উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১ম ধাপের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৮ মে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রোববার যাচাই-বাছাই শেষে তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৯ জন প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই তিন উপজেলায় আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রতীক বরাদ্দ ও ৮ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ৩টি পদে ১১ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে চিলমারী উপজেলার কোন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে না নেওয়ায় ১১ জন প্রার্থীরই মনোনয়ন পত্র চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়। চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান চিলমারী উপজেলা জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রুকুনুজ্জামান শাহীন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক যুবলীগ নেতা নুরুজ্জামান আজাদ জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম লিচু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জোবাইদুল ইসলাম বাদল ও মো. আমিনুল ইসলাম। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. জাহিদ আনোয়ার পলাশ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মো. আবু হোসাইন সিদ্দিক রানা।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদীকা আছমা বেগম, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা মহিলা লীগের সাবেক সভানেত্রী মর্জিনা বেগম জেলী, আঞ্জুমান আরা ও মাহরুবা আক্তারের মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়। রৌমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৪ জনের মনোনয়নপত্র বৈধঃ রৌমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একাধীক প্রার্থীসহ মোট ৮ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জনসহ ১৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাইবাচাই শেষে তাদেরকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৮ মে রৌমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রৌমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসি, জাতীয় পাটির সমর্থক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কেএম ফজলুল হক মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু, বিএনপির সমর্থক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী, আওয়ামী লীগ সমর্থক ও সাবেক কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য জাইদুল ইসলাম মিনু, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন আওযামীলীগের সভাপতি ও সাবেক অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলাম জীবন, বাসদ নেতা ও আইনজীবি আবুল বাসার মঞ্জু, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রিয় কলেজের বিভাগীয় প্রধান মিজানুর রহমান মজনু, মুরাদুল ইসলাম। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রৌমারী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার স্মৃতি, বিএনপির সমর্থক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তাজমুন নাহার শাপলা ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আয়শা সিদ্দিকা আইরিন।  ভাইস চেয়ারম্যান পদে রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন, বন্দবেড় ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সামসুল আলম দোহা ও জাতীয় পাটির সমর্থক সেকেন্দার আলী চাঙ্গা। রাজিবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বৈধ ১৪ জন, বাতিল একজনঃ রাজিবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানকারী মোট ১৬ জন প্রার্থী মধ্যে ১ জন চেয়ারম্যন প্রার্থী তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়ায় যাচাইবাচাই শেষে ১৫ জনকে বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারম্যন পদে ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। চেয়ারম্যান পদে রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের মো. শফিউল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আকবর হোসেন হিরো, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল কবির তালুকদার রানা, এছাড়া চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাড়ালেন আওয়ামী লীগে নেতা মো. আব্দুস ছালাম তালুকদার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সমর্থক মোছাঃ রেনু বেগম, আওয়ামী লীগ সমর্থক,মোছাঃ হাসিনা খাতুন, মোছাঃ হাফিজা বেগম, মোছাঃ আকলিমা খাতুন, মোছা. নাসিমা খাতুন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থক মো. বাবু মিয়া, বিএনপি সমর্থক মো. জিয়াউর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টি সমর্থক মো. আব্দুল হামিদ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মো. হামিদুর রহমান, জাতীয়পার্টির নেতা মো. শফিকুল ইসলাম, বিএনপি সমর্থক মো. পাপু মিয়া। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলমগীর জানান, চেয়ারম্যান পদে রৌমারীতে ৮ জন, রাজীবপুরে ৩ জন ও চিলমারীতে ৫ জন সহ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিলে তিন উপজেলায় মোট বৈধ প্রার্থী ৩৯ জন। এছাড়াও ২ জন প্রার্থী প্রত্যাহার হয়েছেন। নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, "আগামীকাল প্রতীক বরাদ্দ হবে, এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হবে। নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করতেছি।"