শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * তথ্য গোপন করে উপাচার্যের পদে আব্দুল মঈন;   * কুড়িগ্রামে ভুটানের অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন রাজা   * ফেনীর ঈদ বাজারে ব্র্যান্ডের শো-রুম চাঙ্গা, সাধারণ দোকানে মন্দা;   * কচুয়া এপির মাধ্যমে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান   * শ্রীপুরে বেতন-বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ,পুলিশ- শ্রমিক সংঘর্ষ   * কক্সবাজারের রামুতে সাড়ে ৭ কোটি টাকা মূল্যের ক্রিস্টাল মেথ জব্দ, গ্রেপ্তার-১   * হেঁটে হজ পালন করতে যাওয়া কক্সবাজার জেলার টেকনাফের জামিল এখন ইরানে;   * মহেশখালীর আলোচিত কিলার লোকমান প্রকাশ আজরাইল গ্রেফতার ;   * গাজীপুরে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ শতাধিক পরিবার পেল ঢেউটিন ও নগদ অর্থ   * প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে `স্বাধীনতা পুরস্কার` গ্রহণ করলেন কুড়িগ্রামের কীর্তিমান সন্তান এস এম আব্রাহাম লিংকন  

   অধিকারের প্রতিবেদন
মিয়ানমারে বিলুপ্ত মানবতা
  Date : 06-12-2016



সাম্প্রদায়িকতার আগুনে পুড়ছে মানবাধিকার
এম. এম. আবুজাফর:

দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। বাতসে মানুষ পোড়া গন্ধ। জীবন্ত মানুষকে কোথাও ঘরের দরজা আটকে কোথাও প্রকাশ্যে শরীরে আগুন ধরিয়ে কোথাওবা দেহ থেকে মাথা কেটে হাতে ঝুলিয়ে উন্মত্ত উল্লাসে ফেঁটে পড়ছে মানুষ নামের পশুরা। এক বিভীষিকাময় নারকীয় দৃশ্য। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারের সেনাবাহিনীর এই বর্বর তম নিষ্ঠুরতায় ভূলুণ্ঠিত মানবাধিকার-ভূলুণ্ঠিত নোবেল পুরস্কারের মর্যাদা!মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে সে দেশের সশস্ত্র বাহিনী ও সাম্প্রদায়িক বৌদ্ধরা যেভাবে হত্যা লীলায় মেতে উঠেছে দূর এবং নিকট অতীতে তার কোনো নজির খুুঁজে পাওয়া যাবেনা।
গত ৯ অক্টোবর প্রশ্নবিদ্ধ ঘটনার অজুহাতে নিরীহ মুসলমানদের ওপর ফের সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের যৌথ হামলা শুরু হয়েছে। মিয়ানমার সরকার ও উগ্র সাম্পদা্য়কি সংখ্যাগুরু বৌদ্ধরা একজোট হয়ে নভেম্বর মাসের প্রথম দিক থেকে মুসলমানদেরকে যেভাবে নারী-শিশু-কিশোর নির্বিশেষে হত্যা করে চলেছে তা বিশ্বের সকল নির্মমতা-নিষ্ঠুরতা-নৃশংসতার ইতিহাসকে ছাড়িয়ে গেছে। নির্বিচার হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, ও জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারার এমন বিভৎসতা বিশ্ববাসী  অতীতে আর অবলোকন করেনি।মিয়ানমারের বর্বর সেনা আর উগ্র সাম্প্রদায়িক বুদ্ধরা একজোট হয়ে হেনো কোনো বর্বরতা-নৃশংসতা-নিষ্ঠুরতা নেই যা তারা চালাচ্ছে না।গ্রামের পর গ্রাম রোহিঙ্গাদের সকল সহায় সম্পদ লুটপাটের পর পবিত্র মসজিদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাড়ি ঘর সহ সবকিছু আগুনে পুড়িয়ে ছাই করছে। পশুরা ইতিমধ্যে পুড়িয়ে মেরেছে জীবন্ত নারী-পুরুষ-শিশুদের।দেহ থেকে মস্তক বিচ্ছিন্ন করে জীবন্ত মানুষের দেহে দাহ্য  পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যা করে বিভৎস উল্লাস প্রকাশের মাধ্যমে শুধু অসংখ্য রোহিঙ্গাকেই নয় মানবতাকেই হত্যা করে চলেছে। ঘরবাড়ি ছাড়া করা হয়েছে লাখ লাখ মানুষকে। নিরুপায় হয়েই হতভাগ্য চরম বিপদাপন্নোব¯দায় অসহায় উৎকণ্ঠিত রোহিঙ্গা মুসলমানরা অনেক আশা নিয়েই ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশে ছুটে আসছে প্রাণ বাঁচাতে একটু আশ্রয়ের জন্য! কিšদ বাংলাদেশ এই ভীত-সন্ত্রস্ত, আশ্রয়হীন, স্বদেশে পরবাসী এবং জাতিগত নির্মূলীকরণের শিকার রোহিঙ্গা মুসলিমদের এই দুর্দিনে এতটুকু অভয় ও আশ্রয়তো দিচ্ছেইনা উপরšদ তাদেকে তাদের জীবন হরণকারী হায়েনাদের হাতে  তুলে দিয়ে যেনো হত্যায় সহযোগীর ভূমিকা পালন করে চলেছে। ঐ আরাকানি রোহিঙ্গা আদম সন্তানদের এই চরম বিপন্নতা দেখে জাতিসংঘ সহ প্রথমসারির প্রভাবশালী মানবাধিকার সং¯দা গুলো  সীমান্ত খুলে দিয়ে  রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষা করতে আহ্বান জানানো সত্বেও দসঙ্গত(?)কারণে তাতে সাড়া দিতে পারছেনা বাংলাদেশ সরকার। দুই রাষ্ট্রের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ডুকরে কাঁদছে নারী-শিশু আর বিপন্ন মানবতা ও মানবাধিকার।
রোহিঙ্গা মুসলমান জনগোষ্ঠীকে চূড়ান্তভাবে নির্মূল করার দুরভিসন্ধি নিয়ে শরু করে অপারেশন পাই থায়া’  নামে নিষ্ঠুর অভিযান। এতে সহ¯্রাধিক রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করা হয়। উগ্র-সাম্প্রদায়িক বৌদ্ধরা মুসলমানদের গ্রামগুলো নির্বিচারে আগুনে পোড়াতে থাকে মিয়ানমারের বর্ণবাদী সাম্প্রদায়িক সরকার ও সন্ত্রাসী  উগ্র বৌদ্ধরা রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর যে নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে তা নিশ্চিতই চরম মানবাধিকার লংঘন এবং মানবতা বিরোধী অপরাধ।
খসে পড়েছে সুচির মুখোশ
মানবাধিকার নিয়ে আগে কথায় কথায় সামরিক জান্তাদের দোষারোপ করলেও ক্ষমতায় আসার পর পারস্পারিক যোগ সাজসে রোহিঙ্গা নির্মূলে মুখে কুলুপ এটে থাকলেও যখন মলয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশ ও সংগঠন এর প্রতিবাদ এবং নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেয়ার জোর দাবী ওঠায় তার বক্তব্যের মাধ্যমে মানবাধিকার ও শান্তিবাদীতার মুখোস খসে তার লুকানো কুৎসিৎ স্বৈরাচারী ও চরম বর্ণবাদী চেহারা উন্মোচিত হয়ে পড়েছে। সুচিকে প্রদত্ত নোবেল প্রত্যাহার দাবীর আবেদন ওয়েবসাইটে আশ্রয় দানের আহ্বান। মিয়ানমারে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান নারকীয় হত্যাযজ্ঞ বন্ধে জাতিসংঘকে প্রয়োজনীয় ব্যব¯দা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সহ দেশী বিদেশী রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক দল ও সংগঠন গুলো। তাদের দাবী চরম বিপদগ্র¯দ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হোক।প্রয়োজনে দেশবাসী সহ বিশ্ববাসী সাধ্যমত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।
দেশের জনগনের হৃদয়ে রক্ত ঝরলেও এ দেশের সসরকারের মাঝে সঙ্গত কারনে এনিয়ে নেই তেমন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া! বন-জঙ্গল, সাগর পেরিয়ে বাঁচার আশায় মরিয়া হয়ে সীমান্তে ছুটে আসা রোহিঙ্গা মুসলিম নারী-শিশুদের ‘অবৈধ প্রবেশ’ ঠেকানোর অজুহাতে মিয়ানমারের সেই শকুন সেনাদের হাতেই তুলে দিয়ে হতভাগ্যদের মৃত্যু নিশ্চত করে  আমরা অসাম্প্রদায়িক তাই প্রমান করছি কি?নাকি উদ্বাস্তু রোহিঙ্গারা মুসলমান, এটাই তাদের অপরাধ! ৬০ এর দশকে যদি ভিয়েতনাম  যুদ্ধের সময় হাজার হাজার মাইল দূরের দেশ হয়েও যুদ্ধের প্রতিবাদে ভিয়েতনামীদের পক্ষে ঢাকার রাজপথ কাঁপিয়ে মানবতার স্বার্থে ঢাকার রাজপথে গান গেয়ে টাকা তুলে ভিয়েতনামের নির্যাতিত মানুষের জন্য পাঠাতে পেরেছি-তবে কেনো বাড়ির পাশের দেশ মিয়ানমার- হাজার হাজার বছরের আত্মিক সম্পর্ক যাদের সাথে সেই রোহিঙ্গা মুসলিমদের কাতরতা, বিপন্নতা আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করছে না? কেনো তাদের একটু আশ্রয় দিয়ে তাদের জীবন বাঁচাতে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছিনা? আমরা কি সেই বাঙ্গালী যারা ৭১ এ ভারতের মাটিতে আশ্রয় নিয়ে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি! আমরা কি সেই জাতি যারা পাকিস্তানী সেনাদের দ্বারা যে পরিমাণ নির্যাতনের শিকার হয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ছিলাম! তার থেকে সহ¯্র গুণ বর্বরতা ও হিং¯্রতার শিকার রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয়তো দিচ্ছিইনা উপরšদ মিয়ানমারের রক্ত পিপাসু সেনাদের হাতে তুলে দিয়ে নির্দোষ পুরুষ নারী শিশুদের হত্যাযজ্ঞে সহায়তা করে আমাদের কোন ধরনের বৈশিষ্ট প্রদর্শন করছি? এতে কি মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম জাতিগোষ্ঠী নির্মূলে ষে ভয়াবহ মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে তার দায়ভার কি অজ্ঞানে স্বজ্ঞানে কিছুনাকিছু দায় এক সময় নিতেই হবে। ইতিহাস কখনো দায় মুক্তি দেয়না-কাওকে ক্ষমাও করে না। শুধু সমযের অপেক্ষা মাত্র। সুচিকে প্রদত্ত নোবেল প্রত্যাহারের আহবান।
পুরস্কারের প্রবর্তক আলফ্রেদ নোবেলের আত্মায় কষ্ট পাচ্ছে।আর এই পৃথিবীর মানুষগুলো নোবেল পুরস্কারের প্রতি শ্রদ্ধা হারাচ্ছে।প্রখ্যাত রসায়নবিদ আলফ্রেদ নোবেল যে উদেশ্য তার সুবিশাল ধন ভান্ডার উইল করে নোবেল ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অসাম্প্রদায়িক মানুষের মতে অং সান সুচি‘কে নোবেল দেয়ার মাধ্যমে তা ব্যহত হয়েছে। আজ যদি মহাত্মা আলফ্রেদ নোবেল বেঁচে থাকতেন তাহলে সুচির মত হায়েনাকে এ পুরস্কার দেয়ায় ব্যাথিত হয়ে তিনি নোবেল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা না করে ঐ অর্থ দিয়ে অসহায় মানুষের কল্যাণে আর রাক্ষসী সুচি‘র মত রক্তপিপাসুদের বিরুদ্ধে ব্যয় করতেন। নোবেল পুরস্কারের মর্যাদা রক্ষার্থে নোবেল কমিটি অব দি নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্টের উচিৎ অবিলম্বে অং সান সুচিকে দেয়া পুরস্কার প্রত্যাহার পুর্বক নোবেলের আত্মার শান্তির ব্যব¯দা করা।
সুচির নোবেল। প্রত্যাহারের আবেদন ওয়েবসাইটে:
এদিকে  সুচির নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহারের দাবি ক্রমাগত জোরালো হচ্ছে।ইতিমধ্যে ‘পিটিশন ওয়েবসাইট চেঞ্জ ডট ওআরজিদ নামে এক ওয়েব সাইটে জমা হচ্ছে তার পুরস্কার প্রত্যাহারের দাবির একের পর এক আবেদন।নরওয়ের নোবেল কমিটির কাছে পিটিশনটি উপ¯দাপন করতে হলে অন্তত দেড় লাখ স্বাক্ষর প্রয়োজন।ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় সংখ্যকের চেয়ে ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারনা করা হ্চ্ছে।এছাড়াও রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে সু চির বিরুদ্ধে খোলা হচ্ছে নতুন নতুন পিটিশন। চলছে স্বাক্ষর সংগ্রহ। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে তার ভূমিকার প্রতিবাদে শান্তিতে পাওয়া তার নোবেল পুরস্কার বাতিলের এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দিয়ে পুশব্যাক করায় ক্ষুদ্ধ দেশবাসী
রোহিঙ্গারা তাহলে যাবে কোথায়? কে তাদের আশা-ভরসা দেবে, কে আশ্রয় দেবে, নিরাপত্তা,তারা কি এভাবে নিঃশেষ ও নির্মূল হয়ে যাবে? এসব প্রশ্নের জবাব বিশ্ববিবেকের কাছে নেই। বিশ্ববিবেক অথর্ব, নীরব।দেশের জনগনের হৃদয়ে রক্ত ঝরলেও এ দেশের সরকারের মাঝে সঙ্গত(?) কারনে এনিয়ে নেই কোন প্রতিক্রিয়া। দীর্ঘ বিলম্বে দায়সারা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া জানালেও  বন-জঙ্গল, সাগর পেরিয়ে বাঁচার আশায় মরিয়া হয়ে সীমান্তে ছুটে আসা রোহিঙ্গা মুসলিম নারী-শিশুদেরকে ‘অবৈধ প্রবেশ’ ঠেকানোর অজুহাতে মিয়ানমারের সেই শকুন সেনাদের হাতেই তুলে দিয়ে হতভাগ্যদের মৃত্যু নিশ্চত করে  আমরাযে অসাম্প্রদায়িক তা প্রমান করছি। উদ্বাস্তু রোহিঙ্গারা মুসলমান, এটাই কি তাদের অপরাধ? আমরা বাঙ্গালীরা যদি ভিয়েতনাম  যুদ্ধে হাজার হাজার মাইল দূরের দেশ হয়েও ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদে ভিয়েতনামীদের পক্ষে ঢাকার রাজপথ কাঁপিয়ে মানবতার স্বার্থে ঢাকার রাজপথে গান গেয়ে টাকা তুলে ভিয়েতনামের নির্যাতিত মানুষের জন্য পাঠাতে পেরেছি-তবে কেনো বাড়ির পাশের দেশ মিয়ানমার- হাজার হাজার বছরের আত্মিক সম্পর্ক যাদের সাথে সেই রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিপন্নতা আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করছে না? কেনো তাদের একটু আশ্রয় দিয়ে তাদের জীবন বাঁচাতে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছিনা? আমরা কি সেই বাঙ্গালী যারা ৭১ এ ভারতের মাটিতে আশ্রয় নিয়ে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি! আমরা কি সেই জাতি যারা পাকিস্তানী সেনাদের দ্বারা যে পরিমাণ নির্যাতনের শিকার হয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ছিলাম! তার থেকে সহ¯্র গুণ বর্বরতা ও হিংস্রতার শিকার রোহিঙ্গারা অথচ তাদেরকে আশ্রয়তো দিচ্ছিইনা উপরšদ পুশব্যাকের নামে মিয়ানমারের রক্ত পিপাসু সেনাদের হাতে তুলে দিয়ে নির্দোষ পুরুষ নারী শিশুদের হত্যাযজ্ঞে সহায়তা করে আমাদের কোন ধরনের বৈশিষ্ট প্রদর্শন করছি?এতে কি মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম জাতিগোষ্ঠী নির্মূলে ষে ভয়াবহ মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে তার দায়ভার কিšদ এক সময় নিতেই হবে।ইতিহাস কখনো দায় মুক্তি দেয়না-কাওকে ক্ষমাও করে না। শুধু সমযের অপেক্ষা মাত্র।
বিস্ময়কর এই যে, বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ রোহিঙ্গাদের এই নিষ্ঠুর  নিপীড়ন-নির্যাতন ও নির্মূলীকরণ নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করছে না, তাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে না। জাতিসংঘ, ওআইসি, সার্ক, আসিয়ান, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ রাষ্ট্রসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, সউদী আরবসহ প্রভাবশালী রাষ্ট্রসমূহ কার্যত নীরবতা পালন করে যাচ্ছে। না হয় যৎসামান্য যা কিছু বলছে, তা লোক দেখানো ছাড়া কিছুই নয়। এসব কথার কোনো পাত্তা দিচ্ছে না মিয়ানমার। এই কথিত সভ্যতাগর্বী বিশ্বে সকলের চোখের সামনে একটি সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জাতিকে দেশহীন, নাগরিক পরিচয়হীন করে নির্মম কায়দায় নির্মূলীকরণ, নিশ্চিহ্নকরণ জোরদার করা হয়েছে। মিয়ানমারের সামরিক যান্তা সরকার বছরের পর বছর ধরে রোহিঙ্গাদের ওপর যে অকথ্য ও দুর্বিষহ আচরণ এবং জুলুম-পীড়ন চালিয়ে আসছিল,আশা করা হয়েছিল অংসান সুচির গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে সে পরি¯িদতির পরিবর্তন হবে, রোহিঙ্গারা তাদের হৃত অধিকার ফিরে পাবে, নিরাপত্তা পাবে, উন্নয়ন ও আত্মবিকাশের সুযোগ লাভ করবে।সেই সরকারের প্রকৃত প্রধান হয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া অং সান সুচি। কিšদ এখন দেখা যাচ্ছে, সামরিক জান্তা সরকারের চেয়েও সুচির গণতান্ত্রিক সরকার অনেক বেশি নিষ্ঠুর, সাম্প্রদায়িক ও অমানবিক। সর্বশেষ ২০১২ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গারা হত্যা-নির্যাতন, উৎখাত-বিতাড়নের শিকার হয়েছিল। তখনো ব্যাপকভাবে হত্যা, গ্রেফতার, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, বিতাড়নের ঘটনা ঘটেছিল। পর্যবেক্ষকদের মতে, এখনকার পরি¯িদতি ২০১২ সালের চেয়ে নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতার মাত্রা তখনকার চেয়ে এখন অনেক ব্যাপক ও বিস্তৃত।
সঙ্গত ভাবেই প্রশ্ন এসে যায় রোহিঙ্গারা কি এভাবেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে? কথিত মানবতাবাদী-বিবেকবাদী বিশ্ব কি তাদের জন্য কিছুই করবে না? তাদের নিজভূমে প্রতিষ্ঠিত ও নিরাপদ করতে উদ্যোগী হবেনা? তবে কেন বিশ্বে রয়েছে রাষ্ট্রসংঘ, মানবতার ধ্বজাধারী রাষ্ট্রসমূহ এবং মানবতাবাদী সং¯দা ও সংগঠন? রোহিঙ্গাদের ‘অপরাধ’ কি এই যে, তারা মুসলমান এবং একটি দেশে সংখ্যালঘু?বাংলাদেশ সহ পার্শ্ববর্তি দেশগুলো, রাষ্ট্রসংঘ এবং প্রভাবশালী মানবাধিকার সং¯দা ও সংগঠন।যুক্তিগত কথা বলতে গেলে বলতে হয় মিয়ানমারের নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকা জোরদার হোলে,এভাবে নির্বিচার পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ চালাতে পারতোনা সুচি বাহিনী।শেষাবধি সরকারের  নিরবতায় জনমত বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠলে দায়সারা গোছের নড়েচড়ে বসেছে।জানিয়েছে কড়া প্রতিবাদ। সরকার রোহিঙ্গাদের প্রতি সদয় হতো,একটু আশ্রয় দিতো তাহলে নৃশংস হত্যার শিকার হতোনা।বেঁচে যেতো নিস্পাপ শিশু সহ অগণিত অসহায় আদম সন্তানের প্রাণ। প্রতিবেশী দেশগুলো চলমান পরি¯িদতির অবসানে মানবাধিকার হরণকারী সুচি সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকায় এগিয়ে আসা একান্ত উচিৎ ছিলো অনেক আগেই তাহলে আনর্জাতিক মহলও এগিয়ে আসতো। এক্ষেত্রে হিন্দু-মুসলিম নয়, নয় সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু এখানে বিপন্ন মানুষ,মানবতা ও মানবাধিকারকে বাঁচাতে হবে এই চেতনা নিয়ে শক্ত ভাবে এগিয়ে এলে বেঁচে যেতে পারে একটি জাতিগোষ্ঠী। রোহিঙ্গাদের রক্ষা ও অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ করতে  মিয়ানমারের উপর প্রচ-  চাপ সৃষ্টি জরুরী।জাতিসংঘ, বিশ্বসং¯দা, প্রভাবশালী দেশসমূহ এবং বিশেষ করে ইসলামী বিশ্বকে এ ব্যাপারে ত্বরিত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের আহ্বান জানাই, এটাই শান্তিপ্রিয়,মানবতাবাদী মানুষ ও মানবাধিকার কর্মীরা আশা করে। এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সং¯দার বাংলাদেশ শাখার কর্মকর্তা জন ম্যাককিসিক বলেছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, তারা জাতিগত নির্মূলের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করেছে।



  
  সর্বশেষ
তথ্য গোপন করে উপাচার্যের পদে আব্দুল মঈন;
কুড়িগ্রামে ভুটানের অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন রাজা
ফেনীর ঈদ বাজারে ব্র্যান্ডের শো-রুম চাঙ্গা, সাধারণ দোকানে মন্দা;
কচুয়া এপির মাধ্যমে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308