সাক্ষাৎকার গ্রহণে হাসিব রহমান :

প্রশ্ন : আমরা জানি আপনি একজন মিডিয়া কর্মী কিন্তু ইদানিং আপনাকে রাজনৈতিক মঞ্চে দেখা যাচ্ছে আসলে এর পিছনের ব্যাখ্যা কি ?

জুনেদ আতিক : আসলে দেখুন আমি রাজনীতির মঞ্চে আসার পেছনে গল্পটা হলো, এক ধরনের মিথ্যাকে বা অহেতুক বিভিন্ন ধরনের ট্যাগের আক্রমণের থেকে, সেই জায়গা থেকেই আসলে নিজেকে এখন একটু রাজনীতির মঞ্চে আবিষ্কার করার চেষ্টা করছি, আমি যখন কোন রাজনৈতিক দল করতাম না বা সমর্থন করতাম না, তখন আশেপাশের অনেকের কাছ থেকে আমাকে কথা শুনতে হয়েছে যে, আমি বিএনপি করি, শিবির করি,জামাত করি, সমন্বয়কদের সাথে চলি ইত্যাদি, কিন্তু বাস্তবে আসলে আমি তাই, এমনিকি এইসব নিয়ে আমাকে অনেক সময় তর্কেও জড়াতে হতো, সেই জায়গা থেকে নিজের উপরের মিথ্যা ট্যাগ দূর করার জন্য নিজেগে রাজনৈতিক মঞ্চে নিয়ে আসার চেষ্টা।

প্রশ্ন: রাজনৈতিক মঞ্চে এসে এখন আপনি কি চাচ্ছেন, আপনার লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য কি?
জুনেদ আতিক : এককথায় বলতে গেলে মানুষকে সহযোগিতা করতে চাই মানুষের পাশে থাকতে চাই।

প্রশ্ন: মানুষের পাশে বা সহযোগিতা করার জন্যকি রাজনীতিই করতে হবে?
জুনেদ আতিক: সুন্দর প্রশ্ন করেছেন, আমি এক কথা উত্তরে বলব না, রাজনীতিতেই করতে হবে এমন কোন কথা না, কিন্তু মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য প্রথমত হচ্ছে দুইটা জিনিস থাকতে হবে, এটি হচ্ছে আপনার প্রবল ইচ্ছা শক্তি এবং আরেকটি হচ্ছে আপনার অর্থনৈতিক অবস্থা, এখন আমার প্রবল ইচ্ছা শক্তি থাকলেও আমার অর্থনৈতিক অবস্থানটা এতটা বিশাল নয় যে আমি মানুষের পাশে গিয়ে দাড়াতে পারবো, এই জায়গা থেকে আমি বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরকে নিয়ে যাদের ক্ষমতা রয়েছে, তাদেরকে নিয়ে যেন মানুষের পাশে দাঁড়ানো, কারণ এখন তো মানুষ আসলে কোন ব্যানার ছাড়া বা স্বার্থ ছাড়া কারো পাশে গিয়ে দাঁড়ায় না তো এই জায়গা থেকে আসলে রাজনৈতিক মঞ্চে আসা, রাজনৈতিক ব্যানারে হলেও মানুষের উপকার হয় মানুষের পাশে যেন দাঁড়াতে পারি মানুষের জন্য কিছু করতে পারে।

প্রশ্ন: সেগুলো করার জন্যতো এমপিরা রয়েছেন, আপনাকেই কেন করতে হবে?
জুনেদ আতিক: দেখুন প্রত্যেক এমপির বা মন্ত্রী তার নিজস্ব কিছু লোক থাকে নিজস্ব একটা বাউন্ডারি থাকে তার বাইরে কিন্তু তারা চাইলেও যেতে পারেন না বা ঐভাবে তাদের সাথে এসে নীট লেভেলের মানুষগুলো ওইভাবে তাদের যে মনের কথা ব্যক্ত করতে পারেন না, আমি চাই সাধারণ জনগণ হয়ে জনতার কাতারে থেকেই জনগণের সাথে মিশে জনগণের সেই চাওয়াটাকে পূরণ করতে সহজ করতে এবং একটা ব্রিজের ভূমিকা রাখতে যে গ্যাপটা থেকে যায়।

প্রশ্ন: ২৪শের আন্দোলনের পর বিভিন্ন নতুন নতুন রাজনৈতিক দল এসেছে সে ক্ষেত্রে আপনি কেন জনতার দল কে বেছে নিলেন?
জুনেদ আতিক: একত্রে যদি এক কথায় উত্তর দেই তাহলে বলব যে আমার অনুপ্রেরণা বা যাকে দেখে আমার ভিতরে যে প্রবল ইচ্ছাশক্তি টা জাগ্রত হয়েছে যাকে আমি আমার একজন অভিভাবক মনে করি শ্রদ্ধেয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আজম খান, সদস্য সচিব, জনতার দল। উনার বিশাল অবদান আমি এই রাজনীতির মঞ্চে আসার পেছনে। তাছাড়া ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) শামীম কামাল, চেয়ারম্যান, জনতার দল এবং মেজর (অবঃ) ডেল এইচ খান, মুখ্য সমনায়ক ও মুখপাত্র, জনতার দল, সহ যারা রয়েছেন তারা প্রত্যেকেই সৎ, শিক্ষিত ও পরিশ্রমী। সঠিক নেতৃত্বের জন্য এবং দেশের উন্নতির জন্য খুব প্রয়োজন, যা এখন জনতার দাবী বা সময়ের দাবী।