|
ধেয়ে আসছে শৈত্যপ্রবাহ অসহায় শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সারা দেশে হঠাৎ করেই যেন ধেয়ে আসছে শৈত্যপ্রবাহ। বছরের এই সময়ে প্রতি বছরই প্রচন্ড শীত অনুভূত হয় এবং এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে চলতি বছর শীত এসেছে কিছুটা দেরিতে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছিল, সত্যিকারের শীত বলতে যা বোঝায় তার দেখা এ বছর হয়তো মিলবে না। সে আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে দুই দিন ধরে দেশজুড়ে অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। ইতিমধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এ মাসেই মাঝারি মাপের একাধিক শৈত্যপ্রবাহ হানা দিতে পারে বলে আবহাওয়াবিদদের ধারণা। সারা দেশের তুলনায় কংক্রিটের স্তুপে পরিণত হওয়া রাজধানীতে শীতের প্রকোপ এখনো পর্যন্ত কম। তবে কনকনে ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা আর শীতল বাতাসের ওপর ভর করে রাজধানীর দিকে ধেয়ে আসছে শৈত্যপ্রবাহ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ খুব দ্রুত রাজধানীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। দুই দিন ধরে পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, নওগাঁয় শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। মেঘমুক্ত আকাশ ও উত্তর দিক থেকে বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় রাতের তাপমাত্রা আরও কমবে বলে আবহাওয়াবিদদের ধারণা। তাদের মতে, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা বিভাগের তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। শৈত্যপ্রবাহের কারণে সারা দেশের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। উল্লেøখ্য, ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলা হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি আর ৪ থেকে ৬ ডিগি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলা হয় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদফতরের জানুয়ারির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে একটি মাঝারি বা তীব্র ধরনের শৈত্যপ্রবাহ এবং অন্য জায়গায় দু-তিনটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। শীত সবচেয়ে সুখকর ঋতু হলেও গরিব-দুঃখী দের জন্য এ ঋতু সীমাহীন দুঃখ-কষ্ট বয়ে আনে। শীতে গরম কাপড় ও লেপের অভাবে কষ্ট পায় তারা। শৈত্যপ্রবাহ হলে গরিব মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। বন্ধ হয়ে যায় কর্মসংস্থানের সুযোগ। প্রচন্ড শীতের দিনে গরিব-দুঃখী শীতার্ত মানুষের জীবন যাতে সহনীয় হয়ে ওঠে সে উদ্দেশ্যে তাদের মধ্যে শীতের পোশাক ও কম্বল বিতরণে সরকার এবং সমাজের সম্পন্ন মানুষের এগিয়ে আসতে হবে। শিশু ও বৃদ্ধরা যাতে শীতজনিত অসুখে কষ্ট না পায়, সেজন্য চিকিৎসা সহায়তার উদ্যোগ নিতে হবে।
|
|
|
|
|