‘পল্লী উন্নয়নে উদ্ভাবনী মাইক্রোফাইন্যান্স: তারুণ্যের শক্তি ও গ্রামীণ উদ্যোক্তা উন্নয়ন’ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত।
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ২১ আগস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার ‘পল্লী উন্নয়নে উদ্ভাবনী মাইক্রোফাইন্যান্স: তারুণ্যের শক্তি ও গ্রামীণ উদ্যোক্তা উন্নয়ন’ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা বিআরডিবি’র সম্মেলন কক্ষ, কাওরান বাজার, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী, উপাচার্য, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও চেয়ারম্যান, গ্রামীণ ব্যাংক। উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জনাব সরদার মোঃ কেরামত আলী (অতিরিক্ত সচিব), মহাপরিচালক, বিআরডিবি। কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও দপ্তর-সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিআরডিবি সদর কার্যালয়ে কর্মরত পরিচালক ও যুগ্মপরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক এবং জেলা দপ্তর ও উপজেলা দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় আলোচ্য বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআরডিবি’র উপপরিচালক (পরিকল্পনা) মো: জিয়াউল হাসান।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী বলেন গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যতীত দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সকলকে নৈতিক শিক্ষা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। তিনি বিআরডিবি’র কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে সময়োপযুগী প্রশিক্ষণ, গবেষণা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, মাইক্রোফাইন্যান্স সেক্টরে অভিজ্ঞতা বিনিমিয়, সফলতার কেইস স্টাডি, নতুন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার এর উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। মাইক্রোফাইন্যান্সের মাধ্যমে মূলধনের বহুমূখী ব্যবহার ও বৈচিত্রময় পণ্য ও সেবা উৎপাদনে দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞতা ও উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে পার্টনারশীপে উদ্ভাবনী কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে অলোকপাত করেন। এছাড়াও সামগ্রিক পল্লী উন্নয়নে মানবসম্পদ উন্নয়নের বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরেন। এ লক্ষ্যে বিআরডিবি ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সম্পাদন এবং বিআরডিবি ও গ্রামীণ ব্যাংক এর কর্মকর্তাদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্রস্তাব করেন।
কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে বিআরডিবি’র মহাপরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব সরদার মোঃ কেরামত আলী বলেন, বিআরডিবি দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নানামূখি কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তন্মধ্যে মানব সংগঠন সৃজন, আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্র ও উদ্যোক্তা ঋণ সহায়তা ও নিবিড় তদারকি এবং ক্ষুদ্র স্কীম বাস্তবায়ন উল্লেখযোগ্য।
তিনি উল্লেখ করেন যে, কর্মশালায় বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে প্রাপ্ত সুপারিশ বিআরডিবি’র ভবিষ্যত কর্মপন্থা নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। দেশের দারিদ্র বিমোচন ও সার্বিক কল্যাণে কর্মশালার সুপারিশ বাস্তবায়নে বিআরডিবি পরিবার সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করবে মর্মে অঙ্গীকার করেন। বিআরডিবি’র হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারে আজকের কর্মশালা একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।