শিশুকে নিয়ে বাইরে যাওয়া
যদিও আমাদের দেশে প্রচুর আলো বাতাস আছে এবং আবহাওয়াও বছরের প্রায় সর্বক্ষণই ভালো থাকে, তবু শিশুদের নিয়ে বাইরে বেড়ানোর নিয়ম খুব একটা প্রচলিত নেই। তাছাড়া সে যদি ছোট্ট শিশু হয়, তবে তো কথাই নেই। ঘরের কোণে আবদ্ধ করে রাখতেই সবাই বেশি পছন্দ করেন। অথচ শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য বাইরের মুক্ত বাতাস অত্যন্ত প্রয়োজন। শীতের দিনে সকালবেলা ১০ টা/ ১১ টার দিকে শিশুকে কিছুক্ষণের জন্যে রৌদ্রে শুইয়ে রাখা যেতে পারে। গ্রীষ্মকালে বিকেলে যখন রৌদ্রের তাপ কমে আসে তখন শিশুকে হালকা পাতলা কাপড় পরিয়ে বাড়ির আশেপাশেই নিয়ে হাটা উচিত। তাছাড়া সারাদিনে যখনই সময় পাওয়া যায়, তখনই শিশুকে একটু মুক্ত আলো বাতাসের সংস্পর্শে আনা উচিত।
কি কি মনে রাখতে হবে
০১। কাল্পনিক শীতের ভয় বাস্তবিক শীতের চেয়ে বেশি খারাপ। ঠান্ডা লাগার ভয়ে শিশুকে এক গাদা কাঁথা-কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখলেই শিশু ঘেমে যাবে। ফলে তার বেশি ঘামের জন্য জলশূন্যতা ছাড়াও ঠান্ডা লাগা, বমি, কাশি ইত্যাদি হতে পারে।
০২। গায়ে ঘামাচি বা অন্য কিছু দেখলে বা যো কোন রোগের লক্ষন অথবা জ্বর হলে অবিলম্বে হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
০৩। শিশুকে চুষনি দেয়া উচিত নয়। এতে বারবার নোংরা চুষনি মুখে দেয়ায় পেটে খারাপের অসুখ করা ছাড়াও মুখের ও দাতের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং সারাদিন চুষনি চোষার ফলে পেটে প্রচুর গ্যাস জমতে পারে। সেক্ষেত্রে শিশুর ক্ষুধামন্দা হবে এবং সারাদিন পেট ব্যথায় কান্নাকাটি করবে।
০৪।বারবার প্র¯্রাবের ফলে দুই কুঁচকি লাল হয়ে যেতে পারে। খুব সর্তকতার সাথে হালকা গরম পানিতে তুলো ভি।েিয় তা মুছে দিতে হবে এবং দূর করার উপায় সম্বন্ধে চিকিৎসকের পরমর্শ নিতে হবে।
০৫। শিশুর জিহ্বার উপর সাদা আবরণ পড়লে তা দুধ থেকে ও হতে পারে। অথবা অসুখের জন্য হতে পারে। একটা আঙ্গুলে পরিস্কার পাতলা কাপড় জড়িয়ে হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে তা পরিস্কার করার চেষ্টা করা যেতে পারে। এভাবে পরিষ্কার না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
০৬। শিশুর দৈহিক, মানসিক ও বাচনিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক কিনা-তা যাচাই এর জন্য প্রতি তিন মাস অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
এমনিভাবে অত্যন্ত সতর্কতা এবং সাবধানতার সঙ্গে শিশুকে ধীরে ধীরে বড় করে তুলতে হবে।
৪-৬ মাস
তিন মাস বয়সের পর শিশুকে ক্রমবৃদ্ধির হার আগের তুলনায় কিছুটা কমে যায়। এ সময় প্রতি মাসে ওজন ৪০০-৬০০ গ্রাম এবং দৈর্ঘ্যে ১/১-২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে থাকে। ৫ মাস বয়সে শিশুর ওজন জন্ম লগ্নের দ্বিগুন হওয়া উচিত । ৫-৬ মাস বয়সের দিকে সে বসতে শেখে। কোন কোন শিশু এ সময় দাঁত ও উঠতে পারে, যদিও সাধারণতঃ দাঁত উঠার বয়স হচ্ছে ৬-৮ মাস। ৫-৬ মাস বয়সের দিকে সে একই শব্দের পুনরাবৃত্তি এবং শব্দের অনুকরণ তুলে কথা বলতে চেষ্টা করে। ৪ মাস বয়সের পর সে আপনজনদের চিনতে শুরু করে।
১। কথা বলতে চেষ্টা করে।
২। নিজের হাত দিয়ে পায়ের আঙ্গুল ধরে নাড়াচাড়া করে খেলা করে।
৩। শব্দের অনুকরণ তোলে।
অধ্যাপক এম আর খান