শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৯০ হাজার দিরহামসহ যাত্রী আটক   * আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াল চুয়েট শিক্ষার্থীরা   * ব্যাংক পরিচালক পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া সেই প্রতারক গ্রেপ্তার;   * প্রেম করে বিয়ে,ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার   * অসহায়দের জন্য কুড়িগ্রামে ৮ টাকায় শাড়ি-লুঙ্গির হাট   * অজ্ঞাত দুই যুবক লুটে নিলো কুড়িগ্রামের বৃদ্ধের শেষ সম্বল   * ফেনী জেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাংয়ের ৬ সদস্য কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব   * বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারকে অস্থিতিশীল করছে যুক্তরাজ্য : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ;   * ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’   * বাল্যবিবাহের কারণে বাড়ছে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন  

   সারাদেশ
তথ্য গোপন করে উপাচার্যের পদে আব্দুল মঈন;
  Date : 28-03-2024
তথ্য গোপন করে দু’বার ইনক্রিমেন্ট নিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এফ এম আবদুল মঈন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির মতে, নিয়ম অনুযায়ী তিনি ইনক্রিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন না। কাজেই এটি একটি অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি। ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর উপাচার্য বলেছেন, তিনি ইনক্রিমেন্টের অর্থ ফেরত দিতে প্রস্তুত। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকালীন চাকরির জন্য কোনো বর্ধিত পেনশন বা ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্য হবেন না। তবে উপাচার্য আবদুল মঈন নানা ছলচাতুরী করে এ সুবিধা নিয়েছেন। তিনি ২০১১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ছাড়লেও উপাচার্যের নিয়োগ প্রজ্ঞাপনে শিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করেন। এ কারণে তাঁকে দুইবার ইনক্রিমেন্ট দিয়েছে কুবির অর্থ দপ্তর। এ নিয়ে শিক্ষকরা কোষাধ্যক্ষকে প্রশ্ন করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তথ্য গোপন করে তিনি উপাচার্য হয়েছেন এবং অনৈতিকভাবে ইনক্রিমেন্ট গ্রহণ করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপাচার্য মঈন ২০১১ সালে ঢাবির শিক্ষকতা ছেড়ে দেন। তখন তিনি গ্রেড-৩-এর অধ্যাপক। চাকরি ছেড়ে তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষকতা করেন। পরে ঢাবিতে চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপক হিসেবে ফের নিযুক্ত হন। পরে কুবিতে তাঁকে উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হলে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ঢাবি থেকে তাঁকে রিলিজ দেওয়া হয়। এর পরই তিনি কুবিতে যোগদান করেন। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী, তৃতীয় গ্রেডের অধ্যাপক হিসেবে ৬৮ হাজার ৭৭০ টাকা বেতন পেয়ে আসছিলেন তিনি। পরে দুইবার ইনক্রিমেন্ট নিয়ে বর্তমানে ৭৪ হাজার ৪০০ টাকা নিচ্ছেন তিনি। তবে ঢাবিতে চুক্তিভিত্তিক থাকাকালীন আরও কম বেতন পেতেন বলে জানা গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ হিসাব দপ্তরের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, অবসর প্রাপ্ত কারও বেতন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে ঠিক করেছেন সেটা ওনারা জানতে পারবে। তবে আইন অনুযায়ী অবসর প্রাপ্ত কেউ ইনক্রিমেন্ট নিতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোশারফ হোসাইন বিভিন্ন গণমাধ্যমকে  বলেন, কুবির ভিসি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক না। ২০১১ সালের দিকে অবসরে চলে যান এবং করোনার সময় সরকার ওনাকে সম্ভবত ২বছরের জন্য চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছিলো। কুবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, এখানে উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর থেকেই তিনি বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট গ্রহণ করছেন। নিয়ম অনুযায়ী, তিনি ইনক্রিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন না। কাজেই এটি একটি অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি, অনিয়ম এবং বেআইনি কাজ। অধ্যাপক তাহের আরও বলেন, উপাচার্য হওয়ার সময় তিনি তথ্য গোপন করেছেন। ঢাবিতে তাঁর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সময় যে বেতন ছিল সেটা, নাকি তিনি যখন অবসর গ্রহণ করেছিলেন তার ভিত্তিতে বেতন হবে, এটা নিয়েও মতবিরোধ আছে। এ রকম ভুল তথ্য দিয়ে উপাচার্য পদে চাকরি করাই তো প্রশ্নবিদ্ধ। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান  সাংবাদিকদের বলেন, উপাচার্য তাঁর সেলারি শিটে তথ্য গোপন করে ইনক্রিমেন্ট নিয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষদে বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে গিয়েও নিয়মবহির্ভূতভাবে অর্থ নেন। এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধে শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি আগাগোড়াই প্রতারণা করে উপাচার্য হয়েছেন। 
অর্থ ও হিসাব দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর মো. আবু তাহের বলেন, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নিয়োগপত্রে কোথাও কোন চুক্তিভিত্তিক লেখা নেই। আমরা তো ধরেই নিয়েছি ওনি নিয়মিত শিক্ষক। সে হিসেবে আমরা ইনক্রিমেন্ট দিয়েছি। এখানে আমাদের কোন ভুল নেই, কারণ যাচাই বাছাই তো করবে শিক্ষামন্ত্রণালয়। আমরা শুধু অর্ডার ক্যারি করি। এ বিষয়ে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কামাল উদ্দীন ভূঁইয়া  গণমাধ্যমকে জানান, ঢাবি থেকে আমাদের যেভাবে কাগজ দেওয়া হয়েছে, আমরা সেভাবেই বেতন নির্ধারণ করেছি। ঢাবিতে তাঁর নিয়োগের কোথাও লেখা নেই তিনি চুক্তিভিত্তিক। তবে তাঁর ইনক্রিমেন্ট হওয়ার কথা নয় বলে আমিও শুনেছি। কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান  সাংবাদিকদের বলেন, ওনি ইনক্রিমেন্ট পাচ্ছে কিনা তো আমি জানি না। ২৭০ জন মত শিক্ষক আছে। কার কখন ইনক্রিমেন্ট হয় এটা কি ট্রেজারার বসে বসে গুনবে? হয়ত অর্থ দপ্তরে যিনি (তাহের) বেতন দেখেন, তিনি ভুল করছেন। রাষ্ট্রের জায়গা থেকে অতিরিক্ত বেতন এবং বেনিফিট নেওয়ার কোন সুযোগ নাই। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে যাওয়ার পর হলেও ফেরত দিতে হবে। এতদিন এই বিষয়টা আমি জানতাম না। এখন যারা ইনপুট দিয়ে থাকেন তাদের হাতে হয়ত কাগজ পত্র ছিল না। এখানে অর্থ দপ্তরের কাছে যে ইনফরমেশন এসেছে আলোকে কাজ করেছে। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মঈন গণমাধ্যমের সাথে  কথা বলতে অপরাগ প্রকাশ করে বলেন, প্রয়োজন হলে যারে উত্তর দিতে হবে তাকে উত্তর দিবো। ইনক্রিমেন্ট যদি নিয়ে থাকি তাহলে ফেরত দিব।
মােঃ জানে আলম সাকী,
ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম। 
 


  
  সর্বশেষ
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৯০ হাজার দিরহামসহ যাত্রী আটক
আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াল চুয়েট শিক্ষার্থীরা
ব্যাংক পরিচালক পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া সেই প্রতারক গ্রেপ্তার;
প্রেম করে বিয়ে,ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308