স্বাগতা বসু, কলকাতা থেকে
যখন চোখের দৃষ্টি ধীরে দীরে নিভে যায়, জীবনটাও হঠাৎ থমকে যায়। ক্ষীন দৃষ্টির কষ্ট থেকে মুক্তির পথ দেখানোর কর্ম যজ্ঞে যার অবদান সবচেয়ে বেশী, তিনি হলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় অপটোমেট্রিস্ট ও লো-ভিশন বিশেষজ্ঞ শুভাশিষ চৌধরী। আমেরিকার বিখ্যাত লো-ভিশন বিশেষজ্ঞ (OD) ডাঃ হেনরী গ্রীনের সান্নিধ্যে প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে কলকাতা তথা ভারত থেকে ক্ষীণ দৃষ্টিকে চির বিদায় করার লক্ষ্যে নিরন্তন কাজ করছেন তিনি। সোহম লো-ভিশন এইড অ্যান্ড অকিউলার প্রসথেসিস সেন্টারে চৌধুরি, নিয়ে এসেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক ইকুইপমেন্টস্ যার মাধ্যমে ক্ষীন দৃষ্টির কষ্ট থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাবে মানুষ। সোহমে আছে এমন সমস্ত সহায়ক যন্ত্র যা ক্ষীন দৃষ্টির রোগীকে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে সক্ষম। এই যন্ত্রগুলোর মাধ্যমে অন্যতম, পোর্টাবেল Video Magnifier-এর সাহায্যে ৩.৫-২২ পর্যন্ত ম্যাগনিফিকেশন সম্ভব। যে কোন লেখাকে বড় করে দেয় এই Magnifier-এবং ক্ষীন দৃষ্টি সত্ত্বেও স্বাচ্ছন্দে যে কোন লেখা খবরের কাগজ একাডেমিক বই-অর্থাৎ প্রায় সব কিছুই স্বাভঅবিকভাবে পড়তে পারবে রোগীরা। চৌধুরী আরও জানান. যে কাছের দৃষ্টিকে ম্যাগনিফাই করার জন্য যেমন Video Magnifier - সেরকমই দূরের দৃষ্টির জন্য আছে Outech Ves sports-এটি এমন একটি অত্যাধুনিক চশমা- যার সাহায্যে দূরের যে কোন জিনিস দেখতে সক্ষম হবেন আংশিক দৃষ্টি আক্রান্ত মানুষ।TV দেখা থেকে প্রিয়জনের মুখ; রাস্তা ক্রস করা থেকে বাসের নাম্বার ঠাহর করা- সবকিছুই খুব সহজে সম্ভব করে Outech Ves sports এ ছাড়াও Glucoma আক্রান্ত রোগীদের জন্য আছে Fild Expander,Sight Scope.Sec TV and Ves Mini ঝপড়ঢ়ব. ঝবপ ঞঠ ও ঠবং গরহর এর মতো অত্যন্ত কার্যকারী যন্ত্রসহায়ক যা ভুলিয়ে দেবে যে আপনার ‘ক্ষীন দৃষ্টি’ বলে কোনও সমস্যা আছে। পূর্ণ দৃষ্টির মানুষের মতোই স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবন যাপন করা এখন শুধু এক পদক্ষেপ দূরে - সোহম।
মধ্যবিত্তের নাগালে , স্বল্প ব্যায়ে, চৌধুরি হাসি ফোটাচ্ছেন বহু মানুষের মুখে। এই রকমই একজনের সাথে কথা বলেছি আমরা। রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র, ১৬ বছরের অঙ্কিত দে জানায় তার অভিজ্ঞতার কথাঃ ‘ক্ষীন দৃষ্টির কারনে গোটা জীবনই অবসাদ হয়ে গিয়েছিল। পড়াশুনো, খেলাধুলা, কিছুই করতে পারতাম না। খুব কষ্ট করে লেখাপড়া করতাম। রেজাল্টেও প্রভাবিত হচ্ছিল। কোথাও কোন সুরাহা পাচ্ছিলাম না। পরিবারের সবাই ভেঙে পড়েছিল। ঠিক তখনই খোজ পাই সোহমের শুভাশিষ চৌধুরির। ছুটে চলে আসি তার কাছে। Video Magnifier যন্ত্রটি আমার হাতে তুলে দেন তিনি এবং পাল্টে যায় আমার জীবন। এখন যে কোন লেখা পড়তে কোন কষ্টই করতে হয় না আমার। খুব তাড়াতাড়ি দূরের দৃষ্টির সমস্যাও মিটে যাবে,কারণ চৌধুরি আমায় Outech Ves sports ও দেবেন যার মাধ্যমে সামাজিক সমস্ত কাজে নতুন করে মূল ¯্রােতে ফিরে যেতে পারব আমি’। অঙ্কিতের মতো হাজার-হাজার ক্ষীন দৃষ্টির মানুষের মুখে শান্তির হাসি ফোটাচ্ছেন সোহমের শুভাশিষ চৌধুরি। “অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে, হাতে ঘন্টা দেড়েক সময় নিয়ে চলে আসুন- ক্ষীন দৃষ্টির সাথে আপনার ‘ভিভোর্স’ নিশ্চিত জানান চৌধুরি। এ ছাড়া আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য আছে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ও বৃদ্ধ ব্যাক্তিদের জন্য রয়েছে- বাড়ি গিয়ে ট্রায়েল করানোর ব্যবস্থা।
Diabetes, Macular Degeneration, Albinism, Optic Atropy, Retinitis Pigmentosa Glaucoma-কারণ যাই হোক ক্ষীন দৃষ্টি থেকে মুক্তির একটাই ঠিকানা “সোহম সেন্টার’। সম্পূর্ণ অন্ধ ব্যাক্তি বাদে যে কোনও আংশিক দৃষ্টির রোগীকে জীবনের মূল স্রোতে ফেরাতে অঙ্গিকারবদ্ধ-চৌধুরি
যোগাযোগ করুন:
Soham Eye Clinic (Lwo Vision Aid Centre),
56, Ballygunge Gardens, Near P.O. Golpark, Kolkata - 700019.
Ph. : 033 2460 0348 M. : 9830046332, 9831754444
Email : mrsubhashish@yahoo.co.in
Website :ww w.sohameyeclinic.com
ww w.sohamcustommade artificial.in