রবিবার, মে ১১, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ   * রাণীশংকৈল সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ   * কক্সবাজারে কৃষি কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত সচিব   * চট্টগ্রামের আ.লীগ নেতা নুরুল আবছার চৌধুরী গ্রেপ্তার   * চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালাল আটক   * পরীক্ষাকেন্দ্রের মাঠে চলছে বৈশাখী মেলা ১৪৪ ধারা অমান্য করে সাধারণ মানুষ মেলায় ঢুকে পড়ে   * এ মেলায় সকলের সম্পৃক্ততা নেই- এটা মনে হচ্ছে বিএনপি’র মেলা - রাণীশংকৈলে মির্জা ফয়সাল   * সর্বোৎকৃষ্ট মানের স্কিন কেয়ার ও কসমেটিকস পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখে রিমার্কের ভূয়সী প্রশংসা করলেন শিল্প সচিব   * উপকূলের শ্যামনগরে বোরোর ফলনে কৃষকের মুখে হাসি   * চিতলমারীতে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত  

   লাইফস্টাইল
দীর্ঘদিন উপেক্ষিত ও বঞ্চনার স্বীকার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল
  Date : 01-10-2016

দীর্ঘদিন উপেক্ষিত ও বঞ্চনার স্বীকার

উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল

আজাদ রুহুল আমিন, বাগেরহাট থেকে:

 

পদ্মার এপারে বসবাসরত অধিবাসী হিসেবে আমরা আজ গর্ববোধ করতে পারি । বৃহত্তর ঢাকা বিভাগের কিছু অংশ খুলনা বিভাগের ১০ টি জেলা ও বরিশাল বিভাগের অংশ নিয়ে গোটা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে দীর্ঘদিন এই এলাকা ছিল অত্যন্ত অবহেলিত । এই এলাকার এক অঞ্চলের মানুষ জীবন জীবিকার অন্বেষণে অন্যত্র কর্মসংস্থানের জন্য ছুটে বেড়াতো। বলা হত কয়েকটি এলাকার মানুষ সেখানে বিল থাকায় ধান ও শস্য উৎপাদন হত না । এ অঞ্চলের মানুষ নাকি ঢ্যাপের খই অর্থ্যাৎ শাপলার খই এবং শুধু শাপলা খেয়ে জীবন ধারন করত এই এলাকায় এমন প্রবাদটি মুখে মুখে উচ্চারিত হত। এখন সেই দৃশ্যপট সময়ের বিবর্তনে পাল্টে গেছে ।

বিধ্বস্থ স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে দীর্ঘসময় অতিবাহিত হলেও ৭৫ পরবর্তি এ অঞ্চলে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে বিজ্ঞপার্লামেন্টিয়ান ও অত্যন্ত শক্তিশালী মন্ত্রী-স্পীকার থাকা সত্বেও দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র মোংলা বন্দর ছিল খুবই অবহেলার শিকার। এখানে সরকার ও এখানকার মন্ত্রীদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন নজর ছিল না। তারা ইচ্ছা করলে এই অঞ্চলকে সোনায় রুপান্তর করতে পারত।

গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সাল ও পরবর্তী ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার কর্তৃক এ অঞ্চলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ও ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। কারন হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান ও মাজারটি পদ্মা নদীর এপারে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থিত। কুষ্টিয়ার মেহেরপুরে ঐতিহাসিক মুজিব নগর হিসেবে খ্যাত স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময় এখানে অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়। বাগেরহাট থেকে-খুলনার যে দুরত্ব। মাওয়া - মহাসড়ক হওয়ার কারনে বাগেরহাট গোপালগঞ্জের ব্যবধান কম হওয়ায় উন্নয়নের ছোয়া ও উন্নয়নের রোল মডেলে বাগেরহাট সহ এ অঞ্চল আজ সমৃদ্ধ হতে চলেছে। গোপালগঞ্জ-যশোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ায় শিক্ষার দ্বার উম্মেচিত হয়েছে । এশিয়ার বৃহত্তর ঔষধ কারখানা এখানে গড়ে উঠছে । সেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ নামে স্থাপিত হয়েছে মেডিকেল কলেজও । আর মেধাবীরা এখান থেকে এমবিবিএস পাস করে মেডিকেল অফিসার হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে । একটি চক্ষু হাসপাতাল হওয়ায় রোগীরা পুনরায় দৃষ্টিদান ফিরে পেয়ে নতুন প্রথিবীর আলো বাতাস দেখতে পারছে । মোংলা বন্দরের টার্গেট অতিক্রম করে কয়েক দফায় রাজস্ব কয়েক গুন বেড়েছে । কর্মতৎপরতা-অসংখ্য জাহাজের আগমন পন্য খালাসে এনে দিয়েছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। ইতোমধ্যে বর্তমান সরকার রামপালের ফয়লায় বিমান বন্দরের জন্য আরো অধিকতর ভুমি অধিগ্রহন করেছেন । খানজাহান আলী বিমান বন্দরটি চালু হলে এটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রুপ নেবে-আর নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হলে দিগন্ত জোড়া শিল্প ইন্ডাষ্ট্রি-কলকারখানা সৃষ্টির মধ্যমনি হিসেবে বাগেরহাট জেলা দ্বিতীয় রাজধানীতে পরিনত হবে ।

যে জাহাজ দেশের বড় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ভিড়তে পারত না সেটি পটুয়াখালীতে নির্মানাধীন পায়রা বন্দরে ভিড়তে পারবে এবং পায়রা বন্দর হবে দেশের অন্যতম অর্থিৈন্তক জোন হিসেবে এক নম্বর আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর। খুলনার বিশেষায়িত আবু নাসের মেডিকেল হাসপাতালে বর্তমান দেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক দিয়ে এই হাসপাতাল সমৃদ্ধকরনসহ এ অঞ্চলের অসুস্থ-পীড়িত মানুষের নিকট সেবা পৌছে দিয়েছে অকাতরে ।

পল্লী বিদ্যুৎ ঘরে ঘরে পৌছে দেবার লক্ষে এ অঞ্চলে ১২২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পুরাতন বাগেরহাট রুপসা পুনরায় রেললাইন নির্মানকল্পে ৫ শত কোটি টাকা একনেকের বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে । বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট - ফকিরহাট - চিতলমারিতে শতভাগ পল্লী বিদ্যুতের কাজ সমাপ্ত হবার পথে । ২০১৭ সালের মধ্যে বাগেরহাট জেলার সকল প্রত্যন্ত অঞ্চলে পল্লী বিদ্যুতের সুফল পৌছে যাবে । গ্রাহক পাবে বিদ্যুতের পরম ছোয়া । তথ্য প্রযুক্তির এক মহামিলনের অবারিত দ্বার উন্মোচিত হবে । বাগেরহাট নদী ভাঙ্গনরোধে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে চীনের তদারকিতে ৬ হাজার ৯ শত ৭০ হাজার মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৩৫/৩ পোল্ডারে ৪১ কি.মি. জুড়ে ভেড়ী বাধ - ব্লক ও পুরাতন স্লুইচ গেট নির্মান কাজের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ।

 

একটি খামার - একটি বাড়ী এ সরকারের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বাবলম্বী হওয়ার একটি বড় প্রকল্প । এ অঞ্চলে যেখানে এখনও বিদ্যুৎ পৌছেনি । অবাধ তথ্য প্রবাহের ও সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ল্যাপটপ - ডেস্কটপ ব্যাবহার করে এ অজপাড়া গায়ের শিক্ষার্থীরা সোলারের মাধ্যমে তাদের তথ্য আদান - প্রদান অব্যাহত রেখে চলেছে । বর্তমান গ্রামীন জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে এ সরকার আসংখ্য বেসরকারী সাহায্য সংস্থার (এনজিও) মাধ্যমে ক্ষুদ্র ক্রেডিট প্রোগ্রাম,আতœকর্মসংস্থানে নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে হাস মুরগী পশু পালন, মৎস্য চাষ, সেলাই - হস্তশিল্প, কম্পিউটার প্রশিক্ষনসহ বিভিন্ন সেবামুলক কর্মকান্ডে এখানে বসেই তারা আধুনিকতার ছোয়া পাচ্ছে । এছাড়া অবৈতনিক শিক্ষা, উপবৃত্তি, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা চালুসহ সাধারন মানুষের পাশে সুখ - দুঃখের সমব্যাথী হয়েছে । এ মাসেই ৫০ লাখ দুস্থ - বিধবা ও গরীব অসহায় পরিবারের জন্য ১০ টাকা কেজি হিসেবে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কার্যক্রম দেশের হতদরিদ্র কুড়ীগ্রামের চিলমারী থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কার্যক্রম চালু করেছেন। এ কার্যক্রম প্রতি বছরে ৫ মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ।

এ অঞ্চলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ, সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা পর্যন্ত পিচ ঢালা কার্পেটিং মসৃন সড়ক নির্মান,পাথরঘাটায় মৎস্য অবতরন কেন্দ্র ও যাতায়াতের পথে সব গুলো নদীর উপর অসংখ্য বড় বড় স্থাপনা-চীন মৈত্রী সেতু নির্মান কাজ অতি দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় এ অঞ্চলের ভাগ্য উন্নয়নের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।

 

বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটের রামপালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান কাজ এগিয়ে চলেছে। ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। পরিবেশবিদগন ও সরকার যার যার অবস্থান থেকে বিভিন্ন ফোরামে রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করেই নির্মিত হচ্ছে। অপরদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সুন্দরবন রক্ষা কমিটি এটিকে অন্যত্র প্রত্যাহার করা ও পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরুপ বলে ভিন্নমত পোষন করেন। এটিকে সরকার বলছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিবেশ বান্ধব ও সাশ্রয়ী।  তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদ্যুতের কোন বিকল্প নেই। বাগেরহাট পৌরসভায় বসবাসরত সকল নাগরিকদের সুপেয় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য বাগেরহাট দড়াটানা নদীর পানি পচা দিঘিতে উত্তোলন ও সরবরাহ করে খাবার উপযোগী মিষ্টি পানিতে পরিনত করে একটি বড় প্রকল্পের মাধ্যমে পানির প্ল্যান্ট তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। দড়াটানা সেতুর বিপরীতে মেরিন একাডেমী নির্মান ও শিক্ষা কার্যক্রম চালুসহ কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বিপরীতে কাঠালে হাস মুরগীর প্রজনন কেন্দ্র যেটি আন্তর্জাতিকমানের খামারে পরিনত হবে ।

প্রথিবীর সেরা ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিন, বানর অসংখ্য প্রজাতির বৃক্ষরাজি বেষ্টিত সুন্দরবন-প্রতœতাত্ত্বিক পুরাকৃর্তীর অপার বিশ্ব ঐতিহ্য বিশাল সমুদ্র অঞ্চলকে ঘিরে সামুদ্রিক মাছ ও দক্ষিনাঞ্চলের হাজার হাজার মৎস্য ঘেরে মাছের অবারিত সমারহ। সোনার বাংলা গড়ার কাজ থেমে নেই। বিশ্ব পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এই অঞ্চল বিদেশি রেমিটেন্স অর্জন করে অর্থনৈতিক খাতকে সোনালী সম্ভাবনার অপার সৌন্দর্যময় প্রাকৃতিক লিলাভুমির মহামিলনের এক সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে পরিগনিত হবে। এগুলোর মধ্যে মোংলার দুবলার চর, হিরন পয়েন্ট, ঢাংমারী, করমজল, হারবারিয়া অন্যতম। মোংলা ইপিজেড এখন বৃহত্তর কলকারখানায় সমৃদ্ধ ও আন্তর্জাতিক বাজারে এর পন্য রপ্তানী হচ্ছে। মাওয়া সেতু থেকে পটুয়াখালী পায়রা বন্দর, মোংলা হতে চিলা ও জয়মনি পর্যন্ত গহীন সুন্দর বনের মধ্যে অনায়াসে সড়ক পথে যাতায়াত যেন বিমানের ছোয়া। জয়মনির বৈদ্ধমারীতে প্রায় ১ হাজার একর জমির উপর একটি বেসরকারী সংস্থার উদ্যোগে ইকোট্যুরিজম পার্ক নির্মানের প্রস্তুতি চলছে। এটি দেশি - বিদেশি পর্যটকদের চিত্ত বিনোদন ও আকর্ষনীয় স্পট হিসেবে চিহ্নিত হবে। মোংলার পশুর নদীতে ঝুলন্ত ব্রীজ (সাস্পেন্সন) নির্মানের পরিকল্পনা রয়েছে। মোংলার জয়মনিতে সাইলো এটি একটি মেগা প্রকল্প। বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ৫ শত কোটি টাকায় ৫০ হাজার ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন সংরক্ষণাগার নির্মান কাজ সমাপ্তের পথে। স্বয়ংক্রিয় আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে অতি উন্নতমানের চাল প্রসেসিংসহ ৩০টি পন্য এখানে রাখা যাবে। যেখানে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত গম, চাল সংরক্ষণ ও প্যাকেটজাত করে অতি সহজে এটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেশের চাহিদা মিটাতে সক্ষম হবে। জয়মনিতে জাহাজের মাল খালাসের জন্য একটি নতুন জেটি নির্মিত হয়েছে। এছাড়া এ অঞ্চল জুড়ে ঢাকা সহ নামিদামি বেসরকারী সংস্থা এখানে বড় বড় শিল্প ইন্ডাস্ট্রি নির্মানের জন্য অধিক জায়গা নিয়েছেন। মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেল সেতুর নির্মান কাজে বরাদ্দ হওয়ায় এ অঞ্চল বাংলাদেশের মধ্যে যুগান্তকারি পদক্ষেপ হিসেবে সরকারের উন্নয়নের মাইলফলক চিহ্নিত হওয়ায় আমরা গর্বিত।

বাগেরহাটের শরনখোলা বলেশ্বর নদীর মোহনায় জেগে ওঠা দশ কিঃমিঃ বাই দশ কিঃমিঃ জুড়ে মাঝের চরের অবস্থান। এটি বরগুনা জেলার অন্তর্গত। পায়রা বন্দরের পুর্নাঙ্গ গতিশীলতা পেলে পর্যটন কেন্দ্র-ফাইভ স্টার হোটেল-মোটেল-হেলিপ্যাড-নৌ বিহারের জন্য স্পীডবোর্ড এবং দেশি বিদেশি ব্যাবসায়ী এজেন্ট ও দর্শনার্থীদের অবাধ অবস্থানের সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত হিসেবে এটিকে আধুনিক আদলে গড়ে তোলা হবে।

ইতোমধ্যে সমদ্রের একটি বিরাট অংশ আমরা অর্জন করলেও নিজস্ব সম্পদের সুষ্ঠু ব্যাবহারের জন্য গভীর সমুদ্রে ইলিশ প্রজনন প্রক্রিয়া ও ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ার সময় - ঝাটকা নিধন ও নদীতে বাধা জাল নিষিদ্ধ করায় এবং সমুদ্রে মাছ বৃদ্ধির কৌশল হিসেবে সরকার কর্তৃক অসহায় দুঃস্থ জেলে মৎস্যজীবি সম্প্রদায়ের মধ্যে পরিচয়পত্র প্রদানসহ প্রতি জেলে পরিবারের মধ্যে ৩০ কেজি করে মোট চার মাস বিজিএফ চাল বিতরন কার্যক্রম চালু করেছে । এরই অংশ হিসেবে ২০১০ সাল এবং বর্তমান ইলিশ মৌসুমে প্রায় এক যুগ পর সমুদ্রগামী জেলেরা তাদের জালে প্রচুর রুপালী ইলিশ ধরা পড়ায় পাথরঘাটা - বরগুলা - ভোলা - আলীপুর - মহিপুর - বরিশাল - পিরোজপুর - বাগেরহাট - খুলনা মোকামে ইলিশের মহা উৎসব চলছে । কুতুবদিয়া - নিঝুমদ্বীপ - মনপুরা সহ উপকুলীয় এলাকা জুড়ে দক্ষিন অঞ্চল পর্যন্ত আল্লাহ প্রদত্ত প্রাকৃতিক উপায়ে কয়েক বছরে জেগে উঠেছে আরেকটি বাংলাদেশের মত ভুখন্ড । যেখানে জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি বর্তমানে তা ছাড়িয়ে ষোল কোটির উপরে । এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সৌভাগ্যের প্রসূতি হিসেবে এখানে বনায়ন - আবাসন এবং ব্যবসা বানিজ্যের কেন্দ্রস্থল সুযোগ - সুবিধা সৃষ্টির লক্ষে নেদারল্যান্ড - সিঙ্গাপুর নগরায়নের ক্ষেত্র অনুসরন করে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সরকার কর্তৃক আবাসনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারলে সমৃদ্ধির বাংলাদেশ - ধনীর বাংলাদেশ হতে আর বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না ।

 

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অসংখ্য উন্নয়নমুলক স্থাপনা তৈরী ও বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের হাজার হাজার শিক্ষিত বেকার যুবকসহ দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এরা নিজেরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী এলাকা তথা দেশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

রাজনীতির অপর নাম উন্নয়ন। রাজনীতির ধারা সুচিত হয়েছিল সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে। ক্ষুধা মুক্ত দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্যই আমাদের রাজনীতি। যে দলই হোক তারা যদি উন্নয়নের চাবিকাঠি ও বিস্তৃত এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে এগিয়ে আসে তাহলে আমাদের সহযোগিতার হস্ত প্রসারিত করতে বড় অন্তরায় কোথায়! চোখ ধাধানো এই অঞ্চলের উন্নয়নে একটি কথা,সেটি হল সত্য-সুন্দর সৃষ্টির রুপ পায়। তেমনি রাজনীতি মানুষের জন্য-কল্যাণের জন্য।



  
  সর্বশেষ
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়েতে কুকুর-শিয়ালের উৎপাত, ঝুঁকিতে বিমান অবতরণ-উড্ডয়ন
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ
রাণীশংকৈল সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
কক্সবাজারে কৃষি কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত সচিব

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308