মােঃ জানে আলম সাকী, ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের রাউজানের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের সংগঠন রাউজান-রাঙামাটি বেবী টেক্সী চালক সমিতির কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করে চট্টগ্রাম নগরীর একটি সমিতির নামে রাউজানের অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের জলিল নগর সিএনজি স্টেশনে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে সড়ক পথ আটকে দেয় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকেরা।
এ সময় সিএনজি চালকদের সঙ্গে চাঁদা আদায়কারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। রাউজান-রাঙামাটি সিএনজি চালক সমিতির নেতৃবৃন্দের দাবি কমিউনিটি পুলিশ পরিচয়ে চট্টগ্রাম নগরীর একটি সংগঠনের নাম ব্যবহার করে সিএনজি চালকদের কাছ থেকে সিএনজি প্রতি ১০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
শত শত সিএনজি থেকে আদায়কৃত অর্থ কার পকেটে যাচ্ছে তা জানতে চান সিএনজি চালকেরা। জলিল নগর এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসব চাঁদা সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তদের একজন সাংবাদিকদের বলেন, রাউজান-রাঙামাটি বেবী টেক্সী চালক সমিতি চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে। অতীতে তারা অনেক দুর্নীতি করেছে। তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন।
চট্টগ্রাম নগরীর টেম্পু সমিতির নামে রাউজানে কেউ চাঁদাবাজি করলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন রাউজান-রাঙামাটি বেবী টেক্সী চালক সমিতির সভাপতি সালামত উল্লাহ লেদু ও সাধারণ সম্পাদক কাজল দে।
রাউজান-রাঙামাটি বেবী টেক্সী চালক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম একাধিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, জলিল নগর সিএনজি স্টেশন আমাদের সমিতির আওতাধীন। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত আমাদের সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য চট্টগ্রাম নগরীর একটি সংগঠনের নামে কতিপয় ব্যক্তি চাঁদা আদায় করছে। আমরা তার প্রতিবাদ জানিয়েছি।
অন্যদিকে ০৫ আগস্ট ২০২৪ইং পরবর্তী দুষ্কৃতিকারীরা রাউজান-রাঙামাটি বেবী টেক্সী চালক সমিতির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধের অপচেষ্টা করেছে এমন দাবি সমিতির নেতৃবৃন্দের। সিএনজি স্টেশনের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সিএনজি অটোরিকশা চালকেরা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুইটা সমিতি করেছে। দুই সমিতির মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপক্ষকে নিভৃত করে। দুই সমিতি চালানোর সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় মিমাংসা করার কথা রয়েছে।