শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত   * মাদক কারবারে ককস বাজারের সাবেক এমপি বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি   * দিশেহারা সুগন্ধা দাশের পাশে দাঁড়াল চট্রগ্রামের জেলা প্রশাসন   * আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ;   * আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ;   * রশিদ মিয়া কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান ;   * কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে যে সকল প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন;   * বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলো মিয়ানমারের ৯ বিজিপি সদস্য   * ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দুর্গম সীমান্তে বিজিবি মহাপরিচালক   * টানা ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে লাখ লাখ পর্যটক, হোটেলে কক্ষ না পেয়ে ভোগান্তি  

   প্রবন্ধ
ঈদ মোবারক! ঈদ আসলো ফিরে খুশির ঈদ, মানবতার ভাঙুক নীদ
  Date : 01-07-2016

 

আবুবকর সিদ্দীক

 

ঈদ-উল-ফিতরের পরিব্যাপ্তি ও প্রভাব বহুদূর বিস্তৃত। মুসলিম মানসে ও জীবনে ঈদ শুধুমাত্র আনন্দ উৎসব নয়, বরং এমন একটি মহান ইবাদত যার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা পায়, সাম্যের জয়গানে আন্দোলিত হয় মানব হৃদয়ের দৃশ্যপট।

দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর এই দিনে মুসলমানেরা মহান রবের পুরস্কার ও ক্ষমার আশায় মিলিত হয় ঈদগাহে। তাই, ধর্মীয় পরিভাষায় ঈদ-উল-ফিতরকে ইয়াওমুল জাঝা বা পুরস্কারের দিবসও বলা হয়। আত্মগঠন, আত্মসংযম ও জাতি গঠনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বিশ্ব মুসলিম পালন করে ঈদ-উল-ফিতর।

হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সঃ) যখন মদীনায় আগমন করলেন তখন মদীনাবাসীদের দু’টি দিবস ছিলো যে দিবসে তারা খেলাধুলায় মত্ত থাকতো। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাদের নিকট জিজ্ঞেস করলেন, ‘এ দু’দিনের তাৎপর্য কী?’ তারা জানালো, আমরা জাহেলী যুগে এ দু’দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন রাসূলে করিম (সঃ) বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা এ দু’দিনের পরিবর্তে এরচেয়ে শ্রেষ্ঠ দু’টি দিন দিয়েছেন। তা হলো, ঈদ-উল-আযহা ও ঈদ-উল-ফিতর।’ (সুনানে আবু দাউদ-১১৩৪)।

অন্য হাদীসের মধ্যে নবী (সঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই প্রত্যেক জাতির খুশির দিন রয়েছে। আর ঈদ হলো আমাদের খুশির দিন’

(সহীহ আল বুখারী-৯৫২)।

বস্তুত ঈদের তাৎপর্য সর্বাধিক প্রসারিত। ঈদ-উল-ফিতর হলো গরিব-দুঃখী, অসহায় ও নিঃস্বদের মাঝে যার যা সামর্থ্য আছে তা বিলিয়ে দিয়ে এক কাতারে দাঁড়ানোর আনন্দ। এ আনন্দ তারই নিকট ষোলকলায় পূর্ণ হয়ে ধরা দেয় যিনি এক মাস সিয়াম সাধনায় রত ছিলেন। কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ আর মাৎসর্যকে নিয়ন্ত্রণ করে যিনি তাকওয়ার গুণ অর্জনে ছিলেন একান্ত ব্যাকুল। রমযান মাসে দিনের বেলায় অভুক্ত থেকে উপলব্ধি করেছিলেন অভুক্ত থাকার যন্ত্রণা কতটা বেদনার।

একজন মুমিন মুসলমানের হৃদয়ের কাবায় সর্বদা ধ্বনিত হয় আল কুরআনের বাণী, ‘ইন্নাল্লাহা ইয়া’লামু মা বাইনা ফি ছুদু-রিকুম-নিশ্চয়ই আল্লাহ জানেন যা তোমাদের অন্তরে রয়েছ।’ তাই, ঈদের মহা আনন্দের দিনেও সে গর্বানুভব না করে ইবাদত-বন্দেগির পরিশুদ্ধির সর্বশেষ প্রয়াস হিসেবে দীনতা ও ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে ফিতরা আদায় করে।

ইসলামের ইতিহাসে দৃষ্টিপাত করলে খলিফা হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাবের জীবনীতে খুঁজে পাই এক হৃদয়স্পর্শী ঘটনা-

ঈদের জামাতের সময় বয়ে যায়। কিন্তু যিনি ইমামের দায়িত্ব পালন করবেন সেই আমিরুল মু’মিনিন হযরত ওমর তখনও আসেননি ঈদগাহে। সকলে চিন্তিত, বিচলিত! কোথায় গেলেন খলিফা? অন্বেষণে বের হলেন কয়েকজন। খুঁজতে খুঁজতে এক পর্যায়ে তাকে পাওয়া গেল ক্রন্দনরত অবস্থায় নিজ গৃহের অন্তরীণ এক কক্ষে। দেখা গেল তিনি আল্লাহর দরবারে দু’হাত তুলে অঝোর ধারায় চোখের পানি ফেলছেন। মুনাজাত শেষ হলে প্রশ্ন করা হলো, হে আমিরুল মু’মিনিন! খলিফাতুল মুসলিমিন! আজ ঈদের দিন, খুশির দিন। অথচ, আপনি কাঁদছেন? হযরত ওমর কান্না জড়িত কণ্ঠে বললেন, আজতো খুশি ঐ ব্যক্তির জন্য যে নিশ্চিত হয়েছে তার বিগত তিরিশটি রোযা, তারাবীহ, কুরআন তেলাওয়াত, তাসবীহ-তাহলিল আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে। আমিতো নিশ্চিত হতে পারিনি!

একটু ভাবুন, এই ছিলো জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত সাহাবী হযরত ওমর ফারুকের ঈদ আনন্দ! এ জন্যই ইসলামী শরীয়ত ঘোষণা করেছে, তার জন্য ঈদ নয়, যে উপযুক্ত কারণ ছাড়া রমযানের রোযা পরিত্যাগ করেছে। তার জন্য ঈদ নয় যে মাসভর পাপাচারে লিপ্ত থেকেছে। বরং ঈদ তার জন্য, যে সিয়াম সাধনায় রত থেকে তাকওয়ার গুণ অর্জন করেছে। কুরআনের জ্ঞানে নিজেকে উদ্ভাসিত করে জীবনের প্রত্যেকটি দিকে পরিবর্তন আনায়ন করেছে। আর আজ সমাজের চিত্র হলো, ঈদের আনন্দে তারাই বিভোর, যারা সারা রমযানে একটি রোযাও রাখেনি আর কুরআনের ধারে কাছেও যায়নি।

অর্ধ পৃথিবীর এই খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) ঈদে নিজের সন্তানদের নতুন জামা পর্যন্ত কিনে দিতে পারেননি। ঈদের পূর্ব দিনে তাঁর স্ত্রী এসে বললেন, ‘আমাদের জন্য ঈদের কাপড় না হলেও চলবে। কিন্তু ছোট্ট বাচ্চাটি ঈদের জামার জন্য কাঁদছে।’ হযরত ওমর বললেন, ‘আমারতো জামা কেনার সামর্থ্য নেই।’ তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগারের দায়িত্বে নিয়োজিত সাহাবী হযরত আবু উবায়দা (রাঃ) এর নিকট অগ্রীম এক মাসের ভাতা চেয়ে একটি পত্র প্রেরণ করলেন। মুসলিম জাহানের খলিফার এমন অসহায়ত্বের সংবাদ সম্বলিত চিঠি পেয়ে হযরত আবু উবায়দা কেঁদে ফেললেন। তিনি পত্রবাহককে ভাতা না দিয়ে চিঠির প্রতিত্তোরে লিখলেন, আমীরুল মু’মিনিন, আমি আপনাকে অগ্রীম ভাতা দিতে পারি। তবে আপনাকে দু’টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে।

প্রথমত: আপনাকে আগামী মাস পর্যন্ত জীবিত থাকার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।

দ্বিতীয়ত : যদি জীবিত থাকেন তাহলে মুসলমানরা যে আপনাকে আগামী মাস পর্যন্ত তাদের শাসক রূপে মনোনীত রাখবে এর নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।

ভাতার পরিবর্তে কোষাধ্যক্ষের এ পত্র পেয়ে খলিফা হযরত ওমর নির্বাক! হতভম্ব। তিনি এতো বেশী ক্রন্দন করলেন যে, তাঁর দাঁড়ি মুবারক অশ্রুতে ভিজে গেল।

কী বিস্ময়কর শাসক! কী মহান রাষ্ট্রপতি! যিনি অভাবের তাড়নায় নিজ সন্তানকে ঈদের জামা পর্যন্ত কিনে দিতে পারলেন না। আর আমাদের সমাজপতিদের কী ভয়াল চিত্র! যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে। মাত্র পাঁচ বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকায় নিজ সম্পদ বেড়ে চারশত-পাঁচশত গুণে রূপান্তরিত হচ্ছে। অপরদিকে ইসলামের ইতিহাস হলো-সততার ইতিহাস, ন্যায়পরায়নতার ইতিহাস। নিজ স্বার্থকে বিনাশ করে মানবতার কল্যাণে সবকিছু উৎসর্গ করার ইতিহাস।

ঈদ মুসলমানদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় অবধারিত কর্তব্যের কথা। আত্মত্যাগ ও সহমর্মিতার শিক্ষা দিয়ে সমাজ থেকে স্বার্থপরতার মূলোচ্ছেদ করে। ঈদের সময় ইয়াহুদী ঘরের ইয়াতীম শিশুর প্রতি নবী (সঃ) এর সহমর্মিতা মানবতার এক উজ্জল নিদর্শন। যে শিশুটির পিতা-মাতা খায়বার যুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গের কারণে মুসলমানদের হাতে নিহত হয়েছিলো। সেই শিশুকেই কোলে তুলে নিয়েছিলেন নবী মুহাম্মাদ (সঃ)। শুধু তাই নয় শত্রুর এই শিশু সন্তানকে তিনি কোমল ভাষায় বলেছিলেন, ‘তুমি কি মুহাম্মাদ (সঃ) এর মত পিতা, আয়েশার মত মাতা আর ফাতেমার মত বোন পেয়ে খুশি হওনি?’ শিশুটি স্ব-হাস্যে জানিয়েছিলো, ‘এর থেকে বড় পাওয়া আর কিছুই হতে পারে না।’ নবী পত্নী হযরত আয়েশা (রাঃ) এই শিশুটিকে শুধু নিজ স্নেহে প্রতিপালন করেন নি বরং প্রাপ্ত বয়সে তাকে বিয়ে দেয়ার ঘটনাও ইতিহাসে বিধৃত হয়েছে।

দেখুন! ঈদের সময় শত্রুর সন্তানকেও নিজেদের ভালোবাসায় সিক্ত করার কী মহান নজীর স্থাপন করেছিলেন ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)। কিন্তু সেই নবীর উম্মত হিসেবে আমরা কতটুকু পেরেছি, কতটুকু পারছি এটাই ভাবনার বিষয়। শত্রুর সন্তানতো দূরের কথা নিজ প্রতিবেশীর প্রতিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কী সীমাহীন কার্পণ্যই না আমরা করি!

আজ দেখেছি ময়লা মাখা একটি ছোট খোকা

সামনে তার ভাঙা খাদার অংশ বিশেষ রাখা।

বলছে, ভাই! এতিম তাই হাত পেতেছি হাত

আমার পানে একটু চেয়ে ঘুঁচাও দুঃখের ঘাত।

ভাবতেও অবাক লাগে যখন যাকাত আনতে গিয়ে অসহায় দরিদ্র মানুষগুলো পদপৃষ্ঠ হয়ে প্রাণ হারায়। অথচ যাকাত গরিবের প্রতি ধনীর করুণা নয় বরং ধনীর সম্পদে গরিবের অধিকার।

ঈদকে সামনে নিয়ে আমাদের কত রকম কেনা কাটা! সেই কেনাকাটার মধ্যে পাশের বাড়ীর ইয়াতীম বালক বা বালিকাটির জন্য একটি পোশাক আছে কি ? হয়তো নেই। তাহলে কীসের ঈদ ? যদি ধনী-গরিবের ব্যবধান ভুলে সাম্যের গান গাইতে না পারি!

যে শিশুটি পায়না খেতে শীতে কাঁপে ঠকঠক,

বিদ্যালয়ে পারেনা যেতে মনিব করে বকবক।

সেই শিশুটির জন্য কিছু করি,

সাম্য সুখের নতুন সমাজ গড়ি।

অসহায় হতদরিদ্র শিশুটি যখন হাত পাতে তখন তাকে তাড়িয়ে দেয়ার মত নিকৃষ্ট শিক্ষা আমরা কোথায় পেলাম ?

এরূপ মানুষ নামধারী অমানুষের পরিচয় তুলে ধরতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘না; বরং তোমরা ইয়াতীমদেরকে সম্মান করো না এবং মিসকিনদেরকে খাবার দিতে একে অপরকে উৎসাহিত করো না।’

(সূরা আল ফযরঃ ১৭-১৮)।

আমাদের সমাজে এমন মানুষও রয়েছে যারা অভাবের তাড়নায় না খেয়ে থাকে তবু নিজের সম্মানের কথা ভেবে কারও নিকট হাত পাততে পারেনা, বলতে পারেনা তার অসহায়ত্বের কথা। তাদের প্রতি সহযোগিতার হস্ত সম্প্রসারণ ঈদের একটি শিক্ষা।

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, ‘গোটা সৃষ্টিকুল আল্লাহর পরিবার। অতএব, যে ব্যক্তি আল্লাহর পরিবারের সাথে সদ্ব্যবহার করে সে আল্লাহর সর্বাধিক প্রিয় সৃষ্টি।’ (বায়হাকী)।

হাশরের দিন খোদা বলিবেন-হে আদম সন্তান,

আমি চেয়েছিনু ক্ষুধায় অন্ন, তুমি করো নাই দান।

মানুষ বলিবে-তুমি জগতের প্রভু,

আমরা কেমনে খাওয়াব তোমারে, সে কাজ কি হয় কভু ?

বলিবেন খোদা-ক্ষুধিত বান্দা গিয়েছিলো তব দারে,

মোর কাছে তুমি ফিরে পেতে তাহা যদি খাওয়াইতে তারে।

ঈদ নিজেকে পরিশুদ্ধ করার একটি বিশেষ দিন। যারা রমযান মাস পেয়েও ছিলো পাপের সাগরে আকণ্ঠ নিমজ্জিত, খোদাদ্রোহী কাজে লিপ্ত, পার্থিব জীবনে খেল-তামাশায় মগ্ন হয়ে জীবনের প্রকৃত কর্তব্য ভুলে গিয়েছে তাদের জন্য খোদার দরবারে ক্ষমা পার্থনার সুযোগ রয়েছে এ দিনটিতে।

যখন অত্যাচারীর লাল চোখ টগবগিয়ে ফুটছে, পৃথিবী নামক গ্রহে অসভ্য শকুনিদের উৎপাত, মারণাস্ত্রের উপর্যুপরি আঘাতে বিধ্বস্ত লোকালয়, পাপাত্মার হুঙ্কারে পুণ্যাত্মার হামাগুড়ি, ধরিত্রী জুড়ে দ্বন্ধ-সংঘাত, সিরিয়া, ইরাকে চলমান যুদ্ধ অগণিত মানুষকে সর্বশান্ত করছে, হাজারো শিশুকে করছে পিতৃহীন এমন অবস্থায় ঈদ হতে পারে সকল ভেদাভেদ ভুলে যেতে মানব মুক্তির মহা সম্মেলন, ঘুমন্ত মানবতার নীদ ভাঙার অনুপ্রেরণা। যে সম্মেলন, যে অনুপ্রেরণা ম্লান করে দিতে পারে পরস্পরের হিংসা-বিদ্বেষ, অভিযোগ, অনুযোগ আর রক্তারক্তি, খুন,গুম, অতি ক্ষমতার অপরাজনীতি।

তাই এবারের ঈদে ভেঙে যাক মানবতার নীদ, ভ্রাতৃত্বের ফোয়ারায় উদ্ভাসিত হোক গোটা বিশ্ব, পাপাচার-অনাচারের হোক পরিসমাপ্তি, অনাবিল আনন্দ ¯্রােতে ভেসে যাক অমানবিকতার অক্টোপাস, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

আসুক আবার ফিরে হীরার আলোর দিন,

রহমের দুয়ার খুলে দেন হে রব্বুল আলামীন।



  
  সর্বশেষ
৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত
মাদক কারবারে ককস বাজারের সাবেক এমপি বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি
দিশেহারা সুগন্ধা দাশের পাশে দাঁড়াল চট্রগ্রামের জেলা প্রশাসন
আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ;

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308