|
মালদ্বীপে বাংলাদেশিদের ‘নির্বাসন’ নিয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উদ্বেগ; |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
মালদ্বীপের থীনাধু আইল্যান্ডে বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশিদের আটক ও নির্বাসনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা।শুক্রবার (২৬ জুলাই) মালদ্বীপ অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেসি এবং জনস্বার্থ আইন কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথভাবে এন্টি করাপশন ওয়াচডগ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘সব নাগরিকের মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার অনুচ্ছেদ ২০ এর অধীনে শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে, যা মালদ্বীপের আইনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত আছে। এছাড়াও মালদ্বীপের সংবিধানের ৩২ নং অনুচ্ছেদের অধীনে বলা আছে প্রত্যেকের সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা রয়েছে।’বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ভিসার উপর এমন শর্ত আরোপ মালদ্বীপের সংবিধানের অধীনে নিশ্চিত করা মৌলিক অধিকারগুলোকে বঞ্চিত করে এবং তা বেআইনি। এটি শ্রমিকদের দেয়া মৌলিক অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন।এছাড়া সরকারকে সাংবিধানিক এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশনগুলোকে বহাল রাখা এবং অভিবাসীদের তাদের সাংবিধানিকভাবে নিশ্চিত অধিকার প্রয়োগ করার জন্য, নির্বাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানায় সংগঠনগুলো।এছাড়াও সকল অভিবাসী শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের অধিকার রক্ষার আন্তর্জাতিক কনভেনশন গ্রহণ করে মালদ্বীপের আইনের অধীনে সমস্ত অভিবাসীদের জন্য গ্যারান্টিযুক্ত অধিকার সুরক্ষা ও স্বেচ্ছাচারী ব্যবস্থাসহ বৈষম্য থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে, মালদ্বীপের থীনাধু আইল্যান্ডে বিক্ষোভ করা প্রবাসী বাংলাদেশিদের দ্রুত গ্রেফতার করে নির্বাসিত করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রী আলি ইহসান। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ভিনদেশী নাগরিকরা মালদ্বীপে এসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারেন না। এটি দেশটির ভিসা আইনের লঙ্ঘন।
মােঃ জানে আলম সাকী,
ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।
|
|
|
|
|