বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ভারতের জলসীমায় ধৃত পাকিস্তানের নুসরাত জাহাজ, উদ্ধার সাত মৎস্যজীবীকে   * কচুয়ায় কৃষক দলের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত   * সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ, কক্সবাজার শহর অচল   * সেনাবাহিনী প্রধানের কক্সবাজার এরিয়া পরিদর্শন   * বঙ্গোপসাগর কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত যুক্তরাষ্ট্র চীনের আলাদা আলাদা স্বার্থ রয়েছে:পররাষ্ট্র উপদেষ্টা   * কক্সবাজার জেলা জামায়াতের নতুন মজলিসে শুরা ও কর্মপরিষদ ঘোষণা   * চট্টগ্রামে পাকিস্তানি জাহাজ, উদ্বিগ্ন ভারত   * সেন্ট মার্টিনে কেউ সামরিক ঘাঁটি করতে পারবে না: রিজওয়ানা হাসান   * বিধি নিষেধ তুলে নেওয়ার পর বান্দরবান জেলার পর্যটন শিল্পের প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে;   * জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নকল নবীশদের অবস্থান ধর্মঘট: চাকরি জাতীয়করণের দাবি  

   প্রবন্ধ
ভালোবাসার মূর্তপ্রতীক ভ্যালেন্টাইন দিবস
  Date : 07-02-2024

অ) বসন্তকালের সঙ্গে ভালোবাসার একটি নিগুঢ় সম্পর্ক আছে, যা আমরা অনেকেই অবহিত আছি। এতদপ্রেক্ষাপটে রচিত গান ও কবিতার শেষ নেই। এ প্রেক্ষিতে একটি গানের কথা না বললেই নয়, যেমন- “নারীর-ও-বসন্তকালে মুখে মুচকী হাসি; পুরুষের-ও-বসন্তকালে হাতে মোহন বাঁশি....................”। মজার ব্যাপার হলো যে, আমাদের এই হিজল-তমাল; শিমুল-পলাশ-ও-শাপলা-শালুকের দেশে ষড়ঋতু চক্রের আওতায় মাধবীর দিন শুরু বঙ্গাব্দের ১লা ফাল্গুন। আবার সেই দিনই ১৪ ফেব্রুয়ারী, যা ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসেবে অভিহিত। যাহোক, আমাদের দেশে আবাল বৃদ্ধ বনিতাদের মধ্যে একটি কথা বহুল প্রচলিত, তা হলো “বিনে সুতার মালা”। কিন্তু সুতা ছাড়া মালা কি হয়? না হয় না। কেননা কোন সুতা বিহীন মালা তৈরী করতে কোন প্রক্রিয়া এ ভবে সৃষ্টি হয়নি এবং এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও নেই। তাহালে কথাটির উদ্ভব হলো কিভাবে ? তা ভাববার বিষয়। মূলতঃ কথাটি প্রতীকাশ্রয়ী, যা প্রেম বা ভালোবাসার কথা প্রকারান্তরে বুঝানো হয়েছে এবং এটি শাশ্বতরূপে অযুত সংখ্যায় বিনে সুতার মালা গাঁথা। তাই ভ্যালেন্টাইন দিবসই বলেন বা ভালোবাসাই বলেন, এটি না থাকলে পৃথিবী সম্পূর্ণ রূপে অচল হয়ে যেতো এবং প্রতীয়মান হয় যে, জীব জগত উলম্বভাবে দাঁড়িয়ে তথা টিকে থাকতে পারতো কিনা, তা যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে। এটি চোখে দেখা যায় না। তবে হৃদয় দিয়ে হৃদয়ের মিথস্ক্রিয়ার বহির্প্রকাশ মাত্র এবং ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়র আওতাভুক্ত। এ সূত্র ধরে সামগ্রিক বিষয়াদি বিবেচনায় এনে ভালোবাসা সম্পর্কে একটি নাতিদীর্ঘ সংজ্ঞা ইংরেজিতে অভিধানে উল্লেখ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে,To have a strong affection or deep tender feelings for person or subject or something" এর কভারে ভালোবাসা শব্দটির অর্থ ব্যাপক এবং একই সঙ্গে সমর্থক অনেক শব্দ দ্বারা পরিবেষ্টিত; যেমন- স্নেহ, প্রীতি, আসক্তি, অনুরাগ, শ্রদ্ধা, ভক্তি, প্রণয়, প্রেম, দয়া, করুণা, অনুগত, নিষ্ঠা, সদয়, সাদর, নিবেদন, আশীর্বাদ, যৌন কামনা, ইত্যাদি। এ প্রপঞ্চগুলো সারা বিশ্বের জীব জগতকে বিনে সুতা মালার মতো বেঁধে রেখেছে। অবশ্য এটি কম বেশি সবাই বুঝে ও হৃদয়াঙ্গম করতে পারে। কিন্তু চর্ম চক্ষু দিয়ে দেখা যায় না। তবে অন্তরের চোখে সদা জ্বল জ্বল করে তারকার মতো উদ্ভাসিত হয়ে থাকে। আমরা সাধারণত ভালোবাসার অর্থে প্রেমিক-প্রেমিকার প্রেম বুঝে থাকি এবং সেই ছাতার নিচে বিপরীত লিঙ্গের একে অন্যের প্রতি দুর্বার আকর্ষণে কালজয়ী উপাখ্যান সৃষ্টি হতে দেখি দেশ দেশান্তরে। তাছাড়া একইসঙ্গে সকল জনপদে শাশ্বত হয়ে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে আছে কত যে কাহিনী? যেমন- লাইলী-মজনু, শিরিন-ফরহাদ, রাধা-কৃষ্ণ, ইউসুফ-জুলেখা, রোমিও-জুলিয়েট, ঘুনাই-তোতা মিয়া, চন্ডিদাস-বজকিনী, নদের চাদ- মহুয়া, ইত্যাদি। এর কিছু সত্য হলেও প্রায় ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। তথাপিও এগুলো প্রেমিক- প্রেমিকাদের ভালোবাসার ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে। ইদানিং প্রেমের নামে অনেক সময় ডেটিং ও সাইবার ক্যাফের নীতিবিরোধী ক্রিয়া কলাপ চোখে পড়ে। এক্ষেত্রে অবশ্য সমাজের রক্তচক্ষুও পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। আর অনেকে মনে করেন যে প্রেম বা ভালোবাসার অন্যতম প্রধান ভিত্তি ফ্রয়েডের তত্ত্ব, যা খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। তবে সুক্ষ্মতার আড়ালে যদি তাকাই, তাহলে প্রতিভাত হয় যে প্রেম বা ভালোবাসা আছে বলেই সৃষ্টি বেঁচে আছে। কিন্তু বর্তমানে শ্রেষ্ঠ জীবের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ এমনভাবে রূপ পরিগ্রহ করছে যে, নিজেরা নিজেদের মধ্যে ধ্বংস টেনে আনছে।

আ) উপর্যুক্ত অনুচ্ছেদে ভালোবাসা সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করা হলেও, যে প্রতিপাদ্য বিষয় সহজে এসে যায়, তা হলো ভ্যালেন্টাইন দিবস, যা ধর্মীয় ও বার্ষিক পর্ব পালনের উৎসবের ন্যায় বিভিন্ন মানবগোষ্ঠির মধ্যে ১৪ ফ্রেব্রুয়ারী হিসেবে ভালোবাসা তথা ভ্যালেন্টাইন দিবসের আওতায় বিশ্বজনীন ভাবে উৎযাপন করা হয়ে থাকে। বাস্তবে দেখা যায় যে এটি উৎযাপনের ব্যাপারে তরুণ- তরুণীদের মধ্যে তুলনামূলক অধিক সাড়া পড়ে থাকে। স্বভাবতই একটি প্রশ্ন আসে; তাহলো ভালোবাসা আছে, ছিল ও আগামীতেও থাকবে। তবে কেন একটি বিশেষ দিন হিসেবে ভ্যালেন্টাইনের মোড়কে বাঁধা হয়েছে। তাই এর শানে-নজুল জানতে মনে উঁকি ঝুঁকি দেয়া স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে যতদূর জানা যায় যে, এর মূল উৎস রোমের তৎকালীণ সময়ের ”লুকারকালিয়া” নামক একটি উৎসব থেকে, যা ছিল ক্ষেতের শস্য নেকড়ে বাঘের আক্রমণ থেকে রক্ষাকল্পে কৌশলগত প্রয়াসের উপর ভিত্তি করে। তাছাড়াও এটি ছিল সুস্বাদু খাবার ভক্ষণসহ ব্যতিক্রমধর্মী উৎসব। ১৪ ফ্রেব্রুয়ারীর পরের দিন অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারীতে উৎসব চলাকালে উঠতি বয়সের তরুণরা তরুণীদের গায়ে মৃদু আঘাত করতো। এক্ষেত্রে তাদের মধ্যে বিশ্বাস ছিল যে, ঐ সকল তরুণীরা অধিক উর্বর রূপে পরিগ্রহ করবে। এদিকে উক্ত উৎসবের আগের দিন অর্থাৎ ১৪ ফ্রেব্রুয়ারী তরুণদের সাথী খুঁজে নেয়ার তৎপরতা সকলের কাছে খুবই প্রিয় ছিল । এতে প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত আদি রোমান্টিক ঘটনা ভ্যালেন্টাইন দিবসের জন্য প্রথম যোগসূত্র রচনা করেছে। তাছাড়া এই দিবসের আর একটি সূত্র ছিল খুবই মজার ব্যাপার। এ সারথী ধরে উল্লেখ্য যে প্রাচীন কালে এক কাহিনীতে জানা যায় যে, রোমান সম্রাট ক্লডিয়াস (দ্বিতীয়) দক্ষ ও উন্নতমানের সেনাবাহিনী গড়ার লক্ষ্যে তরুণদের বিয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। কিন্তু তৎকালীণ সময়ে ভ্যালেন্টাইন নামে গীর্জার একজন বাস্তববাদী পাদ্রী উক্ত অহেতুক নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে অতি গোপনে যুবক যুবতীদের বিয়ে করাতেন বিধায় এই অপরাধের জন্য ১৪ ফ্রেব্রুয়ারীতে তাকে শিরচ্ছেদ করা হয়। তখন থেকে এই দুঃখজনক ঘটনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মৃতিস্বরূপ ভ্যালেন্টাইন দিবস পালন করা হচ্ছে বলে অনেকে মনে করেন। আবার আর একটি জনশ্রুতি আছে যে, ভ্যালেন্টাইন নামে একজন জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব ছোটদের কাছে খুবই আদরনীয় ছিলেন। কিন্তু তিনি যতই প্রিয় থাকুন না কেন; ধর্মীয় বিশ্বাস ও দর্শনের ক্ষেত্রে অন্যান্য রোমানদের সাথে তাঁর বেশ মতপার্থক্য ছিল। তাই তিনি ছিলেন অর্বাচীন এবং কারও কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। আর এ কর্মের জন্য তাঁকে কারা ভোগ করতে হয়। কিন্তু জেলে থাকাকালীণ সময়েও উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরা কৌশলে ও গোপনে তাঁকে বার্তা পাঠাতো। এ প্রেক্ষিতে অনেকে মনে করেন যে বার্তা যাই হোক না কেন, ভ্যালেন্টাইন দিবসে একে অন্যর কাছে ভালোবাসার বার্তা পাঠানোর রীতি তখন থেকে প্রচলিত হয়ে আসছে। বর্তমানে ভালোবাসা তথা ভ্যালেন্টাইন ডে আন্তর্জাতিক দিবসে পরিণত হয়েছে। দোকানে দোকানে নববর্ষের হালখাতা, বড়দিন, ঈদ ও জন্মদিনের কার্ডের মতো ভ্যালেন্টাইন ডে`র কার্ডের ছড়াছড়ি চলে; যাতে থাকে হৃৎপিন্ড, কিউপিড, গোলাপ, যুগল হাত, লাভ-নটস্ এবং পায়রা বা লাভবার্ডের ছবি।
ই) ভ্যালেন্টাইন ডে’র এ সব সূত্র তথা উৎস সম্পর্কে অনেকের বিশ্বাস বা অবিশ্বাস থাকলেও এই কথা প্রায় সকলের কাছে গ্রহণীয় যে, প্রখ্যাত পোপ গেলগিয়াস (প্রথম) ১৪ ফেব্রুয়ারী তারিখটি ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসেবে প্রবর্তন করেন এবং সেই থেকে শাখা-প্রশাখা বাড়িয়ে এটি অদ্যাবধি চলে আসছে। আমরা জানি গোলাপ ফুলের ইংরাজী শব্দ জড়ংব আর ঊ (শেষের বর্ণটিকে) শব্দের প্রথমে আনলে দাঁড়ায় ঊৎড়ং, যিনি হলেন রোমান প্রেমের বড় দেবতা। আর তাই বিশ্বব্যাপী প্রেমিক- প্রেমিকাদের পছন্দনীয় পুষ্পটি হলো গোলাপ এবং এর বিভিন্ন রংয়ের মাঝেও বহন করে প্রেমিক-প্রেমিকদের মনের আকুতি সহ নানা প্রপঞ্চ, যেমন- লাল গোলাপ; ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, সাহস ও গভীর আবেগের প্রকাশ; গাঢ় লাল গোলাপ ঃ সৌন্দর্য ও প্রবল অনুরাগ; হলুদ গোলাপ ঃ আনন্দ, বন্ধুত্ব, আশা ও মুক্তি; সাদা গোলাপ ঃ নিষ্পাপতা, গোপনীয়তা, নিঃশব্দতা ও প্রেমের জন্য; পিচ্ গোলাপ ঃ বিনয়, কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা ও দরদ এবং কালো গোলাপ ঃ বিদায়। এদিকে প্রেম বা ভালোবাসা প্রকাশের জন্য কার্ডে কিউপিডের রূপক চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হয় পাখাযুক্ত ও নাদুষ-নুদুস চেহারার এক নগ্ন বালক, যার ঠোঁটে লেগে আছে দুষ্টুমিভরা হাসি। আর তার হাতের ধনুক, তূন ও শর, যা দিয়ে আজও বিদ্ধ করে চলছে তরুণ-তরুণীর হৃদয়। এতদ্ব্যতীত প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত এ অর্থে বিশ্বাস করা হয় যে হৃদয়ই সকল আবেগের উৎস। তাই হয়তো এই হৃদয় চিহ্নিত সকল বস্তুই ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আবার লাভ নটস ভালোবাসার প্রতীক হিসাবে দেখা যায়। আর অনেক সৌখিন পাখি বিক্রেতার দোকানে গেলে ছোট ছোট বিভিন্ন রংয়ের পাখি দেখতে পাওয়া যায়, যা লাভ বার্ড নামে পরিচিত। এ প্রেক্ষাপটে মজার ব্যাপার হলো যে প্রাচীনকাল হতেই মনে করা হয় যে পায়রা ও লাভ বার্ড ১৪ ফেব্রুয়ারি নিজে সঙ্গী খুঁজে নেয়। আর তাই ভালোবাসা প্রকাশের জন্য লাভ বার্ড ও পায়রা প্রেমিক-প্রেমিকা পরস্পরের মধ্যে বিনিময়ের রেওয়াজ অনেক দেশে পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।
ঈ) প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে গ্রীক পুরানে আছে যে, কিউপিড হলো আফ্রোদিতির ছেলে ইরোস। কিন্তু রোমানদের নিকট সে ভেনাসের পুত্র হিসাবে বিবেচিত। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, পিঠে এক জোড়া পাখা সম্বলিত চঞ্চল কিউপিডের শরবিদ্ধ হৃদয়, যা ছিল ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। এদিকে পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, বিনে সুতার মালার সুতা হলো ভালোবাসা। এটি ছাড়া কোন কিছু কল্পনাই করা যায় না। এক্ষেত্রে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসা নয়। এই ভালোবাসার অর্থ ব্যাপক ও সুদূর প্রসারী এবং সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য। পিতা-মাতা ও সন্তান; স্বামী-স্ত্রী; ভাই-বোন; আত্মীয়-স্বজন; প্রতেবিশী; সহকর্মী এবং বুন্ধ-বান্ধব; যারা এর সাথে গ্রথিত। একটি কথা উল্লেখ করা শ্রেয় যে, দু`পক্ষের মধ্যে এক পক্ষের কোন প্রতিক্রিয়া না থাকলেও সূক্ষ্মদর্শনের প্রেক্ষাপটে ভালোবাসা খাটো করে দেখার কোন অবকাশ নেই। যেমন- ইতর প্রাণী ও তরুরাজির প্রতি ভালোবাসা। তবে ফ্রয়েডের তত্ত্বে শুধু যে যৌন নির্ভরশীল ভালোবাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা এককভাবে মেনে নেয়া যায় না এবং সমীচীনও নয়। এদিকে বিদেশে ডেটিং প্রসূত ভ্যালেন্টাইন দিবস পরিলক্ষিত হয়ে থাকে, যা সংকীর্ণার্থে টেনে নিয়ে আসা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। আর এটা কতটুকু মেনে নেয়া যায়, তা আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম। এদিকে কবি-সাহিত্যিক-সঙ্গীতজ্ঞরা বা ভালোবাসার উপর অনবদ্য অবদান রেখে চলেছেন কবিতা, গল্প ও গানের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, এ দিবসে ধর্ম, দেশ, কাল, পাত্র ও অবস্থা ভেদে খাবার-দাবার ও পোশাক-আশাকের গুরুত্বও দেয়া হয়। আর ভ্যালেন্টাইন দিবসে নানা রকম ফুল ও উপহার হিসেবে হাত বদল হতে দেখা যায় এবং বলতে গেলে বিভিন্ন ভাবে আমোদ-ফূর্তির জোয়ার উঠে। এখানে একটি কথা না বললেই নয়, যা হলো ভালোবাসার উক্তি বা বচন; যা হলো “আমি তোমায় ভালবাসি” (বাংলা)। কিন্তু বিভিন্ন দেশে তাদের মতো করে তাদের ভাষায় এই বচনটি একে অন্যের প্রতি ছুটাছুটি করে থাকে।
উ) পরিশেষে এই মর্মে শেষ করছি যে ভ্যালেন্টাইন দিবসে সামগ্রিকভাবে ভালোবাসার দর্শনের ক্ষেত্রে যে নিগূঢ় শিক্ষার শেকড় গেড়ে আছে, তা সারা পৃথিবীতে সর্ব ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়ুক এবং এই ভালোবাসার সুবাদে হিংসা-বিদ্বেষ ও হানাহানি অবসানপূর্বক সাদা, লাল ও হলুদ-গোলাপ সবার হাতে শোভা বর্ধন করুক কাল থেকে কালান্তরে একইভাবে ও একই ধারায়। সত্যি কথা বলতে কি, ভ্যালেন্টাইন দিবস, সেই শিক্ষাই মানবজাতীকে দিয়ে থাকে।

* মোঃ আব্দুল বাকী চৌধুরী নবাব



  
  সর্বশেষ
ভারতের জলসীমায় ধৃত পাকিস্তানের নুসরাত জাহাজ, উদ্ধার সাত মৎস্যজীবীকে
কচুয়ায় কৃষক দলের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ, কক্সবাজার শহর অচল
সেনাবাহিনী প্রধানের কক্সবাজার এরিয়া পরিদর্শন

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308