|
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা রোজা রেখে হঠাৎ অজ্ঞান হলে যা করবেন! |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা রোজা রেখে হঠাৎ অজ্ঞান হলে যা করবেন! হঠাৎ করেই খাওয়া-দাওয়া ও জীবনযাপনে বড় ধরণের পরিবর্তন আসায় রোজার সময় দুর্বলতা থেকে শুরু করে নানা ধরণের শারীরিক সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। বিশেষ করে এবার গ্রীষ্মের মধ্যেই রোজা পড়ে যাওয়ায় হিট স্ট্রোকও হয় অনেকের। এরকম সমস্যা হলে রোজা রাখা অবস্থায় হঠাৎ জ্ঞান হারানো বিচিত্র কিছু না। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ, শরীরে পানি ও লবণের ঘাটতি, রক্তে সুগারের মাত্রা অনেক কমে যাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে অজ্ঞান হওয়ার সমস্যা হয়। অনেক সময় এটি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এ অবস্থায় ঘাবড়ে না গিয়ে প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নিলে অনেক সময় অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থা এড়ানো যায়। জেনে নিন কেন এরকম হয়, এবং এ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়। রোজায় অজ্ঞান হওয়ার কারণ : ১. সেহরিতে সুষম খাবার না খাওয়া ২. সেহরিতে কম খাওয়া বা না খাওয়া। ৩. অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস অবস্থায় রোজা রাখা ৪. বেশি গরম পরিবেশে দীর্ঘ সময় কাজ করা ৫. রোজা রেখে ক্লান্ত শরীরে দীর্ঘক্ষণ ভিড় আছে এমন জায়গায় থাকা ৬. রোজায় দীর্ঘক্ষণ পরিশ্রমের ব্যায়াম করলে ৭. পানিশূন্যতা ৯. রক্তচাপ কমে যাওয়া অজ্ঞান হলে যা করবেন : ১. অজ্ঞান ব্যক্তিকে লম্বা করে সমতল স্থানে শুইয়ে দিন। ২. মাথা পেছনের দিকে সামান্য হেলিয়ে দিন, যেন মুখ খোলা থাকে। এতে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সহজ হয়। ৩. বেশি গরম থাকলে বাতাসের ব্যবস্থা করুন। চোখে-মুখে পানির ঝাঁপটা দিন। পাশাপাশি রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনুন। ৪. শ্বাসনালী বন্ধ কি না দেখুন। শ্বাস বন্ধ থাকলে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে হবে। ৫. পড়ে গিয়ে কোথাও কেটে রক্তক্ষরণ হলে তা চাপ দিয়ে বন্ধ করুন। ৬. সাধারণত অজ্ঞান হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষ আবার জ্ঞান ফিরে পায়। তবে বেশি সময় ধরে কেউ অজ্ঞান থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রতিরোধের উপায় ১. রোজাদারকে সেহরি ও ইফতারে আদর্শ সুষম খাবার খেতে হবে ২. বেশি করে তরল খাবার, পানি, দুধ ও বাসায় বানানো ফলের শরবত খেতে হবে ৩. ডায়াবেটিস, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য রোগ নিয়ন্ত্রণে রেখে রোজা রাখতে হবে ৪. রোজা রেখে বেশি গরম ও বেশি ভিড় এড়িয়ে চলুন ৫. বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে কাজ করুন ৬. সেহরিতে কম খেয়ে বা না খেয়ে রোজা রাখা যাবে না। ৭. শেষ মুহূর্তে সেহরি খেতে হবে। এতে সারা দিন শরীরে শক্তি থাকবে।
|
|
|
|
|