শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারকে অস্থিতিশীল করছে যুক্তরাজ্য : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ;   * ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’   * বাল্যবিবাহের কারণে বাড়ছে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন   * চট্টগ্রামে আব্দুল জব্বারের বলীখেলার নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ বলী;   * ঢাকা,চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান ;   * গাজীপুরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অগ্নিকাণ্ড   * কক্সবাজারের টেকনাফে ধরা পড়ল ৪০০ কেজি ওজনের তলোয়ার মাছ   * মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর   * ট্রাকচাপায় সড়কে ঝড়ল অটোরিকশা চালকের প্রাণ   * ৭নং ওয়ার্ডে এনজিও সংস্থা প্রত্যাশী এর সেমিনার অনুষ্ঠিত ;  

   সম্পাদকীয়
দেশে সঠিক মানবাধিকার নেই গভর্নমেন্ট বাই দ্যা পুলিশ, ফর দ্যা পুলিশ, অব দ্যা পুলিশ -ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ
  Date : 02-06-2016

এ এইচ এম ফারুক:

ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ। সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবি এবং বিএনপির বুদ্ধি ভিত্তিক রাজনৈতিক চর্চার সাথে জড়ীত তরুন নেতা। গণমাধ্যমে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করার নেতার সংকটকালে যে কয়জন এগিয়ে এসেছেন, তার মধ্যে তিনি অন্যতম। টেলিভিশন টকশোতে নিয়মিত বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করে বেশ জনপ্রিয় ও মিডিয়াব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন ইতিমধ্যে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশাস্ত্রে অনার্স ও মাস্টার্স গ্রাজ্যুয়েট পারভেজ স্কলারশীপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আইনে মাস্টার্স শেষে বার এট ’ল ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায়, দেশে তথ্য প্রযুক্তির প্রসার ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন।

ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদের সাথে সাম্প্রতিক বিষয়ে কথা বলেছেন মানবাধিকার খবরের নির্বাহী সম্পাদক

এ এইচ এম ফারুক

 

বিরতি দিয়ে আবারও দেশে শিশু নির্যাতন, নারী ও শিশু ধর্ষণ ইত্যাদি নির্যতনের ঘটনা ঘটছে। সভ্যযুগে এসেও মানুষ কেন নিষ্ঠুর আচরণ করছে?

 

আওয়ামীলীগ সব সময় বলতে চেষ্টা করে, দেশ নজির বিহীন ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এটিও তাদের নজির বিহীন কর্মকান্ডের বহি:প্রকাশ বলে মনে করছি। এই তো কিছু দিন আগে হবিগঞ্জে চার শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।

মানবাধিকার পরিস্থিতি জানার জন্য মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর রিপোর্ট পর্যালোচনা করলেই বোঝা যাবে। অনেকগুলো মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান আছে। তবুও দেশে-বিদেশে অধিক স্বীকৃত হিসেবে আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং অধিকার এর মাসিক, ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক ও বার্ষিক প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করা যেতে পারে। দেখতে পাবেন প্রতিমাসে, অসংখ্য মানুষ গুপ্ত হত্যার স্বীকার হচ্ছে। সুতরাং যে দেশের মানুষ গুপ্ত হত্যার স্বীকার হয়, বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে পরিগণিত হয়। সেদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি কত উঁচুতে আছে বা কেমন আছে তা সহজেই অনুমান করা যায়। দেশের মানুষ এ থেকেই বুঝে নিবে।

যেখানে বিরোধী দলকে রাজনীতি করতে দেয়া হয় না। কর্মসূচী নিয়ে নামলেই গুলি করা হয়। সেখানে মানবাধিকার কেমন থাকতে পারে!

মানবাধিকার সংস্থা আসক ও অধিকারের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৩১ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ বছরে ২২০ জন গুম  হয়েছে।  এদের মধ্যে ৩৯ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। ১৮ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এবং ২০ জন বিভিন্ন সময়ে মুক্তি পেয়েছেন। বাকি ১৪২ জনের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।

পুলিশ কর্তৃক চাঁদা ও ঘুষ আদায়কে কেন্দ্র করে নির্যাতনের ঘটনাও ঘটছে।

 

কেন এমন অনৈতিক কর্মকা-ের সাথে জড়াচ্ছে পুলিশ?

কারণ সরকার পুলিশকে যথেচ্ছ ব্যবহার করছে। তাই পুলিশের মধ্যে নৈতিকতার স্খলন ঘটছে। তাদের মধ্যে যেমন সৎ, মেধাবী ও ভালো অফিসার আছেন, তেমনি উচ্চাভিলাসীও আছেন।

ফলে তারা আইনকে নিজের মতো করে ব্যবহার করছেন।  আইন শৃংখলা বাহিনী পরিচয়ে তুলে নেয়ার ঘটনারও অভিযোগ আছে। খুব কষ্ট নিয়ে বলতে হয়। পুলিশ জনগণের বন্ধু। পুলিশের কাজ হলো নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু আমাদের দেশে পুলিশের কাজ কী দেখুন। শুধুমাত্র ক্ষমতাসীনদের রক্ষার জন্য পুলিশ। দেখুন পুলিশের পক্ষ থেকে যে সকল মামলা করা হয়, সেখানে সরকার দলীয়দের জন্য এক রকমের ধারা দেয়া হয়। আবার সরকার বিরোধীদের জন্য অন্য রকমের ধারা প্রয়োগ করা হয়।

দেশে সঠিক মানবাধিকার নেই। কারণ; ইদানিংকালে পুলিশের যে আচরণ, যে ব্যবহার এবং পুলিশ যখন স্বগৌরবে বলে আমাদের কারণেই সরকার টিকে আছে। তখন কিন্তু বোঝা যায়, গভর্নমেন্ট বাই দ্যা পিপল, ফর দ্যা পিপল, অব দ্যা পিপল থেকে উল্টো হয়ে যায়- গভর্নমেন্ট বাই দ্যা পুলিশ, ফর দ্যা পুলিশ, অব দ্যা পুলিশ।

 

পুলিশের কাজই তো সরকারের আজ্ঞাবহ হওয়া। তাহলে?

এখানে একটু পার্থক্য আছে। পুলিশ হচ্ছে রাষ্ট্রের, কোন দলের নয়। আর রাষ্ট্রের কাছে সবাই সমান। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এখন পুলিশকে রাষ্ট্রে কাজের চেয়েও দলের কাজে বেশী ব্যবহার করছে। কিন্তু নিয়ম তা নয়। গণতন্ত্রের অর্গানগুলোকে আপনি একচেটিয়ে করতে পারেন না। গণতান্ত্রিক বা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে যা ইচ্ছে তাই ব্যবহার করতে পারবেন না।

 

দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কি করা উচিৎ ?

মানবাধিকার বিষয়ক সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো শক্তিশালী ও রাজনৈতিক প্রভাব এবং বলয় মুক্ত করতে হবে। তাদের কাজের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে জবাবদিহিতার ব্যবস্থা থাকবে কিন্তু রাজনৈতিক পেষণ তথা দলন পীড়ণ করা যাবে না।  আমাদের দেশের সব কিছুর সাথে যেহেতু রাজনীতি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়ীত, সেহেতু রাজনীতিকে আগে ঠিক করতে হবে। আমাদের গণতন্ত্র নির্বাসনে চলে গেছে। সরকারের উচিত হবে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগে নির্বসিত গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। দেশে রাষ্ট্রয়ী পৃষ্টপোষকতায় যে হারে গুম খুন হচ্ছে, এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। কোন সভ্য দেশে এমন হতে পারে না।

 

বিচারাঙ্গন নিয়ে প্রধান বিচারপতি ও সদ্য অবসরে যাওয়া একজন বিচারপতির মধ্যে বাহাস চলছে। এটা কতটুকু সমর্থনযোগ্য?

এটা আইনের শাসনের জন্য খুবই দু:খ জনক। প্রথমত বিচারাঙ্গন এবং বিচারপতি, বিশেষ করে প্রধান বিচারপতিকে কোন ভাবেই জনসম্মুখে নিয়ে আসা উচিত নয়। সদ্য অবসরে যাওয়া একজন বিচারপতি প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে যে পরিমান নোংরা ভাষায় আঘাত করে কথা বলেছেন তা কোন ভাবেই কাম্য নয়। তাও আবার সুপ্রীম কোর্টের মতো পবিত্র জায়গায় দাঁড়িয়ে। তিনি অবসরে গেলেও ঐতিহ্যগত কারণে তিনি বিচারক সুলভ আচরণ করবেন বলেই আমরা প্রত্যাশা করছি। অতীতে এমন নজির নেই।

 

অতীতে এমন নজির না থাকলেও বিচারাঙ্গনের শীর্ষ পর্যায়ে এখন কেন এমন হচ্ছে?

আসলে বিচার বিভাগ নিয়ে কথা বলতে অত্যান্ত সাবধানতা অবলম্ভন করতে হয়। নয়তো অদালত অবমাননার দায়ে পড়তে হবে। তবুও বলছি সরকার বিচারবিভাগসহ রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ছলে-বলে, কলে-কৌশলে কুক্ষিগত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। যার ফলে বিভিন্ন বিভাগে চেইন অব কমা-ে গোলযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে কেউ কাউকে মান্য করছে না বা করতে চাইছে না। 

 

অবসরে গিয়ে রায় লেখা নিয়ে যে বির্তকের অবতারনা হয়েছে সেখানে আইন বিজ্ঞান কি বলে?

অবসরে গিয়ে রায় লেখার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি যে বিষয়ের অবতারনা করেছেন তা আইন বিজ্ঞান এবং আমাদের সংবিধানের আলোকে ঠিকই বলেছেন। কারণ একজন বিচারপতি যখন অবসরে যাবেন তখণ তিনি যে শপথের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতেন তা থেকে বেরিয়ে যাবেন। সুতরাং তখন তার শপথ ভঙ্গের বিষয়ে কোন বাধ্যবাধকতা থাকে না।

 

বিচার বিভাগ নিয়ে বিচারাঙ্গনের বাইরে যা ইচ্ছে অভিমত দেয়া কতটুকু গ্রহণযোগ্য?

একেবারেই গ্রহনযোগ্য না। বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ঠরা ছাড়া অন্যকারোই এ নিয়ে ইচ্ছে মত অভিমত দেয়া বা সমালোচনা করার সুযোগ নেই।

 

বিএনপি অন্যতম একজন মুক্তিযোদ্ধার হাতে গড়া দল। কিন্তু এ দলটিকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির দল হিসেবে গণ্য করা হয়। এ ব্যার্থতা কেন?

এ ব্যপারে আমি আপনার সাথে দ্বিমত করবো না। সরকার বা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী পক্ষ হিসেবে যেভাবে বিএনপির ওপর দায় চাপানো হয় সে অর্থে বিএনপি বিষয়টি সেভাবে হ্যান্ডেল করতে পারে না। এটা আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় সফলতা। যে দলটি একজন সবচাইতে বড় মুক্তিযোদ্ধার গঠন করা দল, যিনি একজন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার। বাংলাদেশে আর কোন সেক্টর কমান্ডারের দল নেই। অথচ দেখুন বিএনপিকে উপস্থাপন করা হয় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী দল হিসেবে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ এটাকে ভালোভাবে ব্র্যান্ডিং করতে সক্ষম হয়েছে। কারণ তাদের মার্কেটিং ক্যাপাসিটিটা খুব ভালো এবং তারা সফলতার সাথে তা করতে পেরেছে।

 

১/১১ পর ক্রাইসিস পরিস্থিতিতে পড়া বিএনপি ক্রাইসিসের মধ্য দিয়েই যাচ্ছে। পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটিয়ে ঘুড়ে দাঁড়াতে কি ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে?

দেশে এখন সরকারের ভিন্নমতের কারো মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। বিএনপি একটি বৃহৎ সংগঠন। তার প্রধানতম প্রতিদন্দি হচ্ছে আওয়ামীলীগের মতো আরেকটি বড় ও প্রাচীন দল। কিন্তু তা সত্বেও আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে বিএনপিকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করতে এবং নাম-নিশানা মুছে দিতে ওঠে-পড়ে লেগেছে। নেতা-কর্মীদের হামলা, মামলার উপর মামলা দিয়ে জর্জরিত করছে। পৃথিবীর ইতিহাসে যা ঘটেনি তা আওয়ামীলীগ করেছে। যেমন দলের মহাসচিব কে ৯৬টি মামলা দিয়েছেন। যুবদলের সভাপতি এ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল কে ১১৭টি, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নিরবের নামে ১৭৮টি  মামলা দিয়েছেন। এছাড়াও সারা দেশে দের লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৭৮ হাজার মামলা দেয়া হয়েছে। তবুও বিএনপিকে ধ্বংষ করা যাবে না।

কারণ, এ দলটি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া। যিনি ছিলেন সততার এক পূর্ত প্রতিক। তার সহধর্মীনী এবং সুযোগ্য উত্তরসূরী তারেক রহমান এ দলের হাল ধরেছেন। দলকে আরো বেশী কার্যকর অবস্থানে রাখতে এবার তরুণদের প্রধান্য দিয়ে দল পূনর্গঠনের প্রকৃয়া চলছে।

 

কিন্তু ঘুড়ে দাঁড়ানোর কোন কার্যকর ফলাফলতো পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

এটা এভাবে হঠাৎ করে বলা যাবে না। কিছুটা সময়তো লাগবেই। একটা দলকে ঘুরে দাড়ানোর বিষয়ে বুঝতে হলে প্রথমে রাজনৈতিক ও গনতান্ত্রিক পরিবেশ থাকতে হবে। এখন দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। সুতরাং কোন মাপকাঠিতে আপনি বলবেন ঘুড়ে দাঁড়ানোর অগ্রগতি নেই। বরং সরকার তার কথা থেকে সরে গেছে। পূণ নির্বাচন দেয়ার অঙ্গীকার করে সংবিধান রক্ষার কথা বলে যে নির্বাচন করেছেন সেই বকেয়া নির্বাচনতো এখনো  ঝুলে আছে।

 

আপনি বকেয়া নির্বচনের প্রসঙ্গে বলেছেন। সরকার কিন্তু ২০১৯ সালেই পরবর্তী সংসদ নির্বাচন দিবে বলছে।

এটাইতে সরকারের খেলা। তারা চাইছে বিএনপিকে মাইনাস করে জাতীয়পার্টিকে বিরোধীদল শো করে একটি নির্বাচন দিবেন। আর ২০১৯ সালে যদি জাতীয় পার্টি সদ্য বিদায়ী বিরোধীদল হয় তাহলে গণতন্ত্র কোথায় আছে তা আমাদের অন্যভাবে ভাবতে হবে।

 

জাতীয় পার্টি দীর্ঘ ৯ বছর সরকারেও ছিলো। তাহলে তাদের বিরোধী দল হতে দোষ কোথায়?

দোষ হলো, জাতীয় পার্টি এমন একটি বিরোধীদল যারা পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র দল, যারা সকল গণতান্ত্রিক ইতিহাসকে পায়ে মাড়িয়ে সরকারের মন্ত্রী সভায় স্থান নিয়েছে। বিরোধীদলের প্রধান আবার সরকার প্রধানের মন্ত্রী মর্যাদায় বিশেষ দূত হয়েছে। আবার তারা মাঝে মধ্যে চিৎকার করে যে আমরা পদত্যাগ করবো। তাদের অবস্থান হলো তারা নির্বাচনের আগেও মহাজোট হিসেবে একজোট ছিলো। যাদের কে ৫ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচনে  সরকার আসন ছেড়ে দেয়। সেখানে জাতীয় পার্টি কোন ধরনের বিরোধী দল তা জনগণ বোঝে।

 

বিএনপি সরকারে নেই। সংসদেও নেই। সরকার গত নির্বাচনের মতো আগামী নির্বাচনও একই ভাবে করবেন বলছেন। বিএনপি জোটও তাদের দাবীতে অটল। শেষটা কী হতে পারে?

শেষটা কী হতে পারে এটা এই মুহূর্তে বলা বেশ কঠিন। আমি মনে করি, সব সময় সত্যের জয় সমাগত। আর মিথ্যাকে নিয়ে বেশি দূর এগোনো যায় না। আমাদের বাংলাদেশের যে প্রেক্ষাপট সে প্রেক্ষাপট চিন্তা করলে আমাদের সামনে আরো কঠিন দিন আসতে পারে। তবে আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বিশ্বাস করি, একটা সমাধান নিশ্চয় হবে।

 

সরকার বিএনপি’র দাবি অনুযায়ী আপোষে আগাম নির্বাচন না দিলে বাধ্য করার জন্য বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?

একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের অনেকগুলো পরিকল্পনা থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিশেষ পরিকল্পনার কথা তো আর মিডিয়ায় প্রকাশ করবে না। অপেক্ষা করুন নিশ্চয় দেখতে পাবেন। পরিশেষে আমি একটি কথা বলবো- শহীদ জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপির বর্তমান সিপাহসালার হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। তারেক রহমান আমাদের আগামীর কা-ারী। তার নেতৃত্বে আমরা এমন একটি দেশ বিনির্মাণ করবো যেটা হবে আগামী প্রজন্মের জন্য আদর্শ একটি রাষ্ট্র। যে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়।



  
  সর্বশেষ
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারকে অস্থিতিশীল করছে যুক্তরাজ্য : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ;
ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
বাল্যবিবাহের কারণে বাড়ছে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
চট্টগ্রামে আব্দুল জব্বারের বলীখেলার নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ বলী;

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308