শনিবার, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৪ বছরেরও শেষ হয়নি ৮ মাসের সড়কের কাজ   * ঠাকুরগাঁওয়ে হলুদ সাংবাদিক বীমা কর্মী মাসুদ রানার তান্ডবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী সাংবাদিক মহল   * কুড়িগ্রামে সবুজ-কমলা মাল্টা চাষে সাফল্যের সম্ভাবনা   * চিতলমারীতে সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালিত মো: একরামুল হক মুন্সী, চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় মহাসড়কে গাছের গুড়িফেলে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ ও হরতাল পালন করেছে সর্বদলীয় নেতা-কর্মীরা। তাদের দাবী, জেলার চারটি সংসদীয় আসন পূর্ণবহাল রাখতে হবে। তা না হলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। বুধবার(১০সেপ্টেম্বর) ঢাকা-চিতলমারী মহাসড়ক অবরোধ কালে  সর্বদলীয় নেতা-কর্মীরা তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের জন্য সকল সড়ক যোগাযোগ ও দোকান পাট বন্ধ করে দেয়। তারা অবিরাম স্লোগান দিতে থাকেন। এদিন উপজেলার সকল বাজারের দোকানপাট বন্ধ ছিল। এর আগে হরতাল ও অবরোধের আহ্বান জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার  এলাকায় মাইকিং ও সর্বদলীয় বিক্ষোভ মিছিল হয়। বুধবার মহাসড়ক অবরোধকালে বক্তব্য রাখেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহবায়ক উপজেলা বিএনপির সভাপতি মমিনুল হক টুলু বিশ্বাস, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোঃ মনিরুজ্জামান,সেক্রেটারী জাহিদুজ্জামান নান্না, সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব  আহসান হাবিব ঠান্ডু, নবাগত উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল হাসান অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোঃ ফজলুল হক শেখ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জাকারিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক মোঃ নিয়ামত আলী খান, সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির যুগ্ম- আহবায়ক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চিতলমারী উপজেলা শাখার সভাপতি ডাক্তার কাজী আবুল কালাম প্রমূখ।   * মৃত্যু হওয়ার ৪০ মিনিটের মধ্যেই ৫জনকে গ্রেফতারে করেছেন রাণীশংকৈল থানার পুলিশ   * ধরলার ভাঙন থেকে চর গোরকমন্ডল রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন   * ধরলার ভাঙন থেকে চর গোরকমন্ডল রক্ষার দাবিতে মা নববন্ধ   * কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হাতের চাপে ভেঙে যাচ্ছে সেতুর গাইড ওয়ালের স্লাব   * কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে তলিয়ে গেল পর্যটক, ১০ ঘণ্টায়ও মেলেনি হদিস   * চিতলমারীতে সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালি  

   বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
রাম্বুটান বাংলাদেশের মাটিতে চাষ
  Date : 01-10-2016

 

মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন:

 

বাংলাদেশের মাটিতে এই প্রথমবারের মতো মনকাড়া রসালো থাইল্যান্ডের রাম্বুটান ফলের চাষাবাদে সফলতা অর্জন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অজপাড়াগাঁয়ের ওসমান গনি। তিনি নেত্রকোনা জেলার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের একজন সাধারণ পল্লী চিকিৎসক।

থাইল্যান্ডের অতি সুস্বাদু, পুষ্টিকর রাম্বুটান ফলের সাথে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ মোটেও পরিচিত নন। কিন্তু যারা থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া কিংবা ইন্দোনেশিয়া গেছেন তারা ওই ফলটির সাথে পরিচিত। জনপ্রিয়তার কারণে ওইসব দেশে প্রচুর পরিমাণে রামভুটান চাষাবাদ হয়ে থাকে। রাম্বুটান দেখতে অনেকটা আমাদের দেশীয় কদম ফুলের মতো। কাঁচা অবস্থায় এই বিদেশী ফলটি দেখতে সবুজ বর্ণের হলেও পাকার পর টকটকে লাল রং ধারন করে। ছোট, বড় সবার কাছে আগ্রহের কারণে বিদেশী অতি লোভনীয় সুমিষ্ট এই ফলটির চাহিদা দিন দিন ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

এ দিকে দেশের মাটিতে বিদেশী ফলের চাষ করে পল্লী চিকিৎসকের ভাগ্য বদলের সংবাদে অনেকে এখন উৎসাহী হয়ে সেখান থেকে রাম্বুটানের চারা সংগ্রহ করছেন। নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক ড. তরুণ কান্তি শিকদার, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বিলাষ চন্দ্র পাল, অন্যান্য কর্মকর্তারা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ওই ফলটি পরখ করে দেখতে ওসমান গনির বাড়িতে ছুটে যান। ফলটি খেয়ে তারা সবাই প্রশংসা করেছেন। এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সেখানে পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করে কিছু ফল সাথে করে নিয়ে যান।

ওসমান গনি নিজেকে বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র রাম্বুটান ফল চাষে সফল ব্যক্তি দাবি করে বলেন, মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন শেষে ১৯৯৩ সালে দেশে ফিরে আসার সময় নিজ পরিবারের সদস্যদের জন্য দুই কেজি রামভুটান সাথে নিয়ে আসেন। ফল খাওয়ার পর অবহেলায় এমনিতে বীজগুলো অন্যান্য উচ্ছিষ্টের সাথে বাড়ির আঙিনায় ফেলে দেন কোনো কিছু না ভেবেই। কিন্তু কিছুদিন পর ফেলে দেয়া ওই বীজ থেকে অঙ্কুরিত হয়ে চারার জন্ম নিয়ে অযতœ অবহেলায় বাড়তে থাকে। বাড়ির আগাছা পরিষ্কার করার সময় ওসমান গনির দৃষ্টিতে পড়ে রাম্বুটানের দু’টি চারা। তখন তিনি আগ্রহী হয়ে চারা দু’টির পরিচর্চা করতে থাকেন। চার বছর পর চারা দুটি বড় হওয়ার পর ১৯৯৮ সালে প্রথম ফলন দিতে শুরু করে। বছরের জুন থেকে জুলাই এই দুই মাস রাম্বুটান পরিপক্ব হয়ে খাওয়ার জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে।

এ বছর ওসমান গনি একটি গাছ থেকেই ৯০ কেজি ফল সংগ্রহ করেন বলে দাবি করেছেন। প্রতি কেজি রাম্বুটান ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকেন। রাম্বুটান ও চারা বিক্রি করে তিনি এখন স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। জমি বিক্রি করে কয়েক লাখ টাকা খরচ করে বিদেশ গিয়েও আলোর মুখ দেখতে না পেয়ে শেষে হতাশ হয়ে শূন্য হাতে বাড়ি ফিরে আসেন ওই পল্লী চিকিৎসক। ওই ফলের অছিলায় তার ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাওয়ায় তিনি এখন ঘরে বসে অতি সহজেই অর্থ উপার্জন করছেন। এই সফলতায় তিনি এখন বাণিজ্যিকভাবে রাম্বুটান চাষের চিন্তা-ভাবনা করছেন। ওসমান গনি জানান, তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাম্বুটান প্রত্যক্ষ করে প্রফেসর শামছুল আলমের সাথে এ বিষয়ে মত বিনিময় করেছেন। কিন্তু সঠিক পরিচর্চার অভাবে কেউ সফলতা অর্জন করতে পারেননি বলেও দাবি করেন তিনি।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মো: আব্দুর রহিম নয়া দিগন্তকে বলেন, রাম্বুটান সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি ফল। লিচু জাতীয় ওই ফলটির নানা গুণাগুণ রয়েছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া কিংবা ইন্দোনেশিয়া থেকে আমাদের দেশের উপযোগী কলমের চারা এনে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করা সম্ভব। তবে পাহাড়ি এলাকায় এর ফলন ভালো হয়ে থাকে। শুনেছি নেত্রকোনায় কে যেন ওই ফলের চাষ করছেন। তিনি কোন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন, বিষয়টি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর ব বোঝা যাবে আসলে এর অগ্রগতি ও সম্ভাবনা কতটুকু। অনেক চেষ্টার পর গত বছর বাকৃবির ১১ টি গাছে ফলন দিলেও এ বছর একটি গাছেও কোনো ফল দেয়নি। তবে এ নিয়ে আমাদের গবেষণা অব্যাহত রয়েছে।

 

 



  
  সর্বশেষ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৪ বছরেরও শেষ হয়নি ৮ মাসের সড়কের কাজ
ঠাকুরগাঁওয়ে হলুদ সাংবাদিক বীমা কর্মী মাসুদ রানার তান্ডবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী সাংবাদিক মহল
কুড়িগ্রামে সবুজ-কমলা মাল্টা চাষে সাফল্যের সম্ভাবনা
চিতলমারীতে সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালিত মো: একরামুল হক মুন্সী, চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় মহাসড়কে গাছের গুড়িফেলে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ ও হরতাল পালন করেছে সর্বদলীয় নেতা-কর্মীরা। তাদের দাবী, জেলার চারটি সংসদীয় আসন পূর্ণবহাল রাখতে হবে। তা না হলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। বুধবার(১০সেপ্টেম্বর) ঢাকা-চিতলমারী মহাসড়ক অবরোধ কালে  সর্বদলীয় নেতা-কর্মীরা তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের জন্য সকল সড়ক যোগাযোগ ও দোকান পাট বন্ধ করে দেয়। তারা অবিরাম স্লোগান দিতে থাকেন। এদিন উপজেলার সকল বাজারের দোকানপাট বন্ধ ছিল। এর আগে হরতাল ও অবরোধের আহ্বান জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার  এলাকায় মাইকিং ও সর্বদলীয় বিক্ষোভ মিছিল হয়। বুধবার মহাসড়ক অবরোধকালে বক্তব্য রাখেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহবায়ক উপজেলা বিএনপির সভাপতি মমিনুল হক টুলু বিশ্বাস, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোঃ মনিরুজ্জামান,সেক্রেটারী জাহিদুজ্জামান নান্না, সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব  আহসান হাবিব ঠান্ডু, নবাগত উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল হাসান অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোঃ ফজলুল হক শেখ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জাকারিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক মোঃ নিয়ামত আলী খান, সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির যুগ্ম- আহবায়ক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চিতলমারী উপজেলা শাখার সভাপতি ডাক্তার কাজী আবুল কালাম প্রমূখ।

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308