শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * তথ্য গোপন করে উপাচার্যের পদে আব্দুল মঈন;   * কুড়িগ্রামে ভুটানের অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন রাজা   * ফেনীর ঈদ বাজারে ব্র্যান্ডের শো-রুম চাঙ্গা, সাধারণ দোকানে মন্দা;   * কচুয়া এপির মাধ্যমে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান   * শ্রীপুরে বেতন-বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ,পুলিশ- শ্রমিক সংঘর্ষ   * কক্সবাজারের রামুতে সাড়ে ৭ কোটি টাকা মূল্যের ক্রিস্টাল মেথ জব্দ, গ্রেপ্তার-১   * হেঁটে হজ পালন করতে যাওয়া কক্সবাজার জেলার টেকনাফের জামিল এখন ইরানে;   * মহেশখালীর আলোচিত কিলার লোকমান প্রকাশ আজরাইল গ্রেফতার ;   * গাজীপুরে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ শতাধিক পরিবার পেল ঢেউটিন ও নগদ অর্থ   * প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে `স্বাধীনতা পুরস্কার` গ্রহণ করলেন কুড়িগ্রামের কীর্তিমান সন্তান এস এম আব্রাহাম লিংকন  

   পর্যটন
ঘুরে আসুন প্রকৃতির লীলাভূমি “চর কুকরি মুকরি”
  Date : 03-11-2018

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। ভ্রমন করে না অথবা করতে চায় না এমন মানুষ এই দুনিয়ায়  পাওয়া বড় মুশকিল। একঘেয়ে জীবন যাত্রায় মানুষ যখন হাঁপিয়ে ওঠেন, তখন তার অন্তত কিছু সময়ের জন্য একটু আরাম, একটু বিরাম, একটু শান্তির খোঁজে বেরিয়ে পরেন সৃষ্টিকর্তার অপারময় সৃষ্টির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখার জন্য কাছে বা দূরে কোথাও। একজন পর্যটক হিসেবে আপনি ঘুরে আসতে পারেন সারা বিশ্ব। ঢাকার বাইরে ঘুরে আসতে চান? তবে স্বল্প মূল্যে পরিবার নিয়েঘুরে আসতে পারেন দেশের দর্শনীয় স্থান। আমাদের সুজলা-সুফলা নদী মার্তৃক এই দেশের মধ্যেই রয়েছে পাহাড়, পর্বত সমুদ্র, জঙ্গল, স্থাপত্য, পুরাকীর্তি ইত্যাদি। পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য রয়েছে বিনোদনের নানান ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক সম্পদের অফুরন্ত সম্ভার। আর আপনি যদি একজন পর্যটক হিসেবে ভ্রমণ করতে চান, তবে মাথার ওপর নীল চাঁদোয়া, মেঘে-বৃষ্টিতে ভেজা বাতাস। পায়ের নিচে অন্য এক পৃথিবী উপভোগ করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন চর কুকরি মুকরি। ভ্রমণ পিপাসুদের উদ্দেশে লিখেছেন- মোঃ রিয়াজ উদ্দিন

সভ্যতার বিকাশ, জীবন কিংবা জীবিকা অথবা প্রযুক্তির গতি যাই বলি না কেন আমরা দিনেদিনে কেবলই যন্ত্র হয়ে উঠছি। তাই প্রয়োজন হয় ক্ষণিকের বিরতি। ক্লান্তি দূর হয়, মনে প্রশান্তি আসে আর সামজিক বন্ধন হয় কিঞ্চিৎ দৃঢ়। শহুরে জীবন থেকে, যানবাহনের বিকট শব্দ এবং শিল্পকারখানার দূষণ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে যেতে হবে একটু দূরে, সবুজের কাছে। নদী, সমুদ্র কিংবা পাহাড় চূড়া যেখানেই যেতে চান, প্রয়োজন হবে একটু সময় এবং অর্থ। এবারের ঈদে বেশ লম্বা ছুটিছিলো। আমরা যারা সারা বছর কর্ম ব্যস্থ্য থাকি তারা শিকড়ের টানে গ্রামে ছুটে যাই। কেউ কেউ ভীড় করে দেশের ভেতরের বিনোদন কেন্দ্র, কিংবা পর্যটনের জন্য প্রসিদ্ধ স্থান সমূহে। দেশের বাইরেওযাচ্ছেন অনেকে। তবে আমি দেশের গন্ডি পেরুনোর আগে, নিজের দেশ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে অনুরোধ করবো সবাইকে। আমরা ঘর থেকে দুই পা ফেলে সত্যিই দেখিনি প্রকৃতির অপার সম্ভার! নদী মাতৃক বাংলাদেশে এক সময় জলপথ ছিলো যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। তবে তখন প্রচুর সময় লাগতো কোথাও যেতে চাইলে। প্রযুক্তির অপর্যাপ্ততা এবং আমাদের বাণিজ্যিক মানসিকতার বলিহয়ে অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন না করায় ইতিমধ্যে ঝড়ে গেলে বিপুল অমূল্য প্রাণ। তবে আশার কথা হলো এই যে, জলপথ এখন বেশ নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী। যাত্রী এবং পণ্য পরিবহনে এইজলপথ এখনো অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে একনো জন বান্ধব। যারা সমুদ্র দেখতে ট্রেন, বিলাসবহুল বাস কিংবা বিমানে কক্সবাজার গিয়েছেন তাদের বলবো সময় হলে দক্ষিণবঙ্গে পা রাখুন। দেখতেনদী ও সমুদ্রের সঙ্গমে প্রকৃতির রূপ লাবণ্য। বলছি ব-দ্বীপ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ জেলে ভোলার প্রত্যন্ত চরফ্যাশণ উপজেলার সবচেয়ে পুরনো এবং আকর্ষণীয় চর কুকড়ি মুকড়ির কথা।
কিভাবে যাবেনঃ সদরঘাট ঢাকা থেকে আপনি চাইলে লঞ্চে করে চরফ্যাশন এর বেতুয়া ঘাটে যেতে পারেন। বেতুয়ায় প্রতিদিন ৩ টি লঞ্চ যায়। বিলাসবহুল স্যুট, এসি/ননএসি কেবিন এবং ডেক যেযার সমর্থ অনুযায়ী ভ্রমণ করতে পারেন। রাত ৮ টায় ছেড়ে ভোর ৬:৩০ টায় আপনি বেতুয়ায় পৌঁছে যাবেন। রাতের খাবারের ব্যবস্থা লঞ্চেই করা যাবে, মান খারাপ না। বেতুয়া থেকে চরফ্যাশন বাজারে চলে আসুন, অনেক মান সম্পন্ন হোটেল আছে। নিরালা র মিষ্টি ভীষণ মজা। দুপুরে গেলে গরম রসগোল্লার স্বাদ পাবেন। নাস্তা করে চলে যেতে পারেন দৃষ্টিনন্দন জ্যাকব টাওয়ার দেখতে। উপরে উঠেগোটা চরফ্যাশন দেখতে পাবেন। আরো আছে কফি শপ... বিকেলের দিকে ভাটা থাকায় চলে আসুন চর কচ্ছপিয়া। এখান থেকে ট্রালার ২/৩ ঘণ্টা পর পর ছাড়ে, ভাড়া ৫০/৬০ টাকা। আপনি চাইলেরিজার্ভ করে নিয়ে যেতে পারেন হাজার টাকায়। চর কুকড়ি মুকিড়ি যাবার পথটাই সবচেয়ে সুন্দর বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। দুইপাশে প্রচুর সবুজ, ভাগ্য ভালো থাকলে বানর এমন কি হরিণের দেখা পেতেই পারেন... চরে কোন শব্দ দূষণ নেই, এটা একটা সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বন বিভাগের আওতায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়োজিত আছে কোষ্ট গার্ড। চরে ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় চমৎকার একটা মোটেল। তাছাড়াও বন বিভাগ এবং কোষ্ট ট্রাষ্ট এর গেষ্ট হাউজ আছে। চর কুকরি-মুকরি একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং বন্যপ্রানী অভয়ারণ্য। ভোলা শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার, চরফ্যাশন উপজেলা থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যেতে ১ ঘণ্টা সময় লাগে। স্পীড বোটেও যাওয়া যায়। মেঘনাও তেতুলিয়া নদীর মোহনায় বঙ্গোপসাগরের উপকন্ঠে কয়েকশ বছর আগেজেগে ওঠা চর সবুজের চাদরে মোড়ানো এক মনোমুগ্ধকর স্থান। এখানে রয়েছে ১৫ হাজারেরও বেশি হরিণ। এ ছাড়াও অতিথি পাখি, লাল কাঁকড়া, বুনো মহিষ, বানর, বনবিড়াল, উদবিড়াল, শেয়াল, বনমোরগসহ নানা প্রজাতির বন্য প্রাণীর দেখা মেলে। হাতে সময় থাকলে ঘুরে আসুন, ভালো লাগবে।



  
  সর্বশেষ
তথ্য গোপন করে উপাচার্যের পদে আব্দুল মঈন;
কুড়িগ্রামে ভুটানের অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন রাজা
ফেনীর ঈদ বাজারে ব্র্যান্ডের শো-রুম চাঙ্গা, সাধারণ দোকানে মন্দা;
কচুয়া এপির মাধ্যমে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308