|
ওপারে থেমে থেমে গুলি, ধোঁয়ার কুণ্ডলী |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের লম্বাবিলের বিপরীতে কুমিরখালী সীমান্তচৌকি ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে ঢেঁকিবনিয়া এলাকায় কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে। গতকাল সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এই কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। এ ছাড়া ওপারের কুমিরখালী, শিলখালী ও বলিরবাজার এলাকায় দিনভর থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা গেছে। ঘুমধুম ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়া-নয়াপাড়ার সোজা বিপরীত পাশের ওপারে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়া এলাকা। এ এলাকায় রয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির একটি সীমান্তচৌকি ও একটি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর। ঠিক ওই জায়গায় কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে। এ ছাড়া টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল সীমান্তের ওপারে কুমিরখালী এলাকায় বেলা দুইটার দিকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। কুমিরখালী এলাকায় একটি বিজিপির সীমান্তঘাঁটি রয়েছে। ওই এলাকায় কয়েক শ রোহিঙ্গা বসবাস করে। স্থানীয় লোকজন জানান, ওপারে অস্থিরতা বিরাজ করার পর থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। এর মধ্যে কয়েক দিন আগে বিজিবি ও কোস্টগার্ড ঢুকতে চেষ্টা করা কিছু রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির কয়েকটি ফাঁড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছি। তবে এই কাজ আরকান আর্মি করছে নাকি অন্য কেউ, তা বলতে পারছি না। বশেষে দুশ্চিন্তামুক্ত হলো বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রের ৪৬৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী। নিরাপত্তার কারণে কেন্দ্রটি সরিয়ে অন্তত তিন কিলোমিটার দূরের দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিদ্যালয় দুটি হলো ১ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গতকাল নাইক্ষ্যংছড়ি ও উখিয়ার সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন
মােঃ জানে আলম সাকী,
ব্যুরো চীফ,চট্টগ্রাম।
|
|
|
|
|