বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * কুড়িগ্রামের সার সংকটের সারকথা, কৃষকদের মানববন্ধন   * সাতক্ষীরার তালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন   * ধর্ষণ মামলায় ভৈরব সার্কেল কর্মরত এএসপি নাজমুস সাকিবকে গ্রেফতার না করায় বাদীর ক্ষোভ   * ৪ কোটি টাকার কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদার, শ্রীপুরে আঞ্চলিক সড়কের ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ   * কালীগঞ্জ রোকেয়া মনসুর মনসুর মহিলা কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতকি অনুষ্ঠান   * পূজামণ্ডপে বশিৃঙ্খলার চষ্টো করা হলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হব-ে সাতক্ষীরা পুলশি সুপার মনরিুল ইসলাম   * কুড়িগ্রামে দুধকুমারের পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই, প্লাবিত সব নিম্নাঞ্চল   * সাতক্ষীরায় শিক্ষক কর্মচারীদের অবসর ভাতা প্রদান   * মিস অ্যান্ড মিসেস এলিগ্যান্স বাংলাদেশ ২০২৫ অনুষ্ঠিত   * চিতলমারীতে ড্রেনের পানি উপচে পড়ছে সড়কে, জনদুর্ভোগ চরমে  

   সারাদেশ
জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্টের উচিত তাদের দেশের মানুষের মানবাধিকার রক্ষা করা
  Date : 22-07-2023

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গুলি করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, এমনটি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগে তাদের নিজের দেশের মানুষের মানবাধিকার রক্ষা করা উচিত। তারা নিজের দেশের মানুষকে বাঁচাবে কী করে, সেই চিন্তা আগে করুক, সেটাই তাদের করা উচিত।
৬ জুলাই জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
মানবাধিকার নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, যে আওয়ামী লীগ সরকার অন্য দেশের নির্যাতিত মানুষকে (রোহিঙ্গা) আশ্রয় দিয়েছে, সেই আওয়ামী লীগ সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে কেন? কীভাবে করবে? এ কথা বলে কীভাবে? যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সারা বিশ্বে তো বহু জায়গায় বহু মানুষ খুন হচ্ছে। এমনকি আমেরিকায় (যুক্তরাষ্ট্র) তো প্রতিদিন গুলি করে করে শিশুদের হত্যা করছে। স্কুলে, শপিং মলে, রাস্তায় হত্যা হচ্ছে। এমনকি বাঙালি মেয়েকে রাস্তায় ছিনতাইকারীরা হত্যা করেছে। প্রতিদিনই তো তাদের (আমেরিকা) প্রতিটি স্টেটে (অঙ্গরাজ্য) গুলি করে করে হত্যা করছে। ঘরের মধ্যে গিয়ে পরিবারসহ হত্যা করছে। নিজের দেশের মানুষের মানবাধিকার রক্ষা তাদের (আমেরিকা) আগে করা উচিত। তারা নিজের দেশের মানুষকে বাঁচাবে কী করে, সেই চিন্তা আগে করুক। সেটাই তাদের করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ বাধিয়ে দিয়ে সেখানে হাজার হাজার নারী–পুরুষ শরণার্থীকে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে। সিরিয়া, ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, সেসব নিয়ে কারও কোনো কথা নেই কেন? সেখানে কি মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে না? ‘ফেরিওয়ালারা কোথায় ছিল’
এখন অনেকে বাংলাদেশে ‘মানবাধিকারের খোঁজে’ আসে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার প্রশ্ন, ২০০১–এর নির্বাচনে যেভাবে হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ হয়েছিল, তখন সেই মানবাধিকার ফেরিওয়ালারা কোথায় ছিল? তারা কেন চুপ ছিল? তাদের মুখে কেন কথা ছিল না? দেশি- বিদেশি আমি সকলের বেলায় বলব।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে আছেন আমাদের সবক দেন। মানবাধিকার শেখান। মানবাধিকারবঞ্চিত তো আমরা। যারা খুনিদের ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) দিয়ে রক্ষা করে, আজ তাদের কথা শুনে অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা, অনেক দেশ দেখি মানবাধিকারের কথা ওঠায়। আমরাই তো মানবাধিকারবঞ্চিত ছিলাম। ৩৫ বছর লেগেছে মা বাবার হত্যার বিচার করতে।’
বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই যাঁরা বলেন, তাঁরা কি ২০০১ সাল দেখেননি, ১৫ আগস্ট দেখেননি—এমন প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট থেকে আওয়ামী লীগ সরকার আসা পর্যন্ত এ দেশে কী ছিল, তা দেখেননি? তখন তাঁরা কী কারণে চোখেও দেখেননি, কানেও শুনেন নি বোধগম্য নয় নির্বাচন প্রসঙ্গে
গত মে ও জুনে অনুষ্ঠিত পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও সংসদের বিভিন্ন উপনির্বাচনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে।
মানুষের ভোটাধিকার সংরক্ষণ এবং অর্থনৈতিক মুক্তি আওয়ামী লীগের লক্ষ্য জানিয়ে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচন হলো (বরিশাল, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও গাজীপুর)। গাজীপুরে আমরা হেরেছি, বাকি চারটাতে আমরা জিতেছি। এই নির্বাচন নিয়ে কেউ একটি প্রশ্ন তুলতে পেরেছে? আমরা গেছি সেখানে ভোট চুরি করতে? করি নাই তো। এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাংলাদেশে আগে কখনো হয়েছে?’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দীর্ঘ বক্তব্যে জিয়াউর রহমান, এইচ এম এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলের বিভিন্ন নির্বাচনের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে নির্বাচনই ছিল একেকটা গ্রুপ ঢুকবে, সিল মারবে, বাক্স ভরবে। তারপর রেজাল্ট পাল্টাবে। দশটা হুন্ডা, ২০টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা।’ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নির্বাচনের নামে প্রহসন, জনগণের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু হয় বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শুরু হয় ‘হ্যাঁ’, ‘না’ ভোটের প্রহসন। ভোট দেওয়া লাগত না, এমনিতেই বাক্স ভরে যেত। শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ওপর নির্যাতন নেমে আসে। সবচেয়ে বেশি নির্যাতন হয় জাতীয় পার্টির ওপর। জাতীয় পার্টি সেটা ভুলে গেছে।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা বিএনপির আন্দোলন—এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা অবরোধ দিয়ে রেখেছে। সেই অবরোধ এখনো তোলেনি। অবরোধ দিয়ে মানুষকে হত্যা করা, এই হলো বিএনপির চরিত্র। আজ তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা, মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশে আছে কিছু আঁতেল শ্রেণি, কথা বিক্রি করে খাওয়া অভ্যাস। যত মিথ্যা অপবাদ দেওয়া...। এই দেশে নানা রকম অপরাধ করে করে যারা বিদেশে আশ্রয় নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে যত অপপ্রচার চালাচ্ছে।’ শেষ হলো বাজেট অধিবেশন চলতি একাদশ সংসদের সর্বশেষ বাজেট (২৩তম অধিবেশন) অধিবেশন গতকাল শেষ হয়েছে। ৩১ মে শুরু হওয়া এই অধিবেশন গতকাল রাত সোয়া ১০টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। স্পিকার জানান, ২২ কার্যদিবসের এই অধিবেশনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পাস ছাড়াও ১৪টি বিল পাস হয়েছে। বাজেটের ওপর ১৮৭ জন সদস্য ৩২ ঘণ্টা ৩ মিনিট বক্তব্য দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৯৭টি প্রশ্ন জমা পড়েছিল, তিনি উত্তর দিয়েছেন ৫৬টির এবং মন্ত্রীদের জন্য ১ হাজার ৮৮৯টি প্রশ্ন জমা পড়ে। মন্ত্রীরা উত্তর দিয়েছেন ১ হাজার ৩৩৮টির।



  
  সর্বশেষ
কুড়িগ্রামের সার সংকটের সারকথা, কৃষকদের মানববন্ধন
সাতক্ষীরার তালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন
ধর্ষণ মামলায় ভৈরব সার্কেল কর্মরত এএসপি নাজমুস সাকিবকে গ্রেফতার না করায় বাদীর ক্ষোভ
৪ কোটি টাকার কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদার, শ্রীপুরে আঞ্চলিক সড়কের ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308