তৌহিদুল হক
বলিও, তোমার স্বামীকে
স্বপ্নের পরে স্বপ্ন সাজিয়ে
এগিয়েছি কিম্বা পিছিয়েছি,
হারিয়েছি পথ; সঙ্গী করেছি
নিঃশব্দ অভিমান।
চরম পুলকে, আপ্লুত হয়ে
খুঁজেছি ভিন্ন পথ। বিশ্বায়নের
এ কালে আরাম, ঐশ্বর্যকে
পাশ কাটিয়ে- নিরন্তর আবেগ
করেছি নির্মাণ।
নিজের সাথে যুদ্ধে নিজে লিপ্ত
হার-জিতের নেই শেষ। রক্তশূন্য
স্বপ্ন এখন ভাবায় না আগের মতো।
এই তো,
সেদিনও মুখোমুখি বসে
করেছি প্ল্যান, সংসার সাজাবো।
আমি একটু অগোছালো,
বলেছো মানিয়ে নিবে।
কেউ তো সংসার জ্ঞান,
অভিজ্ঞতা নিয়ে জন্মায় না।
কাজ-কর্মে, মান-অভিমানে
সংসারজীবনে সবাই হয় পরিপুষ্ট।
এতো আমার নয়, তোমারই কথা।
খোঁজ নেই, নেই কথা, নেই
আগের মতো মাতাল হওয়া
কখন হবে দেখা, কখন হারাবো তোমার মাঝে।
খবর আসে,
নিরানন্দের খবর খুব চটজলদি আসে-
তুমি ধরেছো অন্যের হাত; ভর করেছ
পুঁজিবাদী মন্ত্রের খপ্পড়ে।
আমার ভবিষ্যৎ এলোমেলো, কে চায়—
এলোমেলো জীবনে জড়াতে নিজেকে?
ভালোবাসা এখন আনন্দ খোঁজে
পুলকের সন্ধানে। দেনা-পাওনায়
ভালোবাসা এখন অস্থির সময় করছে পাড়।
সেই দিন বেশি দূরে নয়, যেদিন ভালোবাসা হবে
র্যাপিনে মোড়ানো ফ্যাশন।
ভাবতে পারো, কত গল্প ইনিয়ে-বিনিয়ে
বলেছো, হেসেছো; তবে সব কী অভিনয়?
এখনো করছো!
অভিনয়ের হাত থেকে ভালোবাসা
কবে পথ খুঁজে পাবে- শুদ্ধ প্রেমিক-প্রেমিকার।
দূর থেকে বলছি— বলিও, তোমার স্বামীকে।
সে এখন তোমার শরীরের যেখানে আরাম
বোধ করে; সেখানে রয়েছে আমারও স্পর্শ।
তোমার ওই দেহ জমিনের আমিও মালিক;
ভালোবাসায়, যা তোমার কাছে সস্তা।
বলিও, তোমার স্বামীকে
গোপনে এখনো তোমাকে একজন ভালোবাসে।