বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৬, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * পেশাজীবি ও সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার সহ জোর পূর্বক চাঁদা দাবি করে তার দায়ের করা মামলার আসামীগনসহ ও তাদের দোসর " স্যার নামীয় চক্রদের " বিভিন্ন ষরজন্ত্র করে গুম খুন হত্যার অগ্রীম আল্টিমেটাম প্রদান,পুলিশ প্রশাসন সহ যৌথ বাহিনী দৃষ্টি আকর্ষণ   * কার্তিকের মাঝামাঝি বৃষ্টিতে শীতের বার্তা, বিপাকে কুড়িগ্রামের প্রান্তিক জনপদ   * প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে পরীক্ষা বর্জনের হুমকি   * মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ইতিবাচক অগ্রগতি পর্যালোচনা প্রয়োজন   * কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত   * পেশাজীবি ও সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার সহ জোর পূর্বক চাঁদা দাবি করে তার দায়ের করা মামলার আসামীগনসহ ও তাদের দোসর " স্যার নামীয় চক্রদের " বিভিন্ন ষরজন্ত্র করে গুম খুন হত্যার অগ্রীম আল্টিমেটাম প্রদান,পুলিশ প্রশাসন সহ যৌথ বাহিনী দৃষ্টি আকর্ষণ   * পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভা অনুষ্ঠিত   * সাতক্ষীরা সাইবারঅপরাধপ্রতিরোধ, আইসিটিওইনোভেশনতথ্যঅধিকারবাস্তবায়নঅবেক্ষনওপরিবীক্ষণকমিটিরসভাঅনুষ্ঠিত   * চুনারুঘাটে অবৈধভাবে সিলিকা বালু উত্তোলনের দায়ে ২ মেম্বারসহ ৭ জনকে দণ্ড   * পেশাজীবি ও সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারে মামলার আসামীরা ও মাস্টার মাইন্ড স্যার নামীয় চক্রের নাসকতামুলক প্রানঘাতী বিভিন্ন ষরজন্ত্র আশ্রয় নিয়ে ৯০ ( নব্বই) দিনের অগ্রীম আল্টিমেটাম কার্যকর করেই চলছে,পুলিশ প্রশাসন সহ যৌথ বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ  

   পর্যটন
ঘুরে আসুন সিঙ্গাপুর
  Date : 01-11-2017


একঘেয়ে জীবন যাত্রায় মানুষ যখন হাঁপিয়ে ওঠেন, তখন তার অন্তত কিছু সময়ের জন্য একটু আরাম, একটু বিরাম,একটু শান্তির খোঁজে বেরিয়ে পড়েন সৃষ্টিকর্তার অপরময় সৃষ্টির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য কাছে বা দূরে কোথাও। ভ্রমণ করে না অথবা করতে চায় না এমন মানুষ এই দুনিয়ায় পাওয়া বড় দুষ্কর। একজন পর্যটক হিসেবে আপনি ঘুরে আসতে পারেন সারা বিশ্ব। দেশের বাইরে ঘুরে আসতে চান? তবে ঘুরে আসতে পারেন সিঙ্গাপুর। ভ্রমণ পিপাসু পাঠকদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন- মোঃ রিয়াজ উদ্দিন।

‘পুর’ মানে নগর। জনপদের নামের সঙ্গে ‘পুর’ যুক্ত হলে বিস্তৃত হয় তাৎপর্য। রংপুর, গাজীপুর, ফরিদপুর প্রভৃতি। সিঙ্গাপুরও তেমনই এক নগর। সাগরঘেরা একটা দ্বীপ-দেশ। সেই দেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বিশাল এক সিংহমূর্তি—নাম মারলায়ন। সিঙ্গাপুর সদলবলে বেড়াতে যাওয়ার পর আমাদের এক বন্ধু ঘোষণা করল, নামটা ছিল আসলে সিংহপুর। এরা ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারে না দেখে সিঙ্গাপুরের মতো শোনায়।

ঢাকা থেকে আকাশপথে কমবেশি চার ঘণ্টার দূরত্ব। কিন্তু গিয়ে মনো হলো সিঙ্গাপুর যেন বাংলাদেশেরই কোনো অংশ। রাস্তায় চলতে দেখা মেলে অনেক বাংলাদেশির। সিঙ্গাপুর শহরটা প্রায় পুরোটাই কৃত্রিম। প্রাকৃতিক বলতে শান্ত-সমাহিত সমুদ্রটাই শুধু। কিন্তু বিশ্বজুড়ে যেখানে যা কিছু ভালো, যা কিছু মহান—সবই যেন কপি-পেস্ট করে রাখা হয়েছে সিঙ্গাপুরে। দারুণ কিছু বানিয়ে ফেলতে তাদের উৎসাহে ভাটা পড়ে না মোটেও। সেটার পেছনে দিন-রাত সে কি যতœআত্তি আর রক্ষণাবেক্ষণ, না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন—তা সে কংক্রিটের ইমারত হোক আর সবুজ বন বা তৃণভূমিই হোক।

এত্তটুকুন একটা শহর, অথচ তার সবকিছু ঠিকঠাক ঘুরেফিরে দেখেশুনে নিতে সপ্তাহ খানেক সময় লাগবেই। অবশ্য ‘সিঙ্গাপুর ফ্লায়ার’ নামে বিশাল যে চরকি বানিয়ে রাখা আছে, সেটায় চড়লে এক দফাতেই একনজর দেখে ফেলা যায় এ-মাথা ও-মাথা।

শহরের প্রাণকেন্দ্র অরচার্ড পয়েন্টে ব্র্যান্ড দোকানগুলোয় উইন্ডো শপিং আর সত্যিকারের কেনাকাটার পর্ব হয়তো চায়না টাউন, ধোবি ঘাট বা লিটল ইন্ডিয়ায়। বাংলাদেশিদের প্রধান আকর্ষণ ‘মোস্তফা সেন্টার’-এর জন্য চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় রাখাই উচিত, অন্তত পুরোটা ঘুরে দেখতে হলেও।

একদিন সন্ধ্যায় খুব আয়োজন করে গেলাম নাইট সাফারিতে। শহরের পশ্চিম প্রান্তে ছোটখাটো কৃত্রিম জঙ্গল বানিয়ে রাখা আছে। পর্যটকদের ট্রামে চড়িয়ে জঙ্গল ঘোরানো হয়। রাতের আঁধারে বাঘ, সিংহ, হাতি, হরিণ, জেব্রা দেখার মধ্যে একধরনের গা-ছমছমে অনুভূতি কাজ করে। ছোট বাচ্চাদের মজাটাই মনে হয় বেশি, তবে বড়রাও কিছু কম যান না।

আরেক দিন খুব সকালে উঠে গেলাম ইউনিভার্সাল স্টুডিওতে। দিনভর সময় কাটানোর দারুণ একটা জায়গা। সকাল ১০টায় খোলে, বিকেল পাঁচটা বাজলেই বন্ধ। কাজেই দেরি করার উপায় নেই। একপাশে মাদাগাস্কারের সব চরিত্র। সেখান থেকে দুর্র্ধষ ওয়াটার ওয়ার্ল্ডের শো। তারপর জুরাসিক পার্কে বহু যুগের হারিয়ে যাওয়া পৃথিবী দেখতে দেখতে আচমকা পানিতে পতন। পাশেই হয়তো প্রাচীন মিসর। সেখানে মমির প্রতিশোধ যে কত ভয়াবহ হতে পারে, সেটা বলার নয়। এরপর চতুর্মাত্রিক ‘শ্রেক’ দেখা শেষ করে, ‘ট্রান্সফরমার মোশন সিমুলেটর’-এ ১০০তলা থেকে পতনের অভিজ্ঞতা নিতেই হবে।ক্যাবল কারে চড়ার জন্য আরেক দিন সকাল-সকাল উঠতে হলো। মাউন্ট ফেবার থেকে সোজা সান্তোসা আইল্যান্ড। সেখানে নানা রকম রাইড।

যাহোক, ‘গার্ডেন বাই দ্য বে’-র টিকিট আগেই করা ছিল। কৃত্রিম ঝরনা, জলপ্রপাত, মেঘ, বৃষ্টি আর হাজার হাজার ফুলের মেলা। এই দারুণ গ্রিন হাউসের বাইরে বিশাল বিশাল সুপার ট্রি। রাত নামলে সেখানে আলো জ্বলে। মুগ্ধ চোখে সেটা কিছুক্ষণ দেখার পর গেলাম মারলায়ন পার্কে। উদ্দেশ্য, রিভার ক্রুজ। সমুদ্রের পানি টেনে এনে শহরের মাঝখানে নদী বানানো হয়েছে। সেই নদীতে নৌকায় চড়ে শহরটা দেখা আর আকাশছোঁয়া দালানগুলো কোনটা কততলা, সেটা গুনতে থাকা।

অভিভূত হওয়ার কিছু বাকি ছিল। রাতের বেলা মেরিনা বের চারপাশে শুরু হয় চোখজুড়ানো লেজার শো। সেটা না দেখলে সিঙ্গাপুর যাওয়াই বৃথা। সিঙ্গাপুরে খাওয়াদাওয়ার অভাব নেই। হরেক দেশের, হরেক স্বাদের। দামি রেস্তোরাঁ যেমন আছে, তেমনি বেশ কিছু হকার্স সেন্টার আর ফুড কোর্টও দেখলাম। সবচেয়ে পছন্দ হলো একধরনের আইসক্রিম। রাস্তার পাশে বিক্রি করে। দামে সস্তা, কিন্তু স্বাদ সেই রকম!

সমস্ত দ্বীপ ঘিরে ছোট ছোট জলাভূমি আর ডোবা। এসবের পাশাপাশি সমস্ত শহর জুড়েও রয়েছে বিলাস বৈভবের এক নান্দনিক অধ্যায়। সন্ধ্যের আলো ঝলমলে শহরে দেদারছে খানাপিনা আর আমোদ প্রমোদের সুব্যবস্থা। এখানকার রেস্তোরাঁয় ঢুকে ‘রুটি পরোটা’র স্বাদ নিতে ভুলবেন না। সবমিলিয়ে সিঙ্গাপুর একবার গেলে শহরটির অনিন্দ্য সৌন্দর্য সারাজীবন আপনার চোখে বিনা সুতোয় সেলাই হয়ে থাকবে।

সিটি ট্যুর

সাড়ে তিন ঘন্টা সময়ের সিটি ট্যুরে দেখানো হয় ‘ক্রিকেট ক্লাব’ ‘পার্লামেন্ট হাউস’ ‘সুপ্রীম কোর্ট’ সিটি হল। এছাড়া চায়না টাউন,শ্রী মারিম্পাম টেম্পল,মাউণ্ট ফাবের, লোকাল হ্যাণ্ডিক্রাফট সেন্টার, ন্যাশনাল অর্কিড গার্ডেন, বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রভৃতি। দুপুরের চিড়িয়াখানা ভ্রমণে বন্য জন্তুদের মাঝে দেখা যাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জন্তুদের বিশেষ শো। রাতের বেলা জঙ্গলে যেতে চাইলে রয়েছে ‘নাইট সাফারী’র ব্যবস্থা। রয়েছে ‘সেন্টোসা ওয়াটার ওয়ার্ল্ড’ ট্যুর। যেখানে কেবল কারে চেপে সাগর সান্নিধ্যে কাটাতে পারবেন একান্ত সময়।

শপিং করতে

সিঙ্গাপুরের মত উন্নত আর নান্দনিক শহরে পদার্পন করবেন আর শপিংয়ে যাবেন না তা কি হয়? সারা সিঙ্গাপুর জুড়েই আপনার শপিংয়ের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য রয়েছে অসংখ্য শপিং মল। অরচার্ড রোড এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এখানে পোশাক, জুতো, ইলেকট্রনিক্স গুডস, ফার্নিচার, কসমেটিকস সহ যাবতীয় জিনিস কিনতে পারবেন।

কীভাবে যাবেনঃ

ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুর দূতাবাসের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, থাই এয়ারলাইন্সের বিমানযোগে সিঙ্গাপুর যেতে পারেন। বাংলাদেশ বিমানেও যাওয়া যায় সিঙ্গাপুর।

কোথায় থাকবেন

থাকার জন্য সেরাঙ্গুন রোডের ‘গোল্ডেন টেম্পল’ হোটেল,ভিক্টোরিয়া ষ্ট্রিটের ‘হোটেল ভিক্টোরিয়া’ কম বাজেটের পর্যটকের জন্য সুবিধাজনক। যাদের মাঝারী বাজেট তারা ‘হোটেল ইম্পিরিয়াল’ ‘গ্রাণ্ড সেন্ট্রাল’ প্রভৃতি হোটেলে থাকতে পারবেন। বুকিং না করে গিয়েও বিমানবন্দরে পৌঁছেও এইসব হোটেলে অনায়াসে আপনার কাঙ্খিত রুমের বুকিং দিতে পারবেন।

প্যাকেজ ব্যবস্থাঃ

ঢাকা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেল্সসহ বিভিন্ন ট্যুরিজম কোম্পানী সারা বছর ট্যুরস প্যাকেজ ব্যবস্থা করে থাকেন।

যোগাযোগঃ

ঢাকা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেল্স ৫৩ মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। ফোনঃ ০১৯৭৭৩৩৮০৯৪,
০১৯৭৭৩৩৮০৯৪, ০২৯৫৮৫১৪০।
লেখক ঃ সম্পাদক, মানবাধিকার খবর।
ই-মেইল ঃ md.reaz09@yahoo.com



  
  সর্বশেষ
পেশাজীবি ও সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার সহ জোর পূর্বক চাঁদা দাবি করে তার দায়ের করা মামলার আসামীগনসহ ও তাদের দোসর " স্যার নামীয় চক্রদের " বিভিন্ন ষরজন্ত্র করে গুম খুন হত্যার অগ্রীম আল্টিমেটাম প্রদান,পুলিশ প্রশাসন সহ যৌথ বাহিনী দৃষ্টি আকর্ষণ
কার্তিকের মাঝামাঝি বৃষ্টিতে শীতের বার্তা, বিপাকে কুড়িগ্রামের প্রান্তিক জনপদ
মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ইতিবাচক অগ্রগতি পর্যালোচনা প্রয়োজন
কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308