দীর্ঘ দিন সংস্কারের অভাবে জরার্জীন হয়ে পড়েছে রামগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনাল। টার্মিনালের ভিতরের রাস্তার বেহাল দশা ও ড্রেনেস ব্যবস্থা না থাকায় কাঁদা ও পানি জমে ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে বাস শ্রমিক ও যাত্রীদের। অপরদিকে যাত্রী ছাউনীটি দখল করে দোকান তৈরী করায়, পাবলিক টয়লেটটি ব্যবহারের অযোগ্য হওয়ায়, ঘাট, লাইটিং ও খাবার পানির সু-ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনার স্বীকার হচ্ছে সাধারন যাত্রীরা। টার্মিনাল ভবনটির দরজা, জানালা ভেঙ্গেচুরে, ছাদ ও ওয়াল খসে পড়ে ঝুকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। রামগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনালটি ২০০৬ সালে ১একক ৫৬ শতাংশ জমির উপর স্থাপিত হয় । টার্মিনালটি স্থাপনের পর থেকে এখনও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন ঢাকা, চট্রগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীসহ বিভিন্ন রুটে প্রায় ৩ শতাধিক বাস চলাচল করে। টার্মিনাল লীজ, কাউন্টার ও দোকান ভাড়া বাবত প্রতিবছর পৌরসভা ৮ লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব আদায় করে থাকে। দিন দিন যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে গেলেও বাড়ানো হয়নি টার্মিনালের জাগয়া ও অবকাঠামোর উন্নয়ন। বাসটার্মিনালে আসা সমেষপুর গ্রামের ফারুক পাটোয়ারী জানান,একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার বাসটার্মিনাল এটি তা দেখে বুঝার উপায় নেই। যাত্রীদের ভোগান্তির অন্ত নেই। দ্রুত টার্মিনাল ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করে নতুন ভবন নির্মান করা প্রয়োজন, নতুবা যে কোন সময় দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। রামগঞ্জ আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, ২০০৬ সালে তৎকালিন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া পুকুর ভরাট করে টার্মিনালটি নির্মান ও উদ্ভোধন করার পর থেকে অদ্যবধি কোন সংস্কারের কাজ হয়নি। পৌর সভা প্রতিবছর টার্মিনাল লীজ, কাউন্টার ও দোকান ভাড়া বাবত ৮ লক্ষাধিক টাকা আদায় করে। অথচয় টার্মিনালে টয়লেটটি ব্যবহারের অযোগ্য, ঘাট, লাইটিং, ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। আমরা মাঝে মাঝে ব্যক্তিগত উদ্যোগে মালিক ও শ্রমিকের কাছ থেকে কিছু টাকা তুলে সংস্কারের কাজ করে থাকি। টার্মিনাল বাস মালিক সমিতির সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর মামুনুর রশিদ আখন্দ জানান, যাত্রী ছাউনিটি ২০১০ সালে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনির হোসেন চৌধুরী জেলা পরিষদের মাধ্যমে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করিয়ে, নিজের নামে লীজ নিয়ে নেয়, এখনও তাঁর নামে লীজ রয়েছে। টার্মিনালের পক্ষ থেকে পৌর সভার আগামী সভায় সমস্যা গুলো উপস্থাপন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জোরালো দাবী জানানো হবে। বাসটার্মিনালটির জরার্জীন অবস্থার কথা স্বীকার করে রামগঞ্জ পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী জানান, টার্মিনালের টয়লেটটিসহ সকল সমস্যা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
|