১৬ নভেম্বর দরিয়ানগর বড়ছড়া খালে কংক্রিটের খুঁটি পুঁতে ও জিওব্যাগের বাঁধ দিয়ে বালিয়াড়ি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছিলেন জিয়া উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে পরদিন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তা উচ্ছেদ করা হয়। সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা বা অবকাঠামো নির্মাণে কাউকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেন, দখলদারের তালিকা করে এ বিষয়ে মামলা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ি ‘মারমেইড বিচ রিসোর্টের’ বিরুদ্ধে ঝাউবন কেটে বেলাভূমি দখলের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়েছে রামু উপজেলা প্রশাসন। সেখানে চার একর জমির ওপর বানানো ‘ফুল মুন বিচ পার্টি’ উচ্ছেদ করা হয়েছে। রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সৈকতের বেলাভূমি ও ঝাউবন কেটে তৈরি করা বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই সব স্থাপনায় প্রবেশের জন্য নির্মিত ১০০ ফুট কাঠের সেতু গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা জানান, দুই-তিন বছর আগে ‘মারমেইড বিচ রিসোর্ট’ কর্তৃপক্ষ প্রভাব খাটিয়ে ঝাউবনের ভেতরে স্থাপনা তৈরি করে। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মারমেইড বিচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল হক সোহাগের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারি হোক আর ব্যক্তিগত জমি হোক, সৈকত এলাকায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ নেই। অবশ্যই বেলাভূমিতে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর (অব.) মোহাম্মদ নুরুল আবছার সাংবাদিকদের বলেন, ‘মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের আগে সৈকত এলাকায় কোনো ধরনের অবকাঠামো তৈরি থেকে বিরত থাকতে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।