|
নিজেকে জানি সেমিনারের বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধ কলুষমুক্ত করতে আরও একটি যুদ্ধ প্রয়োজন |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
মানুষ হায়েনাকে ভয় পায় না । মানুষ মানুষকে ভয় পায়। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। পশু পাখীদেরও প্রভূ ভক্তি রয়েছে। এরা তাদের অনুভূতি এবং ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে সমাজের শ্রেষ্ট কাজে অংশ নিয়ে সমাজ ও পরিবারে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। বাংলাদেশের সেরা চৌকশ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান ফোর্স। সন্দেহভাজন, নাশকতামূলক কাজে ডগ স্কয়ার্ড ব্যবহার করে সঠিকাভাবে দেশ বিরোধী অপরাধী চক্রান্তকারীকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়। নিরন্তর বেঁচে থাকার জন্য যতটুবু সময় পাওয়া যাবে তার সঠিক সময়ে মেপে মেপে চলতে পারলেই নির্দিষ্ট লক্ষে পৌছানো সম্ভব। মৃত্যু হলে নতুন কোন জীবন আসবে না। মাহফুজা খানম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হল রুমে নৈতিক শিক্ষা সহায়ক ``নিজেকে জানি`` এক শিরোনামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। সুপ্রভাত বাংলাদেশ বাগেরহাটের আয়োজনে সংগঠনের নির্বাহী প্রদান মোঃ বাবুল আকতার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, সময় ফুরিয়ে যাবার আগেই সময় থাকতে সময়ের স্বদব্যবহার করতে হবে। বৃদ্ধ বয়সে কাঁদলে হবে না। বিপন্ন অসহায় সাধারন মানুষের সম্পদ লুন্ঠন অন্যায় করে কোনক্রমে এ জগতে যেমন পার পাওয়া যায় না পরজগতেও রয়েছে বিধাতার চরম শাস্তি। মানুষের নৈতিক চরিত্র দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। সেখান থেকে উত্তরণ ঘটানোর শিক্ষার্থীদের চরিত্রবান এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবার কোন বিকল্প নেই। তাই ছাত্র জীবনই শ্রেষ্ট সময়। নিজেকে গড়ার পাশাপাশি চরিত্র গঠনে আদশ নৈতিকতা সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে নিরলস পাঠ্যভাস পরিবেশ এবং ভবিষ্যতে নিজেকে দেশের একজন আদর্শ সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে এক যোগে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাজ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক আজাদ রুহুল আমিন বলেন, সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক রুচি সম্মত ভবন। শিক্ষার্থীদের রুচি সম্মত বসার সুব্যবস্থা এবং অসহনীয় গরে বৈদ্যুতিক পাখার মাধ্যমে শীতল বাতাস আর তাদের জন্য রয়েছে বিনা বেতনে বিশেষ করে মেয়েদের অবৈতনিক ভাবে প্রথম শ্রেনী থেকে বিএ পর্যন্ত ব্যয় ভার। বিনা মূল্যে বই বিতরন উপবৃত্তি সহ নানা সুযোগ সুবিধা। এছাড়া বিদ্যালয়ে অনেক বিত্তশালীরা শিক্ষার্থীদের মাঝে পোশাক বিতরন এবং দুপুরে মিলডের ব্যবস্থা এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। শুধু তাই নয় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং পিএইচডি করা কালীন সময়ে স্কলারশীপ পেলে তাদের জন্য রয়েছে অবাধ সুবিধা। প্রাথমিক ভীত শক্ত না হলে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো দুষ্কর। শিক্ষা গ্রহন দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত। শিক্ষাখাতে বড় বিপর্যয়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা যতটা উন্নত নয় তার চেয়ে আধুনিক ভবন সুযোগ সুবিধার অন্ত নেই। সারাদেশে কোটি টাকা ব্যয়ে সুউচ্চ ভবন। গ্রীষ্মের দাবানলে আরামদায়ক করতে বৈদ্যুতিক পাখা। বসার উন্নতমানের আসবাবপত্র। এবং প্রাচীর ও আধুনিক তোরন সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন অসংখ্য সাইক্লোন সেল্টার নির্মান। বিনা বেতনে পড়ালেখা। বিনা মূল্যে বই বিতরন। উপবৃত্তি। বই উৎসব। মিল ডে আরো নানা আয়োজন। আলাদা পোশাক বিতরন। খেলাধুলা ও বিনোদনে এগিয়ে থাকলেও এক শ্রেনীর অসাধু শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্য। শিক্ষকদের তুষ্টি অর্জনে যে সকল বই কোম্পানী সক্ষম সে সকল গাইড শিক্ষার্থীদের কিনতে বলেন। সদ্য প্রকাশিত পাবলিক পরীক্ষা সহ ফাইনাল পরীক্ষায় গনিত ও ইংরেজী পরীক্ষার ফলাফল এবারই সবচেয়ে নিম্নগামী। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা এবং উক্ত দুই বিষয়ে পারদর্শি না হলেও বছর জুড়েই নিয়োগ প্রাপ্তীর পর পিটিআই ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করা হয়। যাতে শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা উপহার দিতে পারে। শিক্ষকদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। নেই কোন মনিটরিং এর ব্যবস্থা। বিদেশে মনিটরিং এর ব্যবস্থা এবং ঠিকমত পাঠদানে ব্যর্থ হলে তাদের বিদায় করা হয়। সিগারেটের বিজ্ঞাপন বন্ধ হলেও টেলিভিশনে পত্রিকায় বিভিন্ন গাইডের বিজ্ঞাপন সরকার তথা শিক্ষা মন্ত্রনালয় বন্ধ করতে পারে নি । অনেক বিদ্যালয়ে জেএসসি, পিএসসি তে আশাব্যঞ্জক জিপি এ+ পাবার আনন্দ যেমন তেমনি যে শিক্ষার্থীরা ফেল করে তাঁর দায়ভারও স্কুল তথা শিক্ষকদের উপর বর্তায়। যখন বৃত্তি পরীক্ষা চালু ছিল তখন পর্যন্ত শিক্ষকরা নিজের পটেকের পয়সা দিয়ে চা বিস্কুট সিঙ্গারা খেয়ে শিক্ষার্থীদের আলাদা অতিরিক্ত ক্লাস এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদারকী করতে দেখা যেত। শিক্ষাখাতে অফিস পিয়ন থেকে রু করে শিক্ষক নিয়োগ। শিক্ষকদের পোষ্টিং সহ বিভিন্ন অনিয়ম যা ওপেন সিক্রেট। এটি বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে প্রত্যক্ষ করা। যারা দারিদ্র গরীব অর্থনৈতিক দৈন্যতা তারা প্রাইভেট পড়তে পারছে না। এক শ্রেনীর শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে তাদের ভালো চোখে দেখা হয় না এবং তাদের হাতে যে ক্ষমতা আছে তাঁর অপপ্রয়োগ করা হয়। বিভাগীয়, জেলা, উপজেলার এ সকল আধুনিক শিক্ষা ভবনের ভিত্তি ফলক-ভবন উদ্বোধন করেন সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগন। অথচ তাদের ছেলেমেয়েরা ঢাকার অভিজাত কিংবা এ সকল শহরে কোথায় ভালো কিন্ডার গার্টেন আছে সেখানে তাদের ছেলেমেয়েদের পড়ানো হয়। যে কারনে এ সমাজের সাধারন ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার মান খুব একটা বাড়ে না। তদারকী না হবার জন্য যেখানে প্রথম শ্রেনীর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাস হয়। সে সকল ছেলেমেয়েরা কি আদৌয় পড়ালেখা ও বইয়ের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে? যুগ যুগ ধরে গনিত ও ইংরেজীতে ফেল এর কারন ৭০-৮০% শিক্ষকরাই এ সম্পর্কে অভিজ্ঞ নন। বা তারা কোচিং এ যে টিচ দেন তা ক্লাসে দেন না। প্রশিক্ষন গ্রহনে উচ্চ ভাতা এটি কাজে লাগিয়ে পদোন্নতি সহ কোচিং ব্যবসা অন্য ব্যবসায় সফলতা লাভ করে গাড়ি বাড়ি করলেও শিক্ষার মান খুব একটা বাড়ছে না। অতিরিক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য আরো বিদ্যালয় নির্মান এবং বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ গ্রহন করে। শিক্ষার্থীদের গুনগত মান এবং দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ভবিষ্যৎ দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে সরকারের আরো কার্যকরী ভূমিকা গ্রহন করতে হবে। এ ব্যাপারে আরো তথ্য সমৃদ্ধ শিক্ষাখাতে বিপর্যয়ের চিত্র তুলে ধরে পত্রিকায় বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এটি সমগ্র বাংলাদেশের চিত্র। প্রশিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, একটি শিক্ষা কক্ষের শ্রেনীতে ৪০ জন শিক্ষার্থী থাকলেও শিক্ষার সুষ্ঠু ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তারা জ্ঞান আহরন ও সুষ্ঠভাবে পাঠদানে মনযোগ দিতে পারে। দক্ষিন কোরিয়ায় এক শ্রেনীতে মাত্র ১২ জন শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। জনগনের টাকা দিয়ে এদেশের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। অতএব এরা ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে দেশ ও জাতির জন্য কল্যান বয়ে আনবে এবং দেশের নেতৃত্ব প্রদানে অগ্রনী পালনে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অন্যান্য বক্তারা বলেন, সিম লাউ আর বীজ সংরক্ষন করে যেমন চাষাবাদ করা হয় তেমনি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার অঙ্কুরিত বীজ বপনের মত এবং মুক্তিযুদ্ধের মত শিক্ষা জীবন কে কলষমুক্ত করতে আর একটি যুদ্ধ প্রয়োজন। সে যুদ্ধ হবে ভোগ নয় ত্যাগে। আত্ম কেন্দ্রীকতা জাতিকে দেশকে ভোগান্তির দিকে নিয়ে যায়। মুক্ত চিন্তা আর অদৃশ্যভাবে বিধাতার প্রতি অবিচল আস্থা। শ্রষ্টাকে বিশ্বাস। অন্তরে হৃদয়ে প্রকৃত তার আখলাক পরিবর্তন করে পেতে পারে এ জীবন ও ঐ জীবনের পরম প্রাপ্তি। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সুপ্রভাত বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ আজিজুর রহমান, স্কুলের প্রশিক্ষক মোঃ ফয়জুম মুনির। সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব হাসিবুর রহমান মিয়া। নির্বাহী প্রধান মোঃ বাবুল আকতার শিক্ষার্থীদের নীতিকথামূলক লিপলেট বিতরন এবং এর উপর বিশদ আলোচনা করেন। অনুরুপভাবে সুপ্রভাত বাংলাদেশ বাগেরহাট খানজাহান আলী মাজার প্রাঙ্গনে অবস্থিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ রকম এক ব্যতিক্রমী সেমিনারের আয়োজন করে। এছাড়া সুপ্রভাত বাংলাদেশের সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক মোঃ বাবুল আকতার নিজ খরচে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষার্থীদের শিক্ষামূলক কর্মসূচী অব্যহত রেখে চলেছেন। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ সুস্থ্য জীবন সহনশীলতা পারিবারিক স্থিতিশীলতা শান্তিপূর্ন সমাজ গঠনে যথাযথ মূল্যায়ন ভিত্তিক নিজেকে জানি ৩০টি নীতি বাক্য শিক্ষার্থীদের সন্মুখে উপস্থাপন করেন ।
একজনকে গ্রেফতার করেছে। জানা গেছে, আলিম সাতক্ষীরার কালিগজ্ঞ থানায় পুলিশের সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিল । ঘটনা ঘটিয়ে সে এখান থেকে ঝিনাইদহে পালিয়ে যায়। ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে সাতক্ষীরা আদালতে পাঠিয়েছে।
|
|
|
|
|