|
রঙ তামাশার দুনিয়া । আমরা কতটা নির্লিপ্ত আর স্বার্থপর !! ?? |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
পবিত্র সিয়াম সাধনায় রত বিশ্বের কোটি কোটি ধর্মপ্রান মুসলমান । সংযম ত্যাগ আর নিরন্ন অসহায় মানুষের দুঃখ কষ্ট অনুভব করার মধ্য দিয়েই মূলত রমজানের তাৎপর্য প্রতিভাত হয়ে ওঠে । দেশের বিত্তশালীরা রমজানে ইফতার থেকে শুরু করে অফুরন্ত হাজারো রকম পাহাড় সমান খাবারের আয়োজন করে থাকেন । তারাই যেন প্রকৃত ঈমানদার । বুক ফুলিয়ে বলেন, রমজানে ইচ্ছেমত খাওয়া যাবে । কোন জবাবদিহিতা করতে হবে না । অথচ এ দেশের মধ্যবিত্ত বা সাধারন মানুষের নাভিশ্বাস । তাদের ইফতার সন্ধ্যা রাতের খাবার কিংবা সেহরী লবন ভাত, আলু, ডিম কাঁচকলা ভর্তা কপালে জুটে কিনা সন্দেহ । আমাদের দেশে রমজান এলে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ক্রয় ক্ষমতার বাইরে গেলেও এক শ্রেনীর কোন অসুবিধা না হলেও সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে যাওয়ায় রীতিমত হিমসিম খেতে হয় । নেই কোন বাজার নিয়ন্ত্রন । সাধারন ধর্মপ্রান মধ্য বা নিম্ন আয়ের পরিবারের কর্তা ঈদের খুশিকে সানন্দে গ্রহন করতে সন্তানের সাধ পূরনে শ্রম দিয়ে জোগাড় করেন অর্থ । অথচ রমজানের শেষ সময়ে তাদের ছেলে মেয়েদের পোশাক পরিচ্ছদ মানসম্মত পাওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় । কারন রমজান শুরুতেই যাদের হাতে প্রচুর টাকা পয়সা রয়েছে তারা পুরো রমজান ভরেই কেনাকাটা করে থাকেন । তাদের ভীড়ে বাজারে ঢোকাই দায় । এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সারাদেশে কেনাকাটা ৭০ শতাংশ ছাড়িয়েছে । এখন শেষ রোজায় চাঁদনী রাতে বিপনন কেন্দ্রে ভালো মানের পোশাক বস্ত্র জুতা সেন্ডেল পাওয়া যায় না । রোজার শুরুতেই বেচা কেনার ধুম পড়ে যায় । ঈদ আরো বর্নাঢ্য আরো স্মৃতিময় করতে ইউরোপ আমেরিকা সিঙ্গাপুর সহ বিদেশে ঈদ উদযাপন করতে মহাব্যস্থা । এছাড়া ঈদের কেনাকাটা তাদের রুচি সম্মত হওয়া চাই । দাম যতই হোক । তারা মার্কেটিং করতে রাজধানী ঢাকা বড় বড় বিভাগীয় শহর আর অঢেল বিত্তশালীদের ভারত, সিঙ্গাপুর, মালেয়শিয়া, আরব আমিরাতে অর্ডার দিয়ে তাদের কাংখিত অভিজাত জামা কাপড় আসবাবপত্র সংগ্রহ করে থাকেন । কেউ বা বিলাশবহুল বাড়ি গাড়ি । ঘর সাজানোর দামি দামি আসবাবপত্র ক্রয়ে ব্যস্ত । অথচ অনেকের জীবনে ঈদ খুশি আনন্দ না বেদনা তার মমার্থ কেউ বুঝতে চায় না । সাধারন বা মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষ তারা পারে না হাত পাততে । তারা ঠিকমত বছরে এ ঈদ উৎসবে তাদের ছেলেমেয়ে প্রিয়জনদের সাধ্যমত কেনাকাটা করতে পারে না । এছাড়া মফস্বঃল শহর কিংবা জেলা শহরেও বেচাকেনার ধুম সাধারন মানুষ ছাড়া এলাকার বিত্তশালীদের কেনাকাটা না করার প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত । তারা লাখ লাখ টাকার পণ্য সামগ্রী এনেও তারা কাংখিত মুনাফা করতে পারে না । যাকাতের শাড়ি ইফতার সামগ্রী বিত্তশালীরা মাইকিং করে হাজার হাজার গরীব দরিদ্র অসহায় নারী পুরুষ জরো করে লোক দেখানো ঈদ সামগ্রী দিতে গিয়ে গেট ভেঙ্গে কিংবা পদতলে পিষ্ট হয়ে সারাদেশে প্রতি বছর কত শত গরীব অসহায় নারী পুরুষ মর্মান্তিকভাবে প্রান হারিয়েছেন । তার পরিসংখ্যন দেয়া কঠিন । সম্প্রতি ইফতার সামগ্রী যাকাতের শাড়ি নিতে সাতকানিয়ায় প্রচন্ড ভিড়ে পদদলিত হয়ে ৯ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং পাহাড়তলী সহ এ পর্যন্ত শুধু চট্টগ্রামেই গত ৩০ বছরে ২০০ লোকের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে । কোন বিচার হয় নি । এরা থাকে ধরা ছোয়ার বাইরে । অথচ রাশিয়ায় বসবাসরত জনসংখ্যার দিক থেকে মুসলমানের সংখ্যা ১০ শতাংশ । অর্থ্যাৎ দুই কোটি মুসলিম সেখানে বসবাস করে এবং তাদের এই শহরগুলোতে ৮ হাজার মসজিদ গড়ে উঠেছে । একসাথে ৫ ওয়াক্ত নামাজ সহ তারাবী ও দোয়ায় শরীক হন গরীব ধনী নির্বিশেষে । এক কাতারে সামিল হন । বিশ্বে অন্যান্য দেশে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা যায় অথচ আমাদের দেশে পুরোটাই উল্টো । প্রতি সবে বরাতের শুরু থেকে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেরা সিন্ডিকেট তৈরী করে সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কাউকে ম্যানেজ করে আদা, রসুন, ছোলা, পেয়াজ থেকে শুরু করে সমস্ত জিনিসের দাম বেড়েছে ছাড়া কোণ বছর তার স্থিতিশীলতা পরিলক্ষিত হয় নি । রাশিয়ার মত জায়গায় পবিত্র রমজান মাসে মুসলিম
|
|
|
|
|