ফরিদুর রহমান শামীম, বাগেরহাট থেকে:
বাগেরহাটের কচুয়ায় ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাগজে কলমে জাতীয়করন হলেও শিক্ষকরা পাচ্ছেনা বেতন, ছাত্র-ছাত্রী পাচ্ছেনা উপবৃত্তি ফলে ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে বিদ্যালয় দুটি। এলাকাবাসি ও অভিবাবকদের সাথে কথাবলে জানাগেছে, উপজেলার সদর ইউপির বারইখালী এলাকায় ২০০২ সালের ৩০ অক্টোবর অপেক্ষাকৃত দরিদ্র জনগোষ্ঠির বসতি এলাকায় শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য নির্মান করা হয় বারো ফকিরের বটতলা জাতীয়করনকৃত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে এলাকার শিশুরা প্রাথমিক শিক্ষা নিতে থাকে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৪জন শিক্ষক ও ১২০জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়নরত আছে।এর মধ্যে ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র নয়ন হাওলাদার সহ ৩জন প্রতিবন্দি শিশু রয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত ১জানুয়ারী ২০১৪ তারিখে সরকারী স্বীকৃতি মিললেও আজো কোন শিক্ষক সরকারী কোন বেতন-ভাতাদি পায়নি। এছাড়া কোন ছাত্র-ছাত্রী উপবৃত্তি ও পায়নি। এবছর উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপবৃত্তির সুযোগ দিলেও সকল প্রত্রিয়া সম্পন্ন করে বিদ্যালয় দুটিকে উপবৃত্তির আওতায় আনা হয়নি। এতে আশপাশের অন্যবিদ্যালয়ে দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি হতে শুরু করেছে। ফলে দিনে দিনে ধ্বংসের মুখে পড়ছে বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুমাইয়া আক্তার বলেন,সরকারী নির্দেশ অনুযায়ী সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করছি কিন্তু এখনও কোন বেতন-ভাতা পাইনি বা উপবৃত্তির ব্যাবস্থা ও হয়নি। একই সমস্যা উপজেলার বাড়ীপাড়া ইউপির পালপাড়া আর.এম.জাতীয়করনকৃত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ও । এতে বর্তমানে ৪জন শিক্ষক ও ১৫৩জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত। জেলা মনিটরিং অফিসার (উপবৃত্তি)মো.আছাদুজ্জামান বলেন, উপবৃত্তির প্রকল্প ভুক্ত না হওয়ায় উপবৃত্তি দেয়া যায়নি। জেলা শিক্ষা অফিসার অশোক কুমার সমদ্দার বলেন,২য় ফেজে হওয়ায় শিক্ষক এখনও জাতীয়করন না হওয়ায় শিক্ষকদের বেতন দেয়া সম্ভব হয়নি তবে বিষয়টি প্রক্রিয়াধিন।