চট্টগ্রামের সংষ্কারাধীন কালুরঘাট সেতুতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
চট্টগ্রামের রেলওয়ে (জিআরপি) থানায় ক্ষতির এ পরিমাণের কথা জানিয়ে বুধবার মামলা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার জাহাজের মাস্টার, সুকানিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- এমভি সামুদা-১ জাহাজের কোয়ার্টার মাস্টার ফেরদৌস রহমান, সুকানি ইয়ামিন মোল্লা ও গ্রিজার শাহাদাত হোসেন।
সদরঘাট নৌ থানার ওসি একরাম উল্লাহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেন, “যেহেতু কালুরঘাট সেতু রেল সেতু, তাই মামলাটি জিআরপি থানায় হয়েছে। আরসেতুর পাটাতনের নিচের অংশ নদী হওয়ায় মামলার তদন্ত করবে নৌ পুলিশ।
“মামলায় জাহাজের মাস্টার, সুকানি, গ্রিজারম্যান ও চালকসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি।”মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমভি সামুদা-১’ নামে জাহাজটি কালুরঘাট ব্রিজে ধাক্কা দিয়ে আটকে যায়।
রেলওয়ে সেতু বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিমন মজুমদারের করা মামলায় বলা হয়, মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে ‘এমভি সামুদা-১’ নামে একটি খালি জাহাজ বেপোরোয়া গাতিতে এসে সংস্কারাধীন কালুরঘাট সেতুর ৯ ও ১০ নম্বর স্প্যানে ধাক্কা দেয়।
“এতে ব্রিজের ৯ ও ১০ নম্বর স্প্যানের আন্ডার স্ল্যাং গার্ডার, ওয়াকওয়ে, রেলিং ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ক্ষতির আনুমানিক মূল্য ৫০ লাখ টাকা।”
ওসি একরাম উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, ৬৬ দশমিক ৬৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১১ মিটার প্রস্থের জাহাজটি দুর্ঘটনার পর নৌপুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর সঙ্গে বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একাংশের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এ কালুরঘাট সেতু। সড়ক পথের সব ধরনের যানবাহনের পাশাপাশি এ সেতু দিয়ে ট্রেনও চলাচল করে।
কক্সবাজারের পথে রেল চালুর জন্য কালুরঘাট সেতু সংস্কারের জন্য গত বছরের ১ অগাস্ট থেকে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর মধ্যে ৫ নভেম্বর কক্সবাজারের পথে রেল চলাচল শুরু হয়। প্রায় শতবর্ষী রেল সেতুটি বর্তমানে সংস্কার চলছে। কয়েক দফায় সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার তারিখ ঘোষণা করলেও কাজ শেষ হয়নি। সংষ্কারের পর অন্যান্য যানবাহন চলাচল উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
মােঃ জানে আলম সাকী,
ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।