মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * মোঃ আমির হোসেন বি 2189 এর বেসিক নির্বাচনে কার্যকারী সভাপতি পদে সকলের দোয়া প্রার্থী   * কুমিল্লায় তীব্র গরমে শ্রেণিকক্ষেই অসুস্থ ৭ স্কুল শিক্ষার্থী   * গোপালপুর ইউনিয়নে উপনির্বাচনে মোঃ লিটন মোল্যা চেয়ারম্যান নির্বাচিত   * সড়কে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক   * জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন দপ্তরে এক সরকারি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পরিবারের আবেদন   * উৎকোচ নিয়ে জব্দকৃত রোহিঙ্গার বাড়ী ফেরত দিল ফুলছড়ির রেঞ্জকর্মকর্তা   * বন্ধের পথে ‘কক্সবাজার স্পেশাল’ ট্রেন, যাত্রীদের ক্ষোভ   * কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন ;   * চট্টগ্রামে ফার্নিচার কারখানায় অবৈধভাবে ৬০০ বস্তা চিনি মজুত;   * চিতলমারীতে জায়গা জমির বিরোধ নিয়ে যুবককে পিটিয়েছে প্রতিপক্ষ।  

   সারাদেশ
আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ;
  Date : 17-04-2024

 

১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস বাঙ্গালী জাতির জীবনের এক অবিস্মরণীয় গৌরব গাঁথা এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বাগোয়ান ইউনিয়নের বৈদ্যনাথতলায় ভবেরপাড়া গ্রামের আম্রকাননে গঠিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকার। ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী সরকার’ হিসেবে পরিচিত মুক্তিযুদ্ধকালীন এ সরকারের দক্ষ নেতৃত্ব ও পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের মধ্য দিয়ে জাতি লাভ করে স্বাধীনতা।

1৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত বিভক্তির পর ‘পূর্ববাংলা’ হিসেবে এই বাংলাদেশ পাকিস্তানে অন্তভুর্ক্ত হলেও ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ অঞ্চলের নামকরণ করা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান’। এভাবে অতিবাহিত হয় দীর্ঘ ২৩ বছর। কিন্তু এই সময়ে পাকিস্তানী শাসন-শোষণে অতিষ্ট হয়ে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং দীর্ঘ ৯ মাস ব্যাপী এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ অর্জন করে এক অনন্য ও অবিস্মরণীয় মহান বিজয়। এভাবে অভ্যুদয় ঘটে স্বতন্ত্র স্বাধীন ও সার্বভৌম নতুন এক রাষ্ট্রের। আর নতুন এই রাষ্ট্র বিশ্বসভায় পরিচিত হয় ‘বাংলাদেশ’ নামে। এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রাপ্তির পিছনে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের অবদান ছিল অনন্য। আর তাই ৫৩ তম বছরেও আমাদের বারবার ফিরে ফিরে যেতে হয়, স্মরণ করতে হয় মুজিবনগর দিবসকে।

মুজিবনগর সরকার গঠনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণে দেখা যায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ভয়াবহ গণহত্যার নৃশংসতার পর আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রধান নেতা তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশ সরকার গঠনের পরিকল্পনা শুরু করেন। প্রথম আত্মরক্ষা, তারপর প্রস্তুতি এবং সর্বশেষ পাল্টা আক্রমণ এ নীতিকে সাংগঠনিক পথে পরিচালনার জন্য তিনি সরকার গঠনের চিন্তা করে থাকেন। ১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ মেহেরপুর সীমান্ত অতিক্রম করে তিনি ভারতে পৌঁছান। 

দিল্লীতে পৌঁছানোর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের আগে ভারত সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে তাজউদ্দীন আহমদের কয়েক দফা বৈঠক হয় এবং তিনি তাদের বাঙ্গালীর মুক্তি সংগ্রাম পরিচালনার জন্য যে সব সাহায্য ও সহযোগিতা প্রয়োজন তা বুঝিয়ে বলেন। এ সময় তিনি উপলদ্ধি করেন যে, আওয়ামী একজন নেতা হিসেবে তিনি যদি সাক্ষাৎ করেন তবে সামান্য সহানুভূতি ও সমবেদনা ছাড়া তেমন কিছু আশা করা যায় না। 

সরকার গঠন ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ঐ সরকারের দৃঢ় সমর্থন ছাড়া বিশ্বের কোন দেশ বাংলাদেশের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবে না। তিনি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণার প্রাক্কালকেই স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারের সূচনা হিসেবে মূল্যায়ন করেন। ৪ এপ্রিল দিল্লীতে ইন্দিরা গান্ধীর সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারের রাষ্ট্রপতি এবং নিজেকে প্রধানমন্ত্রী রূপে উপস্থাপন করেন। ইন্দিরা গান্ধী স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি দান এবং স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে সর্বপ্রকার সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। এভাবেই বাংলাদেশ সরকারের ধারণার সূচনা হয়। 

ইন্দিরা গান্ধীর সাথে বৈঠক শেষে পশ্চিমবঙ্গের আগরতলায় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল তাজউদ্দীন আহমদ আওয়ামী লীগের নির্বাচিত এমএনএ এবং এমপিএ নিয়ে অধিবেশন আহবান করেন। এ অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনার জন্য মন্ত্রীপরিষদ গঠিত হয়। এই মন্ত্রীপরিষদ এবং এমএনএ ও এমপিএ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করে। 

সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়। তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, খন্দকার মোশতাক আহমেদ ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে মন্ত্রীপরিষদের সদস্য নিয়োগ করা হয়। ১১ এপ্রিল এমএজি ওসমানীকে প্রধান সেনাপতি এবং মেজর জেনারেল আব্দুর রবকে চীফ অব স্টাফ নিযুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ১১ এপ্রিল বাংলাদেশ বেতারে মন্ত্রী পরিষদ গঠনের ঘোষণা দিয়ে ভাষণ প্রদান করেন। যা আকাশবানী থেকে একাধিকবার প্রচারিত হয়। তাজউদ্দীনের ভাষণের মধ্য দিয়েই দেশ বিদেশের মানুষ জানতে পারে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম পরিচালনার লক্ষ্যে একটি আইনানুগ সরকার গঠিত হয়েছে। 

নবগঠিত সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের জন্য প্রথমে কুষ্টিয়া জেলার চুয়াডাঙ্গা মহাকুমাকে বেছে নেয়া হয় এবং ১৪ এপ্রিল শপথ গ্রহণের তারিখ চূড়ান্ত হয়। কিন্তু শপথ গ্রহণের তারিখ ও স্থান আকাশবানীর মাধ্যমে প্রচারিত হলে পাকিস্তানী বাহিনী চূয়াডাঙ্গার উপর আক্রোশে ফেটে পড়ে, ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়ে চুয়াডাঙ্গা দখল করে নেয় এবং হাডিঞ্জ সেতুর উপর গ্রেনেড বর্ষণ করে সেতুর ক্ষতি করে। পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক চুয়াডাঙ্গা দখল এবং হাডিঞ্জ সেতু আক্রান্ত হলে শপথ অনুষ্ঠানের সময় ও স্থান পাল্টায়। পরবতীর্তে শপথ অনুষ্ঠানের জন্য ১৭ এপ্রিল তারিখ এবং ভারত সীমান্তবতীর্ মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলাকে বেছে নেয়া হয়। 

১৭ এপ্রিল কাক ডাকা ভোরে ১০০টি বাস ও গাড়িতে করে কলকাতার প্রেসক্লাব, হোটেল গ্র্যান্ড ও হোটেল পার্ক এবং কলকাতার পাশ্ববতীর্ এলাকা থেকে জনপ্রতনিধি, রাজনীতিবিদ, দেশি—বিদেশি সাংবাদিকদের নিয়ে মেহেরপুরের দিকে পথযাত্রা শুরু হয়। মেহেরপুরের দিকে এই যাত্রা ছিল এক অজানা ও অনিশ্চিত পথযাত্রা। শুধু নিশ্চিত ছিল স্বাধীনতা।

মেহেরপুরের তৎকালীন মহাকুমা প্রশাসক তওফিক এলাহী চৌধুরীর উদ্যোগে অনাড়ম্বরপূর্ণ শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছোট একটি মঞ্চে শপথ অুনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়া হয়। দেবদারুর কচিপাতায় রচিত তৈরি হয় তোড়ন। তোড়নের দু’পার্শ্বে শোভা পায় বঙ্গবন্ধুর ছবি। শপথ গ্রহণ স্থলে সকাল ৯ টা থেকেই নেতৃবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিদের আগমন শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন দেশি—বিদেশি সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, গ্রামবাসী ও ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। বিদেশি সাংবাদিকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মার্ক টালি ও পিটার হেস। পবিত্র কোরান তেলোয়াত এবং গীতা পাঠের পর আনসার বাহিনীর ছোট একটি দলের অভিবাদন গ্রহণ শেষে স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত “আমার সোনার বাংলা” পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সেই অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেছিলেন ১৭ বছরের এক কিশোর বাকের আলী। আওয়ামী লীগের চীফ হুইপ অধ্যাপক শেখ মো. ইউসুফ আলী বাংলার মুক্ত মাটিতে স্বাধীনতাকামী কয়েক হাজার জনতা এবং শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে ৪৬৪ শব্দের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। 

ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ইউসুফ আলী রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতে উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শপথ বাক্য পাঠ করান। তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি একে একে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর তিন সহকমীর্কে পরিচয় করিয়ে দেন। শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংসদ সদস্য জনাব আব্দুল মান্নান। অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী উভয়েই বক্তব্য পেশ করেন। 

ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন, ‘আজ আমরা লড়াইয়ে নেমেছি। এ লড়াইয়ে আমাদের জয় অনিবার্য। আজ না জিতি কাল জিতব। কাল না জিতি পরশু জিতবই, মানবতার, গণতন্ত্রের এবং স্বাধীনতার জয় চাই। পৃথিবীর মানচিত্রে আজ যে নতুন রাষ্ট্রের সূচনা হলো তা চিরদিন থাকবে। পৃথিবীর কোন শক্তি তা মুছে দিতে পারবে না। 

প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন, ‘পাকিস্তান আজ মৃত এবং অসংখ্য আদম সন্তানের লাশের তলায় তার কবর রচিত হয়েছে। বিশ্ববাসীর কাছে আমরা আমাদের বক্তব্য পেশ করলাম। বিশ্বের কোন জাতি আমাদের চেয়ে স্বীকৃতির বেশি দাবিদার হতে পারে না। কেননা, আর কোন জাতি আমাদের চাইতে কঠোরতর সংগ্রাম করেনি। অধিকতর ত্যাগ স্বীকার করেনি। জয বাংলা’। অর্থাৎ এর মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রী দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশকে স্বাীকৃতি প্রদানের আহবান জানালেন। 

আর এভাবে মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সূচনা হলো। ঐদিন থেকে শপথ গ্রহণ স্থানের নাম দেয়া হয় মুজিবনগর। মুজিবনগরকে অস্থায়ীভাবে বাংলাদেশের রাজধানী ঘোষণা করা হয়। মুজিবনগরে শপথ গ্রহণের মাত্র দুই ঘন্টা পরেই পাকিস্তানী বাহিনীর বিমান মুজিবনগরে বোমাবর্ষণ করে এবং মেহেরপুর দখল করে নেয়। ফলে নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য মুজিবনগরের সদর দপ্তর কলকাতার ৮ নং থিয়েটার রোডে স্থানান্তরিত হয়। শপথ গ্রহণের পরদিন ১৮ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদের সভায় মন্ত্রণালয় বন্টন করা হয়। এই সরকারের চার জন মন্ত্রী ১২টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন।

স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে আগামী দিনের প্রত্যাশিত দিক নির্দেশনা, সাংবিধানিক ও যৌক্তিক অধিকার রক্ষার জন্য মুজিবনগর সরকার গঠন করা তখন অপরিহার্য ছিল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সাথে নয় মাস ব্যাপী সশস্ত্র এই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। মুক্তিবাহিনীর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, অস্ত্র গোলাবারুদ সরবরাহ, খাদ্য ও চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ সরকার প্রায় এক কোটি শরণার্থীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কূটনৈতিক দক্ষতার মাধ্যমে বিশ্বের কাছে মুক্তিযুদ্ধের বাস্তবতা উপস্থাপনসহ একটি সময়োপযোগী প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। 

ঐতিহাসিক ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলার আম্রকাননে নেই বিপ্লবী ও প্রবাসী সরকারের শপথগ্রহণ শুধু আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ ছিল না বরং এই শপথ ছিল যুদ্ধ পরিচালনা ও পাক হানাদার বাহিনীকে স্বদেশভূমি থেকে বিতাড়িত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশিত পথে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের শপথ। সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর বিশাল এই জনযুদ্ধকে প্রতিটি বাঙ্গালীর জীবনযুদ্ধ হিসেবে বরণ করার শপথ। যার রক্তিম পথ বেয়েই অর্জিত হয়েছেআমাদের এই পবিত্র স্বাধীনতা। 

মােঃ জানে আলম সাকী,

ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম



  
  সর্বশেষ
মোঃ আমির হোসেন বি 2189 এর বেসিক নির্বাচনে কার্যকারী সভাপতি পদে সকলের দোয়া প্রার্থী
কুমিল্লায় তীব্র গরমে শ্রেণিকক্ষেই অসুস্থ ৭ স্কুল শিক্ষার্থী
গোপালপুর ইউনিয়নে উপনির্বাচনে মোঃ লিটন মোল্যা চেয়ারম্যান নির্বাচিত
সড়কে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308