোষজনক। সঠিক সময়ে ভোট গ্রহন ও বন্ধ করা হয়। ভোট গ্রহন, ব্যালট, খাম, ব্যালট বাক্স বুথ অন্যান্য উপকরণ যথারীতি ছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি ও কর্তব্য কাজে নিষ্ঠাবান ছিল। প্রতিকেন্দ্রে মহিলা ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই সন্তোষক। ভোট চলাকালিন সময় কোনরূপ সন্ত্রাসী কার্য্যক্রম ঘটেনি। ভোটারগণ নির্ভয়ে আনন্দের সহতি কোন প্রভাব মুক্ত অবস্থায় ভোট প্রদান করেছেন। ভোটারগণকে জিজ্ঞাসা করলে তাদের স্লোগান ছিল “আমার ভোট আমি দিব যাকে খুশি তাকে দিব”। এটা শুধু কাগজ কলমেই নয় বর্তমান সরকার ঘাটাইল পৌর নির্বাচনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন দিয়েছেন। পৌর নির্বাচনে পৌরবাসী তাদের ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রিয়প্রার্থী শহীদুজ্জামান খান (ভিপি) শহীদ কে বিজয়ী করেছেন। এখন শুধু পৌরবাসী তাদের আকাঙ্খা পুরনের প্রত্যাশায় রয়েছে।