আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামে জেলা পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায়, জালিয়াতি ও নিয়োগ চুক্তির অভিযোগে পুলিশের এক সাবেক এসআই ও দুই পরীক্ষার্থীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ওসি ও মিডিয়া অফিসার বজলার রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার সাবেক এসআইয়ের নাম সোলায়মান মিয়া। তার বাড়ি গাইবান্ধা ফুলছড়ি এলাকায়। একইসঙ্গে তার সহযোগী কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়নপুর কুলামুয়া কালারচর এলাকার নুরনবী ইসলাম (১৮) ও মাদারগঞ্জ এলাকার হজরত আলীকে (৪৮) গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ছাড়াও পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় নাহিদ মিয়া এবং নিয়োগ কমিটির স্বাক্ষর জাল করে কাগজ দাখিল করার অভিযোগে রাকিবুল হাসান রাকিব নামে চাকরিপ্রার্থী দুই পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে জেলা পুলিশ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত রবিবার (১০ আগস্ট) জেলায় বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার (জুন ২০২৫) মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু হয়। যা গত ১৩ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত চলে। এতে প্রায় দুই হাজার চাকরিপ্রার্থী অংশ নেন।
পুলিশ জানায়, নিয়োগ প্রক্রিয়াকে শতভাগ স্বচ্ছ ও মেধার ভিত্তিতে করতে অনিয়ম প্রতিরোধে পুলিশের বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা ইউনিট সক্রিয় ছিল। মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইন্স গেটের বাইরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে একটি দালাল চক্র কাজ করছে এমন তথ্যে গত ১০ আগস্ট ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে নিয়োগ সংক্রান্ত ভুয়া কাগজপত্রসহ দালাল চক্রের সদস্য সাবেক পুলিশ সদস্য সোলায়মান মিয়াসহ তিন জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
পরদিন ১১ আগস্ট মাঠ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ও নিয়োগ কমিটির জাল স্বাক্ষরযুক্ত কাগজপত্র দাখিল করায় আরও ২ পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
ডিবির ওসি বজলার রহমান বলেন, ‘নিয়োগ বাণিজ্য ও পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে সাবেক এক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আমাদের পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও আর্থিক লেনদেন কিংবা তদবিরের সুযোগ নেই। কোনও চাকরিপ্রার্থী যেন কারও পাতা ফাঁদে পা না দেন। কেউ এ ধরনের কোনও চক্রের সংবাদ পেলে পুলিশে খবর দেওয়ার অনুরোধ করছি।’