মােঃ জানে আলম সাকী, ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম: চলতি সপ্তাহে শূন্য হচ্ছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ। বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিমের চাকরির বয়স শেষ হওয়ায় পদটি খালি হচ্ছে। আট মাস দায়িত্ব পালন শেষে চলতি মাসের ৩১ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরোত্তর ছুটিতে যাচ্ছেন তিনি। তবে অবসরে যাওয়ার সুবিধার্থে বোর্ড থেকে ২৯ তারিখে রিলিজ নিবেন বোর্ডের এ কর্মকর্তা। যদিও পিআরএলে যাওয়ার দশ দিন আগেই গত ২১ জানুয়ারি প্রেষণ প্রত্যাহার করে তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়।
এদিকে, পরবর্তী বোর্ড চেয়ারম্যান কে হচ্ছেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ আলোচনা। গুঞ্জন উঠেছে চুক্তিভিত্তিক বোর্ড চেয়ারম্যান হতে দৌড়ঝাঁপ করছেন বর্তমান বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম। ইতিমধ্যে তিনি কয়েকজন শীর্ষ রাজনীতিবিদের সুপারিশ নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘চুক্তিভিত্তিক হিসেবে কিছুদিন চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন বলে বোর্ডে বলাবলি হচ্ছে। এজন্য তিনি চেষ্টা করছেন বলেও শুনেছি।’
এ প্রসঙ্গে জানতে বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এর আগে, গত বছরের ১৪ মে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালকের পদ থেকে চেয়ারম্যান হয়ে বোর্ডে ফেরেন রেজাউল করিম। তার আগে চট্টগ্রাম বোর্ডে সচিব হিসেবে প্রায় নয় মাস দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। তবে, বোর্ডসচিব থাকাকালীন ওএমআর শিট সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ‘হাতে হাতে টাকা’ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অধ্যাপক রেজাউল করিম। দুই দফা কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করার পর গত বছরের ১৯ অক্টোবর তাঁকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলে বদলি করা হয়। ওই বছরের ২৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন অধ্যাপক রেজাউল করিম।
অন্যদিকে, সরকারের পালাবদলের পর নতুন বছরের শুরুতে কারিগরি ও মাদ্রাসাসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান পদে রদবদলের প্রক্রিয়া শুরু করে মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে কয়েকটি বোর্ডের চেয়ারম্যানদের ওএসডিও করা হয়েছে।