বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ফ্যাসিস্ট সরকারের বসিয়ে দেয়া প্রধান শিক্ষকের দুর্নিতি-অনিয়ম ও কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মানববন্ধন এবং স্মারক লিপি প্রদান   * চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আল মামুনু ও দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা ;   * ভবদহের সমস্যা মেটে না কেন? ব্যাখ্যা চায় মানবাধিকার কমিশন   * এস আলম গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব ফাঁকি ৭০৭১ কোটি টাকা   * কক্সবাজারে ৮কেজি ওজনের ২১ কোটি টাকার তিমি বমি উদ্ধার   * ২৩ দিনের জন্য বান্দরবান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা;   * সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা   * কুমিল্লা কাপ্তানবাজার ইসলামী সেবা সংস্থার আয়োজনে মাহফিল অনুষ্ঠিত   * চট্টগ্রামের আজা নাজিরহাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জরিমানা   * এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ সহ তার স্ত্রী পরিবারের সদস্যদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞ ;মােঃ জানে আলম সাকী,ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।  

   বিশেষ ঘোষণা
ভাঙতেই হবে বিজিএমইএ ভবন, ফিরিয়ে দিতে হবে আগের ভূমিরূপ
  Date : 05-03-2017


সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট |

ভবন না ভাঙ্গার রিভিউ আবেদন খারিজ করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। তাই ভাঙ্গতেই হচ্ছে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে খালের পাড়ে গড়া বিজিএমইএ ভবন। বহুতল এই ভবন ভাঙতে কতো সময় লাগবে তা আগামী বৃহস্পতিবারের (০৯ মার্চ) মধ্যে আবেদনে জানাতে হবে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতিকে (বিজিএমইএ)। ওইদিনই আপিল বিভাগের আদেশে ভবন ভাঙার চুড়ান্ত সময় বেঁধে দেওয়া হবে।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ রোববার (৫ মার্চ) আপিল বিভাগে করা দেওয়া রিভিউ আবেদন খারিজ করে বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার রায় বহাল রাখেন। আদালতে বিজিএমইএ এর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। আর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আদালতের আনুষ্ঠানিকতা শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে তিন বছরের সময় আবেদন করা হয়েছিলো। আমরাও গুরুত্ব বিবেচনায় এক বছরের সময় চেয়েছিলাম। এখন বিজিএমইএ বৃহস্পতিবারের মধ্যে সময়ের আবেদন জমা দিলে আদালত ওই বিষয়ে আদেশ দেবেন।

আদালতের নথি অনুযায়ী, গত ৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৩৫ পৃষ্ঠার রায় প্রকাশিত হওয়ার পর রিভিউ চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ ২ মার্চ এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেন। কিন্তু ২ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ ‘নট টু ডে’ (আজকে নয়) আদেশ দেন। ফলে রোববার বিষয়টি শুনানির জন্য আসে। শুনানি শেষে গত বছরের ২ জুন হাইকোর্টের দেওয়া বিজিএমইএ ভবন ভাঙার রায় বহাল রাখেন প্রধানবিচারপতির বেঞ্চ।


১৯৯৮ সালের ২৮ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিএমইএ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভবন নির্মাণ শেষ হলে ২০০৬ সালের ৮ অক্টোবর বিজিএমইএ ভবন উদ্বোধন করেন সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরপর থেকে ভবনটি বিজিএমইএ এর প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

কিন্তু রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই কারওয়ান বাজার সংলগ্ন বেগুনবাড়ি খালে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই দিনই প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মনির উদ্দিন।

পরদিন ৩ অক্টোবর বিজিএমইএ ভবন কেন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তার কারণ জানতে চেয়ে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে (সুয়োমোটো) রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর শুনানিতে আদালতকে আইনি সহায়তা দিতে ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের সাতজন আইনজীবীকে আদালত বন্ধু (অ্যামিকাস কিউরি) নিয়োগ দেওয়া হয়।

ওই সাত আইনজীবী হলেন- বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ড. আখতার ইমাম, ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন, অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ও পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ তার রায়ে বিজিএমইএ’র ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ভবনটি নির্মাণের আগে ওই স্থানের ভূমি যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেও নির্দেশ দেন বিজিএমইএকে।

একই বছরের ৫ এপ্রিল বিজিএমইএ’র আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের আপিলবিভাগ হাইকোর্টের রায় ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। পরবর্তী সময়ে আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরো বাড়ান।

এর দুই বছর পর ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ হাইকোর্টের ৬৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে ভবনটি ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলে ওই জমি জনকল্যাণে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, হাতিরঝিল প্রকল্প একটি জনকল্যাণমূলক প্রকল্প।

আদালত বিজিএমইএ যাদের কাছে ওই ভবনের ফ্ল্যাট বা অংশ বিক্রি করেছে তাদের টাকা তাদের দাবি পাওয়ার এক বছরের মধ্যে ফেরত দিতেও বলেন।

হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপির পর লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। যেটা চলতি বছরের ২ জুন খারিজ হয়ে যায়। পরে বিজিএমই আবার এ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে।



  
  সর্বশেষ
ফ্যাসিস্ট সরকারের বসিয়ে দেয়া প্রধান শিক্ষকের দুর্নিতি-অনিয়ম ও কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মানববন্ধন এবং স্মারক লিপি প্রদান
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আল মামুনু ও দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা ;
ভবদহের সমস্যা মেটে না কেন? ব্যাখ্যা চায় মানবাধিকার কমিশন
এস আলম গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব ফাঁকি ৭০৭১ কোটি টাকা

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308