|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সারাদেশে শিক্ষার হার বাড়লেও বাড়েনি নৈতিকতার হার! তরুণরা আজ নৈতিকতা সম্পর্কে অজ্ঞ। নৈতিকতা আগুনের ধ্বংস লিলায় পতিত হয়েছে। নৈতিকতা যেন সমাজের বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আজ নৈতিকতা ভুলেগিয়ে সিগারেটের সাথে মাদক সেবন করে জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধ মূলক কাজে। তারা মাদকের ভয়াল কালো থাবার কথা জানেনা। এর প্রতিবাদ করতে গেলে লাঞ্চিত হতে হচ্ছে বড়দের। তাই অনেকে দেখেও না দেখার ভান করে। মানবাধিকার খবর’র দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে এমন তথ্য। জানা গেছে, উঠতি বয়সের কিছু তরুণ সিগারেটের সাথে মাদক সেবন করে। কাস ফাঁকি দিয়ে অনেক তরুণ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ভিতরে বা বাইরে গিয়ে সিগারেট সেবন করে পুনরায় কাসে গিয়ে কাস করছে। তবে এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যব¯দা না নেওয়ায় হতাশ হয়েছে অভিভাবক মহল। তারা মনে করেন সন্তানদের উজ্বল ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তাকরে লেখাপড়ার জন্য স্কুল, মাদ্রাসা , কলেজে পাঠাই! মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষাকরাই তাদের ছাত্রদের কঠোর হাতে দমন করতে পাড়ছে না। তবে শিক্ষাকরা বলেন, তাদের পক্ষে তেমন কিছু করার নেই। মাদক সেবন করে এমন কয়েকজন তরুণের সাথে কথা হয় আমাদের উপজেলা প্রতিবেদকের সাথে। তারা বলেন, সিগারেটের সাথে গাঁজা, ইয়াবা টেবলেট, গাম, আঠাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করেন। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এগুলো সেবন না করে কোনো উপায় নেই। অনেকে মা-বাবার কাছ থেকে লেখাপড়ার কথা বলে টাকা এনে মাদকের বিল পরিশত করেন। মা-বাবা টাকা না দিলে সন্তানরা ঘরের আসবাবপত্র পর্যন্ত ভাঙ্গতে দ্বিধা বোধ করেন না। যে বয়সে তরুণদের লেখাপড়া নিয়ে সর্বদা ব্যস্ত থাকার কথা তারা মাদক নিয়ে সর্বদা ব্যস্ত! অনেক তরুণের পকেটে সর্বদা সিগারেটের প্যাকেট দেখা যায়। অনেকে লেখাপড়া বাদ দিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজগামী তরুণদের এ ভয়াবহতা দেখে এলাকার সচেতন মহল দোষারোপ করছে গ্রাম্য সালিশ নিয়ন্ত্রণকারীদের। তাঁরা মনে করেন অপরাধ মূলক কাজে যখন তরুণরা জড়িয়ে পড়ে তখন গ্রাম্য সালিশে তাদের সঠিক বিচার করা হয় না। আর সঠিক বিচার না করার কারনে তারা (তরুণরা) আবার অপরাধ মূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। এদিকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) নিয়ে জমজমাট জুয়ার আসর বসেছে গোটা উপজেলায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যেকটি হাট-বাজারের চায়ের দোকান, মিষ্টির দোকান, অলিগলি ও পাড়া মহল্লায় চলছে এসব জুয়া। তিন চার বছর ধরে চলে আসা এই বিপিএল-এ জুয়ার বড় বড় আসরগুলোতে খেলতে এখন স্ট্যাম্পে লিখিত হচ্ছে। যোগাযোগ হচ্ছে মোবাইল ফোনে লেনদেন হচ্ছে বিকাশে। ফলে এলাকায় বসে ঢাকা বা দেশের অন্য কোনো প্রান্তের লোকের সাথে মেতে উঠেছে জুয়াড়িরা। মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চিকিৎসক ও সমাজের কর্তা ব্যক্তিরাও বাদ পড়ছেন না জুয়া খেলা থেকে। প্রতিটি ম্যাচের প্রত্যেকটি বলে বলে চলছে এসব জুয়া। কোন ব্যাট্স্ম্যান কত রান করবে বা কোন বোলিং কয়টা উইকেট পাবে তা-নিয়েও চলছে জুয়া। দৈন্দদিন গড়ে প্রায় ১০ বা ১২ লক্ষ টাকার জুয়ার আসর বসে গোটা উপজেলায়। জুয়া খেলায় নিজের সর্বত্র বিক্রি করে এলাকা ছেড়েছেন অনেকে। এমনকি স্বামীর জুয়া খেলার কারনে স্বামীকে তালাক দিয়ে চলেগেছেন স্ত্রী এমন ঘটনাও ঘটেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জুয়ারি বলেন, আমার এখন পর্যন্ত চার লক্ষ টাকার উপরে হার। তবে এলাকার সচেতন নাগরিক মহল মনে করে জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন কার্যকর ব্যব¯দা নিলে জুয়াড়িদের নির্মুল করা সম্ভাব। তাই এলাকার সচেতন নাগরিক মহল পত্রিকার রিপোর্ট প্রকাশের মাধ্যমে ‘উপজেলা প্রশাসনের’ কাছে এ ব্যাপারে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
|
|
|
|
|