|
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বর জাতি সংঘ কতৃক মানবাধিকারের সার্বজনিন সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর ডিসেম্বর ১০ তারিখে মানবাধিকার দিবস পালিত হয়ে আসছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এদেশে একটি ন্যায় ও দুর্ণীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। বাংলার ৭ কোটি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ সহরার্দি ময়দানে লক্ষ লক্ষ জনতার মাঝে বজ্রকন্ঠে ঘোষণা দেন” এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। বঙ্গবন্ধুর আহবানে বাংলার মানুষ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ৩০ লক্ষ লোকের রক্তের বিনিময় দেশ স্বাধীন হইল। আমরা একটি দেশ পাইলাম স্বাধীন বাংলাদেশ। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ স্থান পাইল। বঙ্গবন্ধু সংবিধান রচনা করলেন। সংবিধানে বাংলার,গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের অধিকার ও বাংলার সকল মানুষের অধিকার ফিরে পাইল। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ১৯৭২ এর সংবিধানে আন্তর্জাতিক ভাবে স¦ীকৃতি সর্বস্তরে মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। মানবাধিকারের সার্বজনিন, জাতি ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সবার জন্য সমান। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী আমাদের জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান তার তরুন বয়স থেকেই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করেছেন মানবাধিকার সুরক্ষায় আইনের শাসন, ন্যায়বিচার,মত প্রকাশের স্বাধীনতা অত্যাবশ্যক । বিশ^ মানবাধিকার দিবস ডিসেম্বর ১০ তারিখে উপলক্ষ্যে সকল মানুষের সচেতনতা সৃষ্টি, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় সকলকে আন্তরিক হইতে হইবে । অধিকার প্রতিষ্ঠা হইলে দেশের সকল মানুষের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক মুক্তি সাধিত হইবে এবং দৈনন্দিন গুম, খুন, হত্যা, আত্মহত্যা, লুটতরাজ, চাঁদাবাজি, হানাহানি,মারামারি,ধর্ষন ইত্যাদি অপশক্তি সমাজ থেকে বিলপ্ত হইবে। ফলে বাংলার মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা লাভ করবে এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মায় শান্তি লাভ করবে।
|
|
|
|
|