মােঃ জানে আলম সাকী, ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালে আহ্বায়ক কমিটি থাকা সত্বেও কেন বহিরাগত লোকজন নিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো হচ্ছে— এর লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে সমিতির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরীকে। জেলা প্রশাসন গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক তাঁর কাছে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে এর জবাব চেয়েছেন। ৬ নভেম্বর তাঁর কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়।
গত ২৮ অক্টোবর হাসপাতালের অভ্যন্তরে ঢুকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর বিষয়ে মৌখিক সতর্কের পরও দলবল নিয়ে ৬ নভেম্বর আবারো হাসপাতালের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টার কথা উঠে এসেছে চিঠিতে।
ওই চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে শুরু করে পুলিশ-সেনাবাহিনীর দায়িত্বশীল ঊর্ধ্বতনদের কাছে।
এখন পর্যন্ত হাসপাতালের কোনো কমিটির অনুমোদনে নেই উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের আজীবন সদস্য, ডাক্তার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থাকায় হাসপাতালের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং রোগীদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।’
চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘ইতিমধ্যে ২৮ অক্টোবর হাসপাতালে অভ্যন্তরে ঢুকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটনার বিষয়ে আপনাকে মৌখিকভাবে সর্তক করা হয়েছিল। তারপরও আপনি আবার আপনার দলবল নিয়ে ৬ নভেম্বর হাসপাতালের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। এতে জেলা প্রশাসনের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত আহ্বায়ক কমিটি বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও আপনি কেন বহিরাগত লোকজন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছেন তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা আগামী ৫ (পাঁচ) কর্মদিবসের মধ্যে দেয়ার জন্য বলা হল।’