শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত   * মাদক কারবারে ককস বাজারের সাবেক এমপি বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি   * দিশেহারা সুগন্ধা দাশের পাশে দাঁড়াল চট্রগ্রামের জেলা প্রশাসন   * আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ;   * আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ;   * রশিদ মিয়া কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান ;   * কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে যে সকল প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন;   * বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলো মিয়ানমারের ৯ বিজিপি সদস্য   * ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দুর্গম সীমান্তে বিজিবি মহাপরিচালক   * টানা ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে লাখ লাখ পর্যটক, হোটেলে কক্ষ না পেয়ে ভোগান্তি  

   মানবাধকিারের কথা
৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সম্মানিত পাঠকের প্রত্যাশা ও আমাদের প্রাপ্তি
  Date : 02-06-2016

 

আশরাফুল মাকলুকাত একটি আরবী শব্দ এর আভিধানিক অর্থ মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আর মানবাধিকার একটি ছোট শব্দ যার সামগ্রিক অর্থ অনেক ব্যাপ্তি। মানুষ যখন জন্মগ্রহণ করে তখন সমাজে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য সামাজিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্র নির্ধারিত পরিপূর্ণ অধিকার নিয়ে জন্মায়। জন্মের পর যখন তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় তখন লঙ্ঘিত হয় মানবাধিকার। মানবাধিকার কি? কেন? এবং কিভাবে লঙ্ঘিত  ও প্রতিষ্ঠিত হয় তা আমাদের জানা দরকার। আর এই কাজটি করে যাচ্ছে মানবাধিকার বিষয়ক এশিয়ার একমাত্র নিয়মিত সৃজনশীল প্রকাশনা মাসিক মানবাধিকার খবর।

২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মানবাধিকার খবর আড়ম্বড়পূর্ণ  অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পথচলা শুরু করে। প্রতি বছর দেশবরেণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে নিয়মিত প্রকাশনা অব্যাহত রেখে আড়ম্বড়পূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীগুলো পালন করে আসছে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে হরতাল, অবরোধ ও প্রেট্রোল বোমার সহিংসতায় তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পরেও অনুষ্ঠানটি উদযাপন করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য সকলের কাছে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। চলতি বছর নানান প্রতিকূলতার কারনে ফেব্রুয়ারি মাসে ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে না পেরে অবশেষে ৫ জুন পত্রিকাটির ৫ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হতে যাচ্ছে।

 

প্রিয় পাঠক, আমরা কাগজের মানুষ। আমাদেরও আছে পাতা কিন্তু সেটা খবরের কাগজের পাতা। প্রতি মাসে নতুন নতুন পাতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হই। ইচ্ছে থাকে আমাদের এ্ই সব পাতা ভরে উঠুক মানবাধিকারের ভাল ভাল খবর নিয়ে। মানবাধিকার খবর নামের মধ্যে আছে দু’টি শব্দ মানবাধিকার আর খবর। আকাঙ্খা থাকে, দেশের মানবাধিকার কুশল আপনারা জানুন, আপনারাও সবাই ভাল থাকুন। আপনাদের ভাল থাকা মানে দেশের ভাল থাকা। আর প্রতি মাসের প্রথম দিকে আপনার দরজায় কড়া নাড়ে আমাদের এই পত্রিকাটি।

আজকে মানবাধিকার খবরের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, এ কথা ভাবতে গেলে আমরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি; আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা আর কৃতজ্ঞতায় নত হই। কারন, মানবাধিকার  খবর সারা পৃথিবীতে হাজার হাজার পাঠকের হৃদয়ে কড়া নাড়ে। প্রতি মাসে ছাপা কাগজে ও ডিজিটাল মাধ্যমে অগনিত পাঠক মানবাধিকার খবর পড়েন। ফেসবুক ও ওয়েব পেজের মাধ্যমে অনুসরণ করেন হাজার হাজার পাঠক। শুধু কি সংখ্যা? রাজধানীর কেন্দ্র থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনপদের সব স্তরের পাঠক কি অসম্ভব ভালবাসার কথা আমাদের জানান।

 

অসংখ্য পাঠক যখন জানান ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে প্রতিটি সংখ্যা কিনে তিনি পড়ছেন। বিলেতের কবি ফ্রষ্ট্রের কবিতায় একটা বহুল উদ্ধৃত পঙ্তি আছে।  ‘আই হ্যাভ এ লাভারস কুয়ারাল উইথ দ্যা ওয়ার্ল্ড পৃথিবীর সঙ্গে আমার ভালোবাসা ঝগড়া। মানবাধিকার খবরের পাঠকের সঙ্গেও অনেক সময় মানবাধিকার খবরের মান অভিমান হয়।

 

অগনিত পাঠকের অনেক রকম দাবী আর আকাশছোয়া প্রত্যাশা মানবাধিকার খবরের কাছে। সেটা আমরা পূরণ করতে কতটুকু পারি জানি না। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের ভুল ত্রুটি হয়। তাই কখনও কখনও দেখা যায়, কোন কারণে  পরিবারের কর্তা বলেন, আগামী মাস থেকে আর বাসা বা অফিসে মানবাধিকার খবর ঢুকবে না। কিন্তু পরিবারের বা অফিসের বাকি সদস্যরা বাধ সাধেন, মানবাধিকার খবরই রাখতে হবে। কি আর করা আবারও আমরা মানবাধিকার খবর বাসা কিংবা অফিসে। বাসার কর্তাই দু দিন পরে বলে বসেন নাহ মানবাধিকার খবর ছাড়া মানবাধিকার বিষয়ক খবর জানার জন্য অন্য কিছু পড়ে মন ভরে না। এই সব কাহিনী আমরা শুনি তখন আপনাদের প্রতি আমাদের অপার মমতায় মন ভরে যায়। নতুন উদ্যোগে আমরা সামনে এগিয়ে চলি।

প্রয়োজনের তাগিদে জীবনে প্রথম প্রবাসে যাচ্ছেন যে লোকটি, সঙ্গে নিয়ে যান একটুখানি দেশের মাটি আর নেন একটি মানবাধিকার খবর। বাংলার মাটি এবং বাংলা বর্ণমালা যেন সঙ্গে থাকে। তাই তো সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশীরা প্রতিদিন মানবাধিকার খবরের অনলাইন সংস্করণ পড়েন। আর তাদেরই হাত ধরে মানবাধিকার খবর পৃথিবীতে এক নম্বর বাংলা মানবাধিকার বিষয়ক ওয়েববসাইট।

আমরা বিশ্বাস করি, মানবাধিকার খবরের শক্তি আপনারা, আমাদের শ্রদ্ধেয় পাঠকেরা। আমরা প্রতি মাসে ভোটে দাড়াই, আপনি পাঠক, আপনিই আমাদের ভোটার। পকেট থেকে ৩০/- টাকা বের করে যে কাগজটি আপনি কেনেন, আপনার ভোটটি সেই কাগজেই পায়। এখানেই আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আজ ৪ বছর ধরে মানবাধিকার খবর বাংলাদেশ তথা এশিয়ার মানবাধিকার বিষয়ক একমাত্র নিয়মিত পত্রিকা। আর প্রতিবছর এর পাঠক সংখ্যা বেড়েই  চলেছে। 

মানবাধিকার খবরের শক্তি এই বিপুল পাঠক এই সমাজের সবচেয়ে সচেতন অংশ, সোচ্চার, সক্রিয়, কর্মদ্যোগী। মানবাধিকার খবরের দুর্বলতাও তার এই বিপুুল সংখ্যক পাঠক। হয়তো একাধিক পত্রিকায় একই ভুল ছাপা হয়েছে। কিন্তু হইচই পড়ে মানবাধিকার খবরের ভুলটা নিয়ে। পাঠককে বোঝানো যায় না, তারা বলেন অন্য পত্রিকার উদাহরণ  দেবেন না, আমি আপনার পত্রিকা পড়ি। আপনার টায় কেন ভুল থাকবে। কিংবা কর্তৃপক্ষের অন্য পত্রিকা হয়তো নজর কাড়ে না। মানবাধিকার খবর ছাপা হলে মোটামুটি সাড়া পড়ে যায়। আবার মানবাধিকার খবরে ছাপা হলে কাজও হয়। প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে সমাজে অধিকার বঞ্চিত সাধারণ মানুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে নির্ভর করে মানবাধিকার খবরের ওপর। এ যে কত বড় দায়িত্ব। এটা ভেবে আমরা আরও দায়িত্ববান হওয়ার চেষ্টা করি। আরও সচেতন হই, আরও প্রশিক্ষণ, আরও তর্ক-বিতর্ক, আরও যাচাই-বাছাইয়ের পদক্ষেপ নিই। এই বিপুল পাঠক সংখ্যাই সমাজ ও রাষ্ট্রের শক্তিমানদের কাছ থেকে মানবাধিকার খবরের সমালোচনার কারন। অনেকের কাছ থেকেই অনেক সমালোচনা আছে, আছে ক্ষোভ তারপরও  আমরা বহুমুখী সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে সত্যকে সঙ্গী করে সর্বস্তরে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

সারা পৃথিবীতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ক্ষমতার সম্পর্ক দ্বান্দিক। এ সব নিয়েই আমরা এগিয়ে চলেছি। আমরা এগিয়ে যাব, সব পাঠককে সঙ্গে নিয়ে ।

আমরা আমাদের নীতি ও আদর্শ থেকে সরে আসিনি। আমরা আমাদের কলমের মুখে লাগাম টেনে ধরিনি। এই সাহসের মুলেও আপনারাই, আমাদের বিপুল সংখ্যক পাঠক। আপনারা সঙ্গে আছেন বলেই আমরা সাহসী নিরপেক্ষ, বস্তুনিষ্ঠ, আপোষহীন। আপনার সঙ্গে আছেন বলেই আমারা শক্তিশালী। তবুও আমরা বিনয়ী। আমাদের চেষ্টা পরিশীলনের, শুদ্ধতার, সুরুচি, সংস্কৃতি, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা, নারী ও পুরুষের সাম্য প্রগতি, সুশাসনের প্রতি আমাদের যে দায়বোধ তা থেকে আমারা বিন্দুমাত্র সরে আসিনি কখনও আসাবো না। আমাদের সামনে সম্ভাব্য যে সব বিপদ মানবাধিকার লঙ্ঘন, জঙ্গিবাদ ও বাক স্বাধীনতা সংকোচনসহ যাবতীয় অনিয়ম অসংগতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম, আছি, থাকবো। অপরদিকে বাংলার মানুষেরা মানবাধিকার সংরক্ষণ ও প্রতিষ্ঠায় কৃষি ক্ষেত্রে, শিল্পে, উদোক্তা হিসাবে শিক্ষায় স্বাস্থ্যে, তথ্য প্রযুক্তিতে সারা পৃথীবিতে যে সব সাফল্য দেখাচ্ছেন তা আমরা সব সময় গুরুত্বের সাথে তুলে ধরছি মানবাধিকার খবরের পাতায়।

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে মানুষের শ্রম আর সৃজনশীলতা দিয়ে। ১৯৯০ সালের পর প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করেছে। আমরা বিশ্বাস করি এই গনতন্ত্রকে পরিচর্যা করে আরও শক্তিশালী করতে মানবাধিকার খবর সীমাবদ্ধতার মাঝেও নিরলসভাবে সচেষ্ঠ থাকবে।

আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্রের বিকল্প হলো আরও বেশি গনতন্ত্রের চর্চা। আমরা আশাবাদী ক্রমাগত চর্চার মাধ্যমে সর্বত্র সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে পারবো। পারবো মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও  সংরক্ষণ করতে।

বাংলাদেশ যে সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কিংবা মানব উন্নয়নের সূচকে ভাল করেছে তার পেছনে নিশ্চই আমাদের সরকার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসন, সরকারী-বেসরকারী সংস্থা নারী, শ্রমিক, কৃষক, অভিবাসী, আর সাধারণ মানুষের বড় অবদান রয়েছে।  পাশাপাশি রয়েছে অনেক দুঃসংবাদ চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতায় মানুষ আজ উদ্বিগ্ন, উৎকণ্ঠিত, সন্ত্রস্ত। সুশাসনের অভাব রাজনৈতিক অস্থিরতা, গুপ্তহত্যা, গুম, সন্ত্রাস, পরিকল্পিত হত্যাকা-ে, অনিরাপদ ও বিপন্ন বোধ করছে মানুষ। সমাজ ও রাজনীতিতে হিংসা বিদ্বেস বেড়েই চলেছে। এসব আমাদের উদ্বিগ্ন করে। দেশ ও জাতিকে এ সব থেকে মুক্তি দিতে আমরা আমাদের সাধ্য মত চেষ্টা করে যাব।

গনতান্ত্রিক দেশে গণমাধ্যমের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বহু বছর আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসন এক জনসভায় বলেছিলেন সংবাদপত্রহীন সরকার আর সরকার বিহীন সংবাদপত্র দুটোর একটা বেছে নিতে বললে আমি সরকারবিহীন সংবাদপত্রকে বেছে নিতাম। সংবাদপত্রকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। স্বাধীন সংবাদপত্র ছাড়া গণতন্ত্র নিরর্থক।

হাটি হাটি পা পা করে নানান প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে পত্রিকাটির চার বছরের সাফল্যের ঝুড়িতে প্রাপ্তি কম নয়। নানান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশ বিদেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া নারী ও শিশু উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে সাফল্য দেখিয়েছে। পত্রিকাটি গত বছর ভারতের উত্তরাখ- রাজ্যের রুদ্রপুর থেকে বাংলাদেশী কলেজ ছাত্রী, হায়দারাবাদ থেকে বাংলাদেশী গৃহবধূ, চলতি বছর দিল্লীর তিহার জেল থেকে বাংলাদেশী স্বামী-স্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গের লক্ষীকান্তপুর থেকে শিশু উদ্ধার করে বৈধ প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগে মানবাধিকার সংক্রান্ত সংবাদ সমাজের সুবিধা বঞ্চিত, অসহায় নির্যাতিত, নিপিড়িত, মানুষের পাশে থেকে প্রকাশ করে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ও সংরক্ষণে ভুমিকা রাখছে যা বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদপত্র দৈনিক প্রথম আলোসহ দেশী-বিদেশী, ইলেক্ট্রনিক ও পিন্ট মিডিয়াতে গুরুত্বসহকারে প্রকাশ পেয়েছে।

অপরদিকে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় দিক লক্ষ্য রেখে দেশত্ববোধের দায়িত্ব ও চেতনায় এই পত্রিকায় গুরুত্বসহকারে প্রকাশ পাচ্ছে। পর্যটন এবং ভ্রমণ বিষয়ক সংবাদ ও প্রবন্ধ দ্রুত বর্ধনশীল এই শিল্পে এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রভূত ভুমিকা রাখছে। এই উন্নয়নে সহযাত্রী হতে পেরে আমরা গর্বিত।

মানবাধিকার সংরক্ষণ ও প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেওয়ার জন্য আমার প্রতিবছর বিভিন্ন  বিভাগে সম্মানা পুরুস্কার দিতে চাই। এজন্য সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি। এছাড়া “মানবাধিকার খবর” ফাউন্ডেশন গঠনের মাধ্যমে দেশ বিদেশ থেকে বন্দী ও পাচারকারী শিশু উদ্ধার সহ নানানমুখি সেবা দিতে চাই। এজন্য চাই সকলের সহযোগিতা। ইতিমধ্য এই ফান্ডে অনেকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

আমরা একটি জায়গায় ব্যর্থ হয়েছি। যার কারনে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে কিছুটা হলেও অন্তরায়ের সম্মুখীন। সেটা হলো আমাদের জানামতে মিডিয়া ভুক্তির সকল শর্ত পূরন করার পরেও বিশেষ সুবিধা দিতে  না পারায় সংশ্লিষ্ট অসাধু তদন্তকারীর প্রশ্নবিদ্ধ তদন্ত প্রতিবেদনের কারনে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে ও মিডিয়াভুক্ত করতে পারিনি সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাড়ানো এই পত্রিকাটির। এটা আমাদের জন্য একটা শিক্ষা। যা হোক মনিষীদের কথা ধৈর্য্য থাকলে লক্ষ্যে পৌছানো যায়। তাই ধৈর্য্যরে সাথে আমরা সবকিছু মোকাবেলা করতে চাই। মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার জন্য রাজনীতিবিদ সরকার ও সমাজের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের এখানে বেগ পেতে হয়। এটা নিরসন হওয়া উচিত। কারন মানবাধিকার সবার জন্য সমান। সবার জন্য সবখানে।

প্রিয় পাঠক, আপনারা আমাদের প্রতি যে আস্থা ভালবাসা দেখান, তা আমাদের প্রতিনিয়ত ঋণী করে ঋদ্ধ করে। তার প্রতিদান আমরা কিবাবে দেব? আমাদের সবারইতো একটাই চেষ্টা একটা প্রত্যাশা মানবাধিকার প্রতিষ্টা, সবাই মিলে, সেই চেষ্টাইতো করে চলেছি। আপনারা আমাদের সঙ্গে আছেন আশা করি ভবিষ্যতে থাকবেন। আমরাও আপনাদের পাশে আছি।

৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই আলোকিত দিনে সম্মানিত পাঠক বিজ্ঞাপনদাতা, প্রতিনিধি, উপদেষ্ঠা সহ সকলকে বলি আপনারা ভাল থাকুন। ভাল থাকুক আমাদের প্রিয়তম দেশ তথা পৃথিবী।

 

রোটারিয়ান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন

সম্পাদক ও প্রকাশক



  
  সর্বশেষ
৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত
মাদক কারবারে ককস বাজারের সাবেক এমপি বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি
দিশেহারা সুগন্ধা দাশের পাশে দাঁড়াল চট্রগ্রামের জেলা প্রশাসন
আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ;

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308