শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারকে অস্থিতিশীল করছে যুক্তরাজ্য : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ;   * ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’   * বাল্যবিবাহের কারণে বাড়ছে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন   * চট্টগ্রামে আব্দুল জব্বারের বলীখেলার নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ বলী;   * ঢাকা,চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান ;   * গাজীপুরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অগ্নিকাণ্ড   * কক্সবাজারের টেকনাফে ধরা পড়ল ৪০০ কেজি ওজনের তলোয়ার মাছ   * মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর   * ট্রাকচাপায় সড়কে ঝড়ল অটোরিকশা চালকের প্রাণ   * ৭নং ওয়ার্ডে এনজিও সংস্থা প্রত্যাশী এর সেমিনার অনুষ্ঠিত ;  

   স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
পোলিও
  Date : 01-05-2016

যারা ইতিমধ্যে ওরাল পোলিওর ডোজ সম্পন্ন করেছে তারাও চড়ষরাধী এর টিকা নিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে চড়ষরাধী এর ৩ টি ডোজের টিকা নিতে হবে। ১ম ডোজ নেওয়ার ২ মাস পরে ২য় ডোজ নিতে হবে। ২য় ডোজ নেওয়ার ৬-১২ মাসের মধ্যে ৩য় ডোজের টিকা (চড়ষরাধী বুস্টার ডোজ) নিতে হবে।

বুস্টার ডোজ

আমাদের দেশে যে কোন শিশুর জন্য প্রাথমিক প্রতিষেধক হিসেবে দেওয়া হয় বিসিজি এক ডোজ, ডিপিটি তিন ডোজ, ওরাল পোলিও চার ডোজ, মিজেলস ভ্যাকসিন এক ডোজ এবং হেপাটাইটিস-বি তিন ডোজ। ডিপিটি ও ওরাল পোলিও ভ্যাকসিনের প্রাথমিক সব ক’টি ডোজ দেয়ার ৩ থেকে সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় বুষ্টার ডোজ ডিপিটি ও পোলিও ভ্যাকসিন দেওয়া যায়।

প্রথম বুস্টার ডোজ দেয়ার ৩ থেকে সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ ডিপিটি ও পোলিও ভ্যাকসিন দেয়া যায়। সাধারণত ট্রিপল অ্যান্টিজেন (ডিপিটি)-এর সাথে পোলিও ভ্যাকসিন খাওয়ানো হয়। দ্বিতীয় বুষ্টার ডোজ দেওয়ার ৫ বছর পর তৃতীয় বুষ্টার ডোজ দেয়া যায়। তৃতীয় বুস্টার ডিপিটির বদলে দিতে হয় ডিটি। (তবে ৫ বছরের বেশী বয়সের শিশুদের সাধারণত ডিপিটির  পরিবর্তে ডিটি দিতে হয়)।

টিটি বুস্টার ডোজ ঃ উপরের নিয়ম ছাড়াও যদি কোন নোংড়া যায়গা বা রাস্তাঘাটে ধুলা-ময়লার মধ্যে কেটে যায় বা ক্ষত হয় তাহলে ধনুষ্টঙ্কারের প্রতিষেধক (টিটেনাস টক্সাইড ১ টি) টিকা বুস্টার ডোজ নেওয়ার ৬ মাস থেকে ১ বছর পর (গুরুত্ব অনুশারে) এক ডোজ দেওয়া যায়।

হেপাটাইটিস-বি টিকা (ঐবঢ়ধঃরঃরং-ই ঠধপপরহব) ঃ নবজাতক থেকে শুরু করে শিশু, কিশোর, পূর্ণ বয়স্ক সবাইকে এ টিকা দেয়া যায়। এটি হেপাটাটাইটিস-বি ভাইরাস ইনফেকশনের প্রাথমিক প্রাথমিক প্রতিষেধক হিসেবে দেওয়া হয়। হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের প্রাথমিক প্রাথমিক প্রতিষেধক হিসেবে ৩ টি ডোজ দিতে হয়। তবে এ ডোজ দেওয়ার নিয়ম(০, ১, ৬ সিডিউল) ঃ প্রথম ডোজটি যে দিন দেয়া হবে তার ১ মাস পর দ্বিতীয়টি এবং তৃতীয়টি দিতে হবে প্রথম ডোজ দেওয়ার দিন থেকে ৬ মাস পর। প্রাথমিক কোর্স সম্পন্ন করার ৫ বছর পর বুস্টার ডোজ দেওয়া যেতে পারে।

তা ছাড়া আর একভাবে বলা যেতে পারে। ০, ১, ২ ও ১২ মাস সিডিউল।  এ ক্ষেত্রে টিকা ৪টি ডোজ দিতে হয়।  প্রথম তিনটি এক মান পর পর। ৪র্থ ডোজটি প্রথম ডোজ নেওয়ার ১২ মাস বা এক বচল পর নিতে হয়।

হিব (ঐরন) ভ্যাকসিন (নিউমোনিয়া ও ম্যানিনজাইটিসের  টিকা) ঃ হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি-কে সংক্ষেপে বলা হয় হিব (ঐরন)।

সাধারণত ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ অন্তর তিনটি ডোজ দেয়া হয়। ডিপটি ও পোলিও অথবা হেপাটাইটিস-বি টিকা দেয়ার সময়ে একই সাথে এ টিকা দেয়া যায়। শিশুর বয়স ৬ থেকে ১২ সপ্তাহে প্রথম ডোজ দেয়া ভালো। তকে শিশুকে এ টিকা দেয়ার যথার্থ সময়টি চিকিৎসক আপনাকে বলে দেবেন।

চহবঁসড় ২৩ : দু বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার পর একটি টিকা, নিউমোকক্কাল রোগের প্রতিষেধক হিসেবে নিউমোকক্কাল পলিস্যাকারাইড টিকা (চহবঁসড় ২৩) দেয়া হয়।

জলবসন্তের টিকাঃ ‘ভ্যারিসেলা জস্টার’ নামক ভাইরাসের সংক্রমণের প্রথম প্রকাশ হলো ভ্যারিসেলা, সাধারণত যাকে বলা হয় জলবসন্ত বা চিকেন পক্স। জলবসন্ত হয়নি এমন কোন ব্যাক্তি এ ভাইরাসে আক্রন্ত হতে পারে। তবে জলবসন্তের টিকা দিয়ে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

৯  মাস বয়স থেকেই এই টিকা দেওয়া যায় এবং ১২ বছর বয়স পর্যন্ত একটি ডোজ দিতে হয়।

টাইফয়েড ভ্যাকসিন ঃ টাইফয়েড একটা সংক্রমক রোগ। সালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া এ রোগের লক্ষণ। সালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া এ রোগের কারণ। স্কুল বয়সী শিশুরা এ রোগে খুব বেশী আক্রন্ত হয়। বর্তমানে যে প্রতিষেধক টিকা পাওয়া যায় তা দু বছরের শিশুকে কার্যকর ও নিরাপদভাবে প্রয়োগ করা যায়। মাত্র একটি টিকা দ্রুত এবং দীর্ঘদিন তাদেও সুরক্ষা দেবে।

প্রথম ডোজ দেওয়ার পর ৩ বছর পর বুস্টার ডোজ নিতে হয়।

মাম্পস-মিজেল রুবেলা (এমএমআর) ঃ মাম্পস-মিজেল-রুবেলা এ তিনটি সংক্রামক রোগের প্রতিষেধক টিকার নাম সংক্রমক রোগের প্রতিষেধক টিকার নাম সংক্ষেপে এমএমআর ভ্যাকসিন। সাধারণত ১৫-১৮ মাস বয়সে এমএমআর প্রশত ডোজ এবং স্কুলে যাওয়ার পূর্বে অর্থ্যাৎ ৪ বছর বয়সে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যায়। তবে হামের টিকার পরিবর্তে নয় মাস বয়সে শিশুকে এমএমআর টিকার প্রথম ডোজ দেয়া যায়। এ ব্যপারে আপনার শিশুর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সাধারণত শিশুর ৯ মাস বয়সে শেষ হলে অর্থ্যাৎ দশ মাসে পড়লেই এই টিকা দেওয়া যেতে পারে। যদি এই বয়সে এমএমআর টিকা দেয়া না হয়ে থাকে, তবে আপানি ও আপনার পরিবারের সবাই এই টিকা যে কোন সময় নিতে পারেন। বিশেষ করে প্রাপ্ত বয়স্ক নারী যারা পূর্বে এ টিকা নেননি তারা সন্তান ধারণের ৩ মাস পূর্বে এমএমআর টিকা নিয়ে রুবেলা থেকে ঝুকিমুক্ত থাকা যায়।



  
  সর্বশেষ
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারকে অস্থিতিশীল করছে যুক্তরাজ্য : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ;
ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
বাল্যবিবাহের কারণে বাড়ছে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
চট্টগ্রামে আব্দুল জব্বারের বলীখেলার নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ বলী;

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308