মােঃজানে আলম সাকী, ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের ক্ষমতা অপব্যবহার ও দায়িত্ব পালনে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন শাখা ছাত্রদল নেতা হাসান আহমেদ। সোমবার (২৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেন ছাত্রদল নেতা হাসান। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় বিজয় দিবসে ছাত্রদলের পক্ষে স্বাধীনতা স্মারক স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিতে গেলে ছাত্রলীগের ৩০ থেকে ৪০ জনের সন্ত্রাসী গ্রুপ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ছাত্রদলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম শহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন, অর্থ সম্পাদক আমি নিজেসহ ৭-৮ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি হই। হামলার সময় আমাদের সাথে থাকা ৩টা মটর সাইকেল, ৩টা মোবাইল, ৩টা মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় তারা। লিখিত অভিযোগে তিনি আরো বলেন, আমরা ২০ ডিসেম্বর প্রক্টোরিয়াল বডির নিকট লিখিত অভিযোগ দিই। লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর তৎকালীন প্রক্টর আতিকুর রহমান কোন প্রকার সহযোগিতা করেননি উল্টো হামলার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের সাথে মিলে আমাদের নিকট থেকে ছিনতাই হওয়া মালামাল টাকার বিনিময়ে নিতে পরামর্শ দেন। এটা স্পষ্ট ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অন্যায়। পুরো প্রক্টোরিয়াল বডি এই অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল। শুধু মাত্র বিরোধী দল দমন করাই ছিল প্রক্টর স্যারদের একমাত্র লক্ষ্য। আজ পর্যন্ত আমাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোন সমাধান হয়নি। পরবর্তীতে ১লাখ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বাইকগুলো উদ্ধার করি যা প্রক্টোরিয়াল বডি জানত।
অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টররা হলেন– ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এস এম জিয়াউল ইসলাম, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান রামেন্দু পরিমাল, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের শহীদুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আহসানুল কবীর, নৃবিজ্ঞান বিভাগের মুহাম্মদ কাজীম নূর সোহাদ এবং ব্যাংকিং এন্ড ইলুইরেন্স বিভাগের রিফাত রহমান।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা হাসান আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপরে হামলা করে বাইক, মানিব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে তৎকালীন প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টররা আমাদেরকে কোন ধরনের সহযোগিতা করেননি। উল্টো ছাত্রলীগের সাথে সমঝোতা করে তাদের ডিমান্ড পূরণ করে জিনিস ফিরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। আমরা ক্ষমতার এমন অপব্যবহারকারীদের বিচার চাই। আমরা ন্যায় বিচার চাই।
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য উপাচার্যকে নোট দিয়েছি। আগামীকাল তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।