|
এস এম তৌহিদ রুপালী পর্দার বিখ্যাত প্রযোজক হতে চান |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
দেশের এক অন্যতম পুরাতন বিভাগীয় দৃষ্টিনন্দন শিল্প নগরীর নাম খুলনা সিটি । একদিকে বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন যার মধ্যে চির হরিৎ । সবুজ গোলবন, কেওয়া, গেওয়া, সুন্দরী, বাঘ, হরিন, বানর আর অবারিত বঙ্গোপসাগর জুড়ে রয়েছে গোটা দক্ষিনাঞ্চলের সাদা সোনা হিসেবে পরিচিত বাগদা, গলদা । দেশের রুপালী ইলিশ বিদেশে রপ্তানী সহ খুলনা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির নগরী । সাহিত্য সংস্কৃতি অঙ্গনে খুলনার জুড়ি মেলা ভার । এদিক থেকে খুলনা কখনও পিছিয়ে ছিল না । নাচে গানে সর্ট ফিল্ম এবং সিনেমা জগতে অনেক খ্যাতিমান অভিনেতারা অনেক নাম কুড়িয়েছেন দেশ - বিদেশে । বাংলাদেশের মানুষের মাতৃভাষা বাংলা এবং রাষ্ট্র ভাষাও বাংলা । এদেশের সব কিছুই চলছে বাংলায় । আমরা বাংলাদেশের নাগরিক । এস এম তৌহিদ বর্তমান কর্মস্থান গাজী মেডিকেল কলেজ, কম্পিউটার কাম অডিও ভিজ্যুয়াল টেকনিশিয়ান হিসাবে কর্মরত আছেন । তার ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন ছিলো একজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইনঞ্জনিয়ার হবেন এবং বিদেশে যাবেন। কিন্তু লেখাপড়ার মধ্য দিয়ে হঠাৎ জড়িয়ে পড়েন সাংস্কৃতিক জগতে। প্রথমে চমক নামক সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে হাতে খড়ি। সেই থেকে হাটি হাটি পা পা করে স্টেজ প্রোগ্রাম ও বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে ১৯৯৯ সাল থেকে তাদের সঙ্গে কাজ করেন । এর মধ্যে তিনি জি.এম. মাল্টিভিশনে আসা যাওয়া করতেন। এই জি.এম. মাল্টিভিশন এর চেয়ারম্যান হলেন খুলনার বিখ্যাত গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অতি পরিচিত মুখ বিশিষ্ট সঙ্গীত সুরকার । বিখ্যাত দেশের গান পরিবেশন হিসবে বিটিভি সহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব ডা. গাজী মিজানুর রহমান এর পাশাপাশি চমক মিউজিক একাডেমীর সঙ্গে ছিলেন। পরে জনাব এস এম তৌহিদ নিজ উদ্যোগে ২০০৫ সাল থেকে পায়েল নামক একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন নিজেই পরিচালনা করেন। প্রধান উপদেষ্টা ডা:গাজী মিজানুর রহমান তিনি সব সময় পায়েল সাংস্কৃতিক সংগঠনকে পৃষ্টপোশকতা ও সহযোগিতা করে আসছেন । এ পর্যন্ত আজ পায়েল সংগঠনের ১৩ বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে। পায়েল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন এর ছাএ ছাএী আজ তারা বাংলাদেশ চলচিএে কাজ করছে । তাছাড়া বিভিন্ন নাটক ,বিজ্ঞাপন,সর্ট ফিল্ম ও টেলিফিল্মে এবং সংগঠনের এর ছাত্র ছাত্রী কলকাতায় বিভিন্ন স্থানে আমন্ত্রন পেয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন । তাছাড়া খুলনা ও কলকাতায় প্রতিযোগীতায় সংগঠনের ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন জায়গায় অংশগ্রহন করেছে। এবং তারা পুরস্কার ও এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে । এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ জনেরও বেশি ঢাকা ও খুলনায় মিডিয়া অঙ্গনে কাজ করে আসছে । পায়েল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন শুধু নাচ গান করে না । অসহায় গরীব মানুষের পাশে দাড়িয়ে বই খাতা ,শীত বস্ত বিতরন, পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষ রোপন। বিভিন্ন মাননাধিকার সংগঠনের সঙ্গে একযোগে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে। অসুস্থ্য যারা তাদের আর্থিক সহযোগীতা ও বিনামূল্যে চিকিৎসা ওষুধপথ্য ও সেবা দান এবং খুলনার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে পায়েল সমান তালে তাল মিলিয়ে তার জনপ্রিয়তা অক্ষুন্ন রেখে চলেছে । খুলনার অন্যতম শিল্পী নৃত্য গোষ্ঠী পায়েলের প্রতিষ্ঠাতা এস এম তৌহিদ পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহন করেন । এরপর তিনি তার কর্মস্থলের পাশাপাশি যুক্ত হন একজন সাধারন নৃত্য শিল্পী হিসেবে। এখন তারই নেতৃত্বে তার এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আধুনিক নৃত্যের সব রকমের সহায়তা দিয়ে তাদের প্রশিক্ষিত করে তুলছেন । তিনি একাধারে নৃত্য শিল্প, নির্দেশক, অভিনেতা, সর্ট ফিল্ম, টেলিফিল্ম কাহিনীর রচয়িতা এবং পরিচালকের ভূমিকায় অবতীর্ন । শুটিং এর নির্দেশক হিসেবে বৃহত্তর খুলনার বিভিন্ন উপযোগী স্পটে একঝাক প্রশিক্ষিত শিল্পী নাট্যকর্মীকে নিয়ে ছুটে যান সেখানে। তিনি অনেক প্রশিক্ষনে অংশ নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করে তার সৃষ্টিশীলতার এক ব্যাতিক্রম সংগঠন পায়েলকে আধুনিকতার ছোয়ায় আরো উপযোগী করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন । তিনি মুখ অভিনয়ে বিশেষভাবে প্রশিক্ষন ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে প্রতিটি ক্ষেত্রে সৃজনশীল সৃষ্টিশীলতা রুচিশীল মানষিক বিকাশ সাধনে পায়েলকে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ব্যাপকভাবে সমাদৃত করতে এগিয়ে চলেছেন । এ প্রতিষ্ঠানটি গাজী মিজান সোনাডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে গড়ে উঠেছে । এখানে শিক্ষার্থীদের সংস্কৃতি অঙ্গনে ব্যাপক অবদান রাখতে বিভিন্ন প্রশিক্ষন আবৃত্তি কৌতূক ড্যান্স নাটক মিউজিক ভিডিও নির্মানে কাজ করছেন। আলোর যাত্রী সর্ট ফিল্মে হিরোর অভিনয় করেছেন এস এম তৌহিদ । এখানে বাংলাদেশ সরকারের বাল্য বিবাহ ও যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে সমাজের বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। বাপজানের বিয়ে হাসির কৌতূক টেলিফিল্মে একদিকে মা মেয়ে অপরদিকে বৃদ্ধ পিতা ও চার পুত্রের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারনে ছেলেরা তাদের পিতাকে পুনরায় বিয়ে করার সকল আয়োজন সম্পন্ন করলে সফলতা হিসেবে পূর্বের স্ত্রী ছেলে এবং স্বামীর কাছে ক্ষমা চেয়ে সুন্দর পরিচ্ছন্ন সংসার গড়তে অঙ্গীকারাবদ্ধ হন। এস এম তৌহিদ একজন সদা হাস্যজ্জল মিষ্টভাষী এবং মানুষের কল্যানে বিপদে সব সময় এগিয়ে যান । কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় - হলদীয় নন্দীগ্রাম, মধ্যগ্রাম, বারাসাত, ঈশাপুর, বহররামপুর সহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে পায়েল সংগঠনটি নাচে গানে দর্শক মাতিয়ে নন্দিত হয়েছেন । এছাড়া রাজধানী ঢাকা সহ দেশের দক্ষিনাঞ্চলে পায়েল তার নিজস্ব স্বকিয়তা প্রদর্শন করে পায়েল এখন শুধু খুলনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সারাদেশ জুড়ে এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতেও এ সংগঠনটি আজ ব্যাপক সমাদৃত। সরকারী বেসরকারী আর্থিক সহযোগীতা ব্যাতিরেকে এ সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা জনাব এস এম তৌহিদ বাপজানের বিয়ে সহ অসংখ্য সর্ট ফিল্ম নির্মান করে বর্তমান প্রজন্মের দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছেন। তিনি হতে চান দেশের খ্যাতনামা রুপালী পর্দার অন্যতম প্রযোজক । তিনি কোন যৌথ প্রযোজনায় চলচিত্র নির্মানে অনাগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের মেধা - মননশীলতা - প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিদীপ্ত জ্ঞানলব্ধ বিকাশ ঘটিয়ে এ বাংলায় নিজস্ব শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির মিশ্রনে নতুন নতুন সর্ট ফিল্ম টেলিফিল্ম এবং সিনেমা উপহার দিতে বদ্ধপরিকর ।
|
|
|
|
|