শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারকে অস্থিতিশীল করছে যুক্তরাজ্য : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ;   * ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’   * বাল্যবিবাহের কারণে বাড়ছে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন   * চট্টগ্রামে আব্দুল জব্বারের বলীখেলার নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ বলী;   * ঢাকা,চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান ;   * গাজীপুরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অগ্নিকাণ্ড   * কক্সবাজারের টেকনাফে ধরা পড়ল ৪০০ কেজি ওজনের তলোয়ার মাছ   * মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর   * ট্রাকচাপায় সড়কে ঝড়ল অটোরিকশা চালকের প্রাণ   * ৭নং ওয়ার্ডে এনজিও সংস্থা প্রত্যাশী এর সেমিনার অনুষ্ঠিত ;  

   স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
জেনে নিন শিশুর যত্ন
  Date : 01-09-2016

 

শিশুর মনস্তত্ব

১-৫ বছর এ সময়টা শিশুর স্বাভাবিক ক্রমবিকাশের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। এ সময় তার নিজস্বতা, তার ব্যক্তিত্ব গড়ে উঠতে শুরু করে। আদর ভালবাসার সঠিক অর্থ বুঝতে পারে। সেও যে সমাজের কেউ, সংসারে তারও একটা নির্দিষ্ট স্থান আছে এটা উপলদ্ধি করতে শুরু করে। শিশু চিৎকার করে বায়না ধরে তাকে সামলানো দায়। মাঝে মাঝে মা-বাবাকে বা পরিচর্যাকারিনীকেও লাথিÑঘুষি মারতে দ্বিধা করে না। এমনই ধরনের সমস্যা আজকাল বেশ দেখা যাচ্ছে।  এ সব ক্ষেত্রে বেশীরভাগই দেখা যায় শিশুর বয়স ৩-৪ বছরের মত। একটু মনযোগ শিশুকে বুঝতে চেষ্টা করলে দেখা যাবে, তার এমনই ধরনের ব্যবহারের পেছনে রয়েছে ছোট্ট কোন সমস্যা, যা সহজেই দূর করা সম্ভব।

হয়তো মা Ñ বাবা দু’জনেই বাইরে কাজ করেন। নিজেদের চাকুরি এবং একরাশ সমস্যার পরে সন্তানের জন্য তারা আর বেশি সময় দিতে পারে না। কাজ থেকে ফিরে ক্লান্ত শরীরে মা যখন রান্না ঘরে যান,অথবা বাবা একান্ত আয়েশে শরীরটা গড়িয়ে দেন বিছানায়, তখন হয়তো সে চাইছে তারা তার সাথে খেলবে। সারাদিনের জমা করে রাখা একরাশ প্রশ্ন নিয়ে সে হাজির হয় তাদের সামনে। কোন এক সময় বিরক্ত হয়ে তারা তাকে ধমক দেন। হয়তো কোন সময় দু’একটা চড়Ñথাপ্পর দিতেও দ্বিধা করেন না। তখন শিশুর মনে বাসা বাধে দুর্দান্ত অভিমান। তার বহিঃপ্রকাশে সে হয়তো হয়ে উঠে অস্বাভাবিক দুষ্ট। এটা ভেঙ্গে, ওটা নষ্ট করে তাকে মেরে, একে ধমক দিয়ে তারা মাÑবাবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। অনেক সময় এ সমস্যাটা শুরু হয় অন্যভাবে। বাবা হয়তো বিদেশে থাকেন ,শিশু মায়ের কাছে থাকে। বাবার অবর্তমানে সংসার চালাতে গিয়ে মা স্বভাবতই পরিশ্রান্ত। তারপরও মাঝে মাঝে শিশুদের বিভিন্ন রোগÑব্যাধি ইত্যাদির কারনে উদ্বিগ্নতা বেড়ে যায় দ্বিগুন। ফলে মা মানসিক ভাবে থাকেন অত্যন্ত ক্লান্ত। এতোসব সামলিয়ে শিশুকে সময় দেয়া তার পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, এবং তখনও এমনি ধরণের সমস্যার শুরু হয়।

অনেক সময় একান্নবর্তী পরিবারে হয়তো আছে একটা শিশু,অথচ তাকে আদর করার লোকের অভাব নই। খালা, মামা, ফুফু, দাদা, দাদী, নানা, নানী এমনি আরো বেশ ক’জন। খালা কলেজ থেকে ফেরার সময় চকলেট নিয়ে ফিরছেন, মামা বিকেলে চাইনিজে নিয়ে যাচ্ছেন, ফুফু হয়তো জামা কিনে দিচ্ছেন এবং এমনি করে আদরের আতিশয্যে তার ভিতর “ইগো” অর্থাৎ ‘‘আমিই একা” এমনি একটা ভাব জন্ম নেয়। সে বুঝে নেয়, বাবাÑমাকে পরোয়া না করলে কোন ক্ষতি নেই। তাকে আদর করার অন্য লোক আছে এবং এমনি করে তার ভিতর থেকে গড়ে ওঠে এক স্বার্থপর র্শিশু।

অনেক সময় বাবা হয়তো ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। সারাদিন ব্যবসা দেখে ঘরে ফিরেন শিশুর জন্য চাইনিজ নিয়ে। অন্য কোথাও,অন্য কারো সাথে মিশে যেন নষ্ট না হয়ে যায়Ñএ জন্য ঘরে কিনে দেন ভি.সি। আজকাল আবার তার সাথে যুক্ত হয়েছে কম্পিউটার আর স্যাটেলাইট চ্যানেল। শিশুকে সারাক্ষণ হয়তো  কম্পিউটার গেইম খেলতে দেয়া হয়, অথবা সারাদিনই ‘কার্টুন’ চ্যানেলের সামনে বসিয়ে রাখা হয়। “আমার সন্তান কার্টুন চ্যানেল বন্ধই করতে দেয়না”Ñএটা বলতেও মনে হয় আজকাল অনেক মাÑবাবা গর্ববোধ করেন। এর সাথে আরো রয়েছে বিজাতীয় নাচÑগান সমৃদ্ধ বিভিন্ন বিদেশী চ্যানেল। তাছাড়া আমাদের দেশের চ্যানেলও আজকাল বিজ্ঞাপনের নামে বিভিন্ন নাচÑগান দেখানো হয়। আর অধুনা মাÑবাবারাও শিশুকে খাওয়াবার জন্য সামনে বসিয়ে রাখেন। কিন্ত তারা বোঝেন না এতে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়। চাইলেই বা কাঁদলেই পাওয়া যায়Ñতার ভিতর এমনি একটা ধারনা জন্ম নেয়। ফলে টিভি,চ্যানেল, কম্পিউটার ছাড়া সে খায়না। এটা শিশুর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

শিশু মনস্তত্ব অত্যন্ত জটিল ব্যাপার। একটা শিশুকে বুঝতে হবে, তাকে জানতে হবে।ছোট হলেও সে মানুষ। “আমার সন্তানকে মানুষের মত মানুষরূপে গড়ে তুলব বলেই পাড়ার কারো সাথে মিশতে দেই না। সারাক্ষণ সে থাকে কড়া ধমক আর নিয়ম কানুনের মাঝে। এটা ধরিস না,ওটা করিস না,এটা ভুল এমনিভাবে শিক্ষা দেই, যেন সে এখন থেকেই বুঝতে পারে, কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ। আর তাছাড়া আজকালকার ছেলেমেয়ে”... এটা ভুল। শিশু দুষ্টুমি করবেই।এটা তার স্বাভাবিক ধর্ম। বরং দুষ্টুমি না করাটাই অস্বাভাবিক। আর সারাক্ষণ কড়া শাসনে রাখলে শিশুর কোমল মনে একটা অপরাধবোধ জেগে উঠবে। শিশুকে তার নিজস্বতা,তার স্বকীয়তা নিয়ে বড় হতে দিতে হবে। একবার আদর, একবার সোহাগ, প্রয়োজনে ধমক বা তিরষ্কারÑএমনি করে তাকে বড় করে তুলতে হবে। এ পরীক্ষা অত্যন্ত কঠিন। এতে পাশ করতে অনেক ধৈর্য্যের প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, বেশি আদর শিশুর জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর। তাতে সব কিছু পাবার একটা গোপন বাসনা তার মনে দেখা দেয়। আর তাকে কার্যকর করতে ধীরে ধীরে সে অন্যায় করতেও পিছপা হয় না। বাবার পকেট কাটা, মায়ের ভ্যানিটি ব্যাগ খুলে টাকা নেয়া তার জন্য নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে। পথে বেরোলেই এটা ওটার বায়না ধরা তার জন্য স্বাভাবিক,এবং তা কিনে না দেয়া পর্যন্ত মাÑবাবাকে কিলÑচড়, লাথি মারতেও সে দ্বিধাবোধ করে না। এটা নিশ্চয় ভালো না। তাই শিশুকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হবে। একটা লতানো গাছকে আশ্রয় দিলেই চলে না, তাকে উপরে উঠার পথও দেখিয়ে দিতে হয়। শিশু লতার মত। তাকে বড় করলেই চলবে না,আদর আর অনুশাসনের মাধ্যমে তাকে মানুষরূপে গড়ে উঠবার পথ তৈরি করে দিতে হবে। আর এর উপরই সন্তানকে মানুষ করার মাÑবাবার সাফল্য পুরোপুরি নির্ভর করছে।



  
  সর্বশেষ
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারকে অস্থিতিশীল করছে যুক্তরাজ্য : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ;
ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
বাল্যবিবাহের কারণে বাড়ছে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
চট্টগ্রামে আব্দুল জব্বারের বলীখেলার নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ বলী;

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308