|
২৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে অধিকার এর বিবৃতি ন্যায় বিচার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াইয়ের প্রতিজ্ঞা |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
মানবাধিকার খবর ডেস্ক :
স্বৈরশাসক লেফটেনেন্ট জেনারেল হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ এর অবৈধ শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অংশ নেয়া কয়েকজনের প্রচেষ্টায় ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর মানবাধিকার কর্মীদের সংগঠন অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচারের কথা। এর ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের এই ঘোষণার ভিত্তিতে গঠনতন্ত্র প্রণীত না হওয়ায় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন সরকারের আমলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটতে থাকে এবং স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও তা ব্যাপকভাবে অব্যাহত রয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন অধিকার এর মূল লক্ষ্যই ছিল রাষ্ট্রের হাতে সংঘটিত সমস্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো, রাষ্ট্রকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা থেকে বিরত রাখার বিষয়ে সোচ্চার হওয়া এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনা, ভিকটিমদের সহযোগিতা করা এবং সর্বোপরি জনগণকে তাদের মানবাধিকার বিষয়ে সচেতন , করা। অধিকার আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অধিকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নাগরিক, রাজনৈতিক; অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার বাস্তবায়নের সংগ্রামে নিয়োজিত থেকেছে। অধিকার তার মানবাধিকার কর্মকা-ে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-, নির্যাতন, বাক্ ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সভা-সমাবেশ ও সংগঠন করার স্বাধীনতা লঙ্ঘন, নারীর প্রতি সহিংসতা; ধর্মীয়, জাতিগত ও ভাষাগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তথ্যসংরক্ষণ, তথ্যানুসন্ধান, প্রতিবেদন তৈরি করাসহ বিভিন্নভাবে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচারাভিযানে নিয়োজিত আছে। এছাড়াও অধিকার ২০০০ সাল থেকে নিয়মিত রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে এই সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করছে। অধিকার নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংগঠন হিসেবেও কাজ করছে এবং মানবাধিকার বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভবিষ্যৎ মানবাধিকারকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশীদের হত্যা, নির্যাতন, অপহরণসহ ভারতের বিভিন্ন ধরনের আগ্রাসন, যা বাংলাদেশের জনগণের মানবাধিকার প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন করছে সে বিষয়েও অধিকার সোচ্চার থেকেছে। এছাড়াও মিয়ানমারের রাখাইন (আরাকান) রাজ্যে গণহত্যার শিকার হয়ে বাংদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা, তথ্যানুসন্ধান করা, মিয়ানমারের ওপর গঠিত স্বাধীন আন্তর্জাতিক তথ্যানুসন্ধানী মিশন এবং আন্তর্জাতিক ফৌজদারী আদালতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘঠিত গণহত্যার বিচারের জন্য তথ্য এবং প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। অধিকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো ছাড়াও এর দীর্ঘ পথচলায় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রচারাভিযান চালিয়ে গেছে। অধিকার এর প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ ২০১০ সালের ২৩ মার্চ আন্তর্জাতিক ফৌজদারী আদালত এর (আইসিসি) রোম সংবিধিতে অনুস্বাক্ষর করে। এছাড়া অধিকার জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের স্পেশাল কনসালটেটিভ স্ট্যাটাস পাওয়া সংগঠন হিসেবে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলসহ বিভিন্ন ফোরামে মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে যেয়ে বিভিন্ন সরকারের আমলে অধিকার হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৪-দলীয় জোট সরকারের আমলে ‘অপারেশন ক্লিনহার্ট’ এর নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- ও নির্যাতনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে অধিকার সোচ্চার ভূমিকা পালন করে। ফলে ওই সময়ে সরকার অধিকার এর আন্তর্জাতিক ফৌজদারী আদালতের রোম সংবিধি অনুস্বাক্ষর করার প্রচারণার জন্য সংগৃহীত তহবিলের অর্থছাড় দিতে বাধা দেয় এবং ২০০৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার ক্ষেত্রে আপত্তি জানায়। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের শাসনামলের পুরো সময়ে অধিকার জরুরী অবস্থার মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই সময়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের প্রতিবেদন প্রকাশ করায় অধিকার এর পরিচালককে নৌ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অফিস থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং অধিকার এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানবাধিকারকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও হয়রানির সম্মুখিন হন। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর অধিকার এর ওপর পুনরায় নিপীড়ন শুরু হয়, যা পরবর্তীতে ২০১৩ সাল থেকে চরম আকার ধারণ করে। ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। ঐ ঘটনার ওপর অধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করায় বিনা পরোয়ানায় ২০১৩ সালের ১০ অগাস্ট রাত ১০টায় অধিকার এর সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খানকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র সদস্যরা তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আদিলুর রহমান খান এবং অধিকার এর পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানকে নির্বতনমূলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ (সংশোধনী ২০০৯) এ অভিযুক্ত করা হয়। তাঁরা যথাক্রমে ৬২ ও ২৫ দিন কারাগারে আটক থাকার পর জামিনে মুক্ত হন। এছাড়া ২০১৩ সালের ১১ অগাস্ট গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা অধিকার কার্যালয়ে তল্লাশী চালিয়ে ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ এবং বিভিন্ন ডকুমেন্ট নিয়ে যায়, যেখানে নারীর প্রতি সহিংসতার শিকার ভিকটিমসহ বিভিন্ন ভিকটিম ও তাঁদের পরিবারের সংবেদনশীল তথ্য ছিল। অধিকার আজ অবধি এই কম্পিউটার ও ডকুমেন্টগুলো ফেরত পায়নি। ২০১৪ সাল থেকে আজ অবধি অধিকার এর কোন প্রকল্পের তহবিল ছাড় করেনি সরকার। ২০১৪ সাল থেকে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক অধিকার এর একাউন্টগুলো স্থগিত করে রেখেছে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে অধিকার এর নিবন্ধন নবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনস্থ এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে আবেদন করার পর এখনও পর্যন্ত অধিকার এর নিবন্ধন নবায়ন করা হয়নি এবং অধিকার এর কার্যক্রমের অর্থছাড় দেয়া বন্ধ করে রেখেছে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো। ২০১৩ সালের ১০ অগাস্ট থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার সমর্থিত বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অধিকার এর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রপাগন্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এই সময় সরকার অধিকার কে হয়রানি করা এবং অধিকার এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর নিপীড়ন চালানোর জন্য তাদের সমর্থক ব্যক্তিবর্গ দ্বারা পরিচালিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে। এর মধ্যে দুদক অধিকার এর বিরুদ্ধে তথাকথিত দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করে। যদিও দুদক তদন্ত করে অধিকার এর বিরুদ্ধে কোন ধরনের অনিয়ম খুঁজে পায়নি এবং এই মর্মে অভিযোগটির নিষ্পত্তি করে। ২০১৮ এর ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অধিকার যাতে পর্যবেক্ষণ করতে না পারে সে জন্য সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন আইন ও বিধির তোয়াক্কা না করে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে অধিকার এর নিবন্ধন একতরফাভাবে বাতিল করে। এর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর অধিকার সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট পিটিশন দায়ের করলে আদালত অধিকার এর নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের দেয়া চিঠির কার্যকারিতা দুই মাসের জন্য স্থগিত করে এবং অধিকার এর নিবন্ধন বাতিল করা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করে। ১৮ ডিসেম্বর আপিল বিভাগও হাইকোর্ট বিভাগের দেয়া এই আদেশ বহাল রাখে। অধিকার সর্বোচ্চ আদালত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের রায় পেলেও সময় স্বল্পতার কারণে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে না পারায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারেনি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় অধিকার এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানবাধিকারকর্মীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ২০১০ সালে ঢাকায় অধিকার এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী আবদুল্লাহ আল ফারুককে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা হত্যা করে। ২০১৬ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের তথ্য সংগ্রহ করতে যেয়ে ভোলার মানবাধিকারকর্মী আফজাল হোসেন পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন এবং ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সিরাজগঞ্জের মানবাধিকারকর্মী আবদুল হাকিম শিমুল ক্ষমতাসীনদল আওয়ামী লীগের নেতার গুলিতে নিহত হন। স্থানীয় পর্যায়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করায় ২০১৭ সালে নিবর্তনমূলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে অভিযুক্ত করে অধিকার এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কুষ্টিয়ার মানবাধিকারকর্মী হাসান আলী ও আসলাম আলী এবং মুন্সীগঞ্জের মানবাধিকারকর্মী শেখ মোহাম্মদ রতন এবং ২০১৯ সালে নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ময়মনসিংহের মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুমকে গ্রেফতার করে কারাগারে আটক রাখা হয়। অধিকার এর কর্মীরা প্রতিনিয়ত গোয়েন্দা নজরদারি, হয়রানি এবং হুমকির শিকার হচ্ছেন এবং তাঁদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। ২০১৩ সালে অধিকার এর ওপর চরম নিপীড়ন চলাকালে দেশের বিভিন্ন জেলায় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও সরকার সমর্থিত দুর্বৃত্তরা অধিকার দ্বারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারী মানবাধিকারকর্মীদের ভয়ভীতি দেখায়। ফলে নিরাপত্তার অভাবে তাঁদের অনেকেই মানবাধিকার কর্মকা- থেকে সরে গেছেন। যেকোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বাধাহীনভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে এবং সরকারকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধের ক্ষেত্রে সহায়তা করে। নিপীড়নমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থাতেই কেবলমাত্র স্বাধীন মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে কাজ করতে বাধা দেয়া হয় এবং মানবাধিকারকর্মীরা নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হন। অধিকার বাংলাদেশে এমন ধরনেরই এক পরিস্থিতির শিকার। গত ছয় বছর ধরে চরম নিপীড়নমূলক পরিস্থিতিতেও অধিকার এর মানবাধিকারকর্মীরা মানবাধিকার রক্ষার সংগ্রাম চালিয়ে যাবার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকার কারণেই তাঁরা এখনও কাজ করে চলেছেন। অধিকার মনে করে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করতে পারলেই কেবল বাংলাদেশের জনগণ মানবাধিকার লঙ্ঘনের চরম অবস্থা থেকে রেহাই পাবে। অধিকার তার ২৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিদের শ্রদ্ধার সাঙ্গে স্মরণ করছে। গত ২৫ বছর ধরে অধিকার তার পাশে দাঁড়ানো সমস্ত মানবাধিকারকর্মী, আন্তর্জাতিক সংস্থা, স্থানীয় নেটওয়ার্ক, সমর্থক এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে; যারা অধিকারের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করার পাশাপাশি অধিকারের ওপর সরকারের নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রচারাভিযান চালিয়েছে। অধিকার এর ২৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বাংলাদেশের জনগণকে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অংশ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে এবং সেই সঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এবং আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নিয়োজিত জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে। ন্যায় বিচার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পাশাপাশি দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে অধিকার তার লড়াই অব্যাহত রাখবে। (খবর বিজ্ঞপ্তি)
|
|
|
|
|