কমিটির পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১৪ দফা দাবি পেশ করেন জসিম উদ্দীন চৌধুরী। উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হচ্ছে চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী ঘোষণার পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে দ্রুত অবকাঠামো তৈরি, চট্টগ্রামের কালুরঘাটে রেল ও সড়কসেতু নির্মাণ, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনকে বটতলী থেকে ফৌজদারহাটে স্থানান্তর এবং বিপণিবিতান থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত রেলের পরিত্যক্ত জায়গা স্যাটেলাইট টাউন নির্মাণ।
সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের সব সেবাকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণাসহ সব ধরনের পণ্যের ওপর আদায় করা অর্থের একটি অংশ চট্টগ্রামের উন্নয়নে ব্যয় করা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে চট্টগ্রামসহ দেশের পুরোনো চার জেলাকে প্রদেশ ঘোষণা করা এবং চট্টগ্রামের উত্তর ও দক্ষিণকে আলাদা জেলা ঘোষণা করা, চট্টগ্রামে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনেরও দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া রেলওয়ে, নৌবাহিনী, শিপিং করপোরেশন, ইপিজেড ও চা বোর্ডের সদর দপ্তর এবং বাণিজ্য ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবালয় চট্টগ্রামে স্থানান্তর করার দাবি করেন নেতারা। পাশাপাশি চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়।
এদিকে ২০০৪-২০২৯ মেয়াদের জন্য জসিম উদ্দীন চৌধুরীকে সভাপতি করে ১৩ সদস্যের স্থায়ী পরিষদ গঠন করা হয়। ব্যবসায়ী এস এম নুরুল হককে চেয়ারম্যান, এইচ এম মুজিবুল হককে মহাসচিব, যিকরু হাবিবীল ওয়াহেদকে সাংগঠনিক সম্পাদক, নুরুল আলমকে অর্থ সম্পাদক, কাসেম শাহকে প্রকাশনা সম্পাদক ও নোমান উল্লাহকে দপ্তর সম্পাদক করে ৯৬ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।