মােঃজানে আলম সাকী, ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম:
নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার ভার বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে দেয়ার প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের মূল ফটকে আড়াই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষা পরিষদ ও চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। বিদেশী প্রতিষ্ঠানের এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ না হলে সড়ক অবরোধ এবং ঈদুল আজহার পর বন্দর শাটডাউনের মতো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন নেতারা।
রোববার সকাল ১০টায় বন্দর ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা সাড়ে ১২টায়। এতে অংশগ্রহণকারীরা ‘এনসিটি বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে’, ‘ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে বন্দর পরিচালনা চাই না’, ‘বিদেশি নয়, দেশীয় অপারেটরই যথেষ্ট’–এমন নানা স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সরকার একচেটিয়াভাবে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এতে শ্রমিকদের মতামত নেওয়া হয়নি। এমনকি জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নেও কোনো গণশুনানি বা জনমত যাচাই করা হয়নি। কর্মসূচির শুরুতে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বন্দর শ্রমিক দলের সহ–সম্পাদক মোজাহের হোসেন শওকত। তিনি বলেন, এনসিটি বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হলে দেশের স্বার্থ, শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ এবং বন্দরের কর্তৃত্ব তিনটিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত, যন্ত্রপাতিসহ আধুনিক টার্মিনালটি এখন সফলভাবে দেশীয় অপারেটরদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। বিদেশিদের হাতে দিলে আমরা আমাদের সম্পদ থেকে বঞ্চিত হবো। সংগঠনের সহ–সম্পাদক সানোয়ার মিয়া বলেন, এই টার্মিনাল এখন আয়বর্ধক ইউনিট হিসেবে পরিচিত। এখানে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি রয়েছে এবং দক্ষ দেশীয় শ্রমিকদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। তারপরও বিদেশি অপারেটরের প্রয়োজনীয়তা আসলে কার স্বার্থে?’ দাবি না মানলে আগামীতে বন্দর ঘেরাও, ধর্মঘট এবং বিভাগীয় সমাবেশসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তারা।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখে ৩৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডক বন্দর অঞ্চল শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সাইদ হারুন, মার্চেন্ট শ্রমিক দলের সহ–সভাপতি হাজী মো. হোসাইন, মার্চেন্ট শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন রেজা রাজু। মো. শফিকুল ইসলাম ও হুমায়ুন কবিরের (ভূমি) সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় শ্রমিক দল নেতা আনোয়ারুল আজিম রিংকু ও সিরাজুল ইসলাম বন্দর শ্রমিকদল নেতা মো. আবুল কালাম আজাদ, এজহার মিয়া, আবদুল হাই, শেখ ছানুয়ার মিয়া, আকতার হোসেন, মোস্তফা চৌধুরী, মোশারফ হোসেন, দিদারুল আলম, আনোয়ার হোসেন, বেলায়েত হোসেন মাস্টার, গোলাম ছরোয়ার, মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ, মো. নাছির উদ্দিন, বাহার মিয়া, শাহজাহান সিরাজ, দিদারুল হায়দার, মহিউদ্দিন তমিজি আবেদ, ফরিদুর রহমান, আল আমিন, নুরুল আজিম প্রমুখ