বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ৭০০কোটি টাকার মালিক চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সোনা আবু গ্রেফতার ;   * কক্সবাজারের মহেশখালীতে গাছ পাচারের সময় ডাম্পার জব্দ   * চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটন বন্ধ, উদ্বিগ্ন সেন্টমার্টিনের ব্যবসায়ীরা   * কক্সবাজারে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ মিছিল করেছে, মামলা দায়ের;   * কক্সবাজারের চকরিয়ায় তিন ইউপিতে প্রশাসক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়োগ   * চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে নতুন ট্রেন চালু প্রথম দিনে আয় প্রায় ৫ লাখ   * টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় ড্রোন বিস্ফোরণ   * চট্টগ্রামে স্থগিত হাবিব ওয়াহিদের কনসার্ট;   * চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পথে চলছে আরও দুই ট্রেন   * বর্তমানে নাগরিক সেবা পেতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন কক্সবাজার পৌরবাসী;  

   সারাদেশ
কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক, জেলা জজ সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  Date : 26-01-2025
মােঃ জানে আলম সাকী, ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম : কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের আগে জমি অধিগ্রহণের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় বাদীর স্বাক্ষর ও নথি জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ। মামলার অন্য আসামিরা হলেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদ।
আদালতে নিযুক্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সিরাজ উল্লাহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমকে  নিশ্চিত করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন,  ২১ জানুয়ারি আদালতে জালিয়াতির বিষয়ে দুদকের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর শুনানি চলে। ২৩ জানুয়ারি আদালত ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অভিযুক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বর্তমানে তাঁরা সবাই পলাতক। পিপি সিরাজ উল্লাহ আরও বলেন, কিছুদিন আগে আসামিরা আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন, পরবর্তী সময়ে তা প্রত্যাহার করে নেন। কেন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন, তিনি জানেন না।
গত বছর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অভিযোগ রয়েছে, কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের আগে জমি অধিগ্রহণের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় বাদীর স্বাক্ষর ও নথি জালিয়াতি করে নিজের নাম কেটে দেন প্রধান আসামি সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন। এ কাজে তাঁকে সহায়তা করেন কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ অপর চারজন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন গত ১ জুলাই জেলার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, হুলিয়া ও ক্রোক পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জমি অধিগ্রহণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মাতারবাড়ীর বাসিন্দা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন। মামলার পরপরই ১ নম্বর আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নথিপত্র পাঠান তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার।
দুদকের আইনজীবীরা জানান, ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বরের মামলা থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনের নাম বাদ দেওয়ার ঘটনা জানতে পেরে কয়েক দিন পর একই আদালতে জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, জেলা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করেন বাদী কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী। সেই মামলার তদন্ত শেষে গত বছরের জুলাই মাসে আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক। নথি জালিয়াতির ঘটনায় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করায় সাবেক জেলা প্রশাসক ও জেলা জজ ছাড়াও আসামি করা হয়েছে বাদীপক্ষের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. জাফর আহমদকে।প্রতিবেদনে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয় দুজনকে। তাঁরা হলেন দুদকের কক্সবাজার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রহিম ও কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম শাহ হাবিবুর রহমান।
দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর বাদীর আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী মামলার আরজির সব কাগজ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফরিদ আহমদের কাছে দাখিল করেন। আদালতের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রুহুল আমিনসহ ২৮ জনের নামসহ আবেদনটি ওই দিন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের (অনুসন্ধান ও তদন্ত) পরিচালক বরাবর পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। আবেদনটি দুদকে পাঠানোর জন্য ২০ নভেম্বর সকাল ১০টায় আদালতের কর্মচারী (এমএলএস) সৈয়দ আকবরকে কক্সবাজার ডাকঘরে পাঠানো হয়। ডাকঘরে পৌঁছানোর আগে তাঁকে আবার আদালতে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর খামটি স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদের মাধ্যমে জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলামের কাছে পাঠানো হয়। এরপর নানা কৌশলে কাগজপত্র থেকে জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনের নাম বাদ দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে দুদক জানায়, ফৌজদারি দরখাস্ত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধের সময় জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনসহ মোট আসামি ছিলেন ২৮ জন। পরে তিনটি পাতায় (পৃষ্ঠা) পরিবর্তন করে ১ নম্বর আসামি রুহুল আমিনকে বাদ দিয়ে ২ নম্বর আসামি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জাফর আলমকে ১ নম্বর আসামি করা হয়। আসামি ২৮ জনের জায়গায় ২৭ জন করা হয়, যাতে বাদীর জাল স্বাক্ষর দেওয়া হয়। পুরো নথিতে কাটাছেঁড়া ও লেখায় ঘষামাজা করে দুদকে পাঠানো হয়। বাদীর স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টি সিআইডির হস্তলিপিবিশারদের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।
দুদক ও আদালত সূত্র জানায়, মাতারবাড়ীতে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপভিত্তিক কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ১ হাজার ৪১৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে চিংড়ি, ঘরবাড়িসহ অবকাঠামোর বিপরীতে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। চিংড়ি ক্ষতিপূরণের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে মনগড়া ২৫টি চিংড়িঘের দেখিয়ে ক্ষতিপূরণের ৪৬ কোটি টাকা থেকে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।


  
  সর্বশেষ
৭০০কোটি টাকার মালিক চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সোনা আবু গ্রেফতার ;
কক্সবাজারের মহেশখালীতে গাছ পাচারের সময় ডাম্পার জব্দ
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটন বন্ধ, উদ্বিগ্ন সেন্টমার্টিনের ব্যবসায়ীরা
কক্সবাজারে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ মিছিল করেছে, মামলা দায়ের;

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308