হাসিব রহমান : মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার বিক্রির অভিযোগে মিরপুরের টেস্টি ট্রিট শাখায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ ছিল মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার সংরক্ষণ ও বিক্রির বিষয়টি।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টেস্টি ট্রিট কর্তৃপক্ষ খাবারের মেয়াদ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তালিকা দেখাতে পারেনি। বার্গার, স্যান্ডউইচসহ বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুডের কোনো খাবারেরই উৎপাদন বা মেয়াদোত্তীর্ণের নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ ছিল না। এমনকি খাবার মেয়াদ তালিকা সঠিকভাবে মেয়াদ সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি।
অভিযানে আরও দেখা যায়, যেসব খাবার একদিনের মধ্যে খাওয়ার উপযোগী, সেগুলোর মেয়াদ তিনদিন ধরে চালানো হচ্ছে। অর্থাৎ, একদিনের খাবার তিনদিন পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হতে পারে।
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর জানায়, প্রতিষ্ঠানটির কাছে কখন কোন পণ্য এসেছে, কখন কোন পণ্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে—এই সংক্রান্ত কোন তথ্যই যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। শুধু তাই নয়, কাগজপত্রেও মেয়াদের তালিকা দেখাতে ব্যর্থ হয় টেস্টি ট্রিট।
অনেক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন, টেস্টি ট্রিট-এর খাবার খেয়ে তাঁদের পেটের সমস্যা বা অসুস্থতার অভিজ্ঞতা হয়েছে। এসব অনিয়মের কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে তাৎক্ষণিকভাবে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।