গাজীপুর মহানগরীর কালা শিকদার ঘাটে প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে; তবে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেটি দুই বছর ধরে অকেজো পড়ে আছে।এতে সুফল পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। বর্তমানে সেতুটি সড়ক থেকে উঁচু হয়ে পড়ায় ওঠানামায় বিকল্পভাবে চলতে হচ্ছে স্থানীয়দের। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েক হাজার গুণ । গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কৌশলীর দেওয়া তথ্যমতে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ও গাজীপুর জেলা শহরের অফিস আদালতের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উত্তরে ২৫নং ওয়ার্ড ভুরুলিয়াসহ একাধিক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য জনদুর্ভোগ লাঘবে চিলাই নদীর ওপর এ সেতুটি নির্মাণ করে গাজীপুর সিটি করপোরেশন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কৌশলী এস এম শামসুর রহমান মাহমুদ বলেন, ২০২০-২০২২ অর্থ বছরের সিটি কর্পোরেশন বিশেষ বরাদ্দে সেতু নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। যার কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। তিনি বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতিতে সেতুটি কাজ শেষ হচ্ছে না। সেতুর দুপাশের সড়কে সংযোগ দেওয়া হয়নি। স্থানীয়রা জানান, জনদুর্ভোগ লাঘবে চিলাই নদীর ওপর এ সেতুটি নির্মাণ করে গাজীপুর সিটি করপোরেশন। সেতুর দক্ষিণ পাশে গাজীপুর শহরের অফিস আদালত, উত্তরে ২৫নং ওয়ার্ড ভুরুলিয়াসহ একাধিক গ্রাম। সেতুটিতে দুই পাশে সংযোগ না থাকায় সাঁকো বেয়ে সেতুর ওপরে উঠে চলাচল করতে হয় এলাকাবাসীর। ভুরুলিয়া গ্রামের স্কুলশিক্ষার্থী আলম বলে, প্রতিদিন সেতু বাঁশ কাঠ দিয়ে কষ্ট করে সেতু পার হয়ে জেলা শহরের বিদ্যালয়ে যেতে হয় । আমার মতো এলাকার প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর একই অবস্থা। এখানে বাইসাইকেল, রিকশা-ভ্যান ও মোটরসাইকেল পারাপার করার কোনো সুযোগ নেই। স্থানীয়রা জানান, জনদুর্ভোগ লাঘবে চিলাই নদীর ওপর এ সেতুটি নির্মাণ করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন। সেতুটিতে দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় সাঁকো বেয়ে সেতুর ওপরে উঠে চলাচল করতে হয় এলাকাবাসীর। অটোরিকশা চালক সালাম রানা বলেন, এখান থেকে কোর্টে, ডিসি অফিসে যেতে মাত্র দুই তিন মিনিট সময় লাগে। হেঁটে সেতু পার হয়ে রিকশায় উঠতে হয়। সেতু পার হতে গিয়ে কয়েকজনের হাত-পা ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুর আদালতের আইনজীবী হাবিুবর রহমান বলেন, ভুরুলিয়া থেকে হেঁটে এসে কাঠের সাঁকো দিয়ে খুব কষ্টে সেতু পার হয়ে এসে রিকশায় উঠতে হয়। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। তাই সেতুর দুপাশে সংযোগ সড়কের কাজ করা জরুরি ।গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মজিবুর রহমান বলেন, এই সেতুটি নির্মাণ হলেও দুইপাশে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এটা নিয়ে গড়িমসি করছে। এতে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। সামনে বর্ষাকাল তাই দ্রুত সংযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কৌশলী এস এম শামসুর রহমান মাহমুদ বলেন, বিশেষ বরাদ্দে সেতু নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। যার কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। দ্রুত কাজ শেষ করে সড়কের সংযোগ দিতে ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর প্রতিনিধি